অন্ধকারের সঙ্গে প্রেম
সন্ধ্যারাতে ধ্রুবতারা, তারপর কালপুরুষ
দেখতে দেখতে অন্ধকারের সঙ্গে আমার প্রেম!
মুখোমুখি বসে দু’হাতে শ্বাসের উষ্ণতা মাপা
নির্জনতার সুযোগে কিছু বৈপ্লবিক কথা-
ঝলকানিতে পুরুষত্বের মহড়ায় ঘামের বিন্দু গোনা
ঈশ্বর নিশ্চয় পাঁজরে ব্যাথা অনুভব করে।
অন্ধকূপ আমাকে গ্রাস করতে দেখে
চাঁদ ঝেরে ফেলে লেপ্টে থাকা কলঙ্ক!
ক্যাসিনোর দরজায় কুকুরের প্রস্রাব
দৃশ্যের অন্তরালে হারায় স্পর্শহীন আলিঙ্গন-
বিষুব রাতে আমার উলঙ্গ স্বপ্নরা ঠোঁট ঘষে
ভোরের আলো চুঁইয়ে আসা ভাঙ্গা ঘুলঘুলিতে।
আত্মা
ফাঁকা খাঁচায় পড়ে থাকা
একাকী দুর্বল পালকের মত
চার দেওয়ালের মাঝে
আমি এক নেহাতই নিহত প্রাণ।
আমাকে দেখে
ছুটে আসে না কোন স্রোত
টুং করে কোন শব্দও নয়-
কিংবা ভোরের কনকনে কুয়াশা।
যন্ত্রনার গভীর থেকে আরও গভীরে
ডুব দিই একটু আলোর খোঁজে
নাকে ঢোকে অচেনা বোটকা গন্ধ-
আত্মহত্যার ঠিক আগে চোখ খুলি।
হঠাতই কানে নূপুরের অভিঘাতে
ছুটতে ছুটতে আমার ডিঙি নৌকোটা
আটকে যায় কাদামাটিতে; যেমন
বটিতে আটকে থাকে মাছের আত্মা।

.jpg)


.jpg)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন