জয়িতা ভট্টাচার্য * দুটি কবিতা
শরণাগত
নিজস্ব কামনাদের জড়িয়ে রেখেছি তোমার হাতের লালসুতোয়।শরীরের খাঁজে খাঁজে ইতিহাস লিখেছ স্পর্শের। আকাশ থেকে নেমে আসছে হারিয়ে যাওয়া ভাই, বোন,একটা গোটা শহর।ওরা নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে যেখানে কামোট,মাছের মিছিল এসে জড়ো হবে একটু পরে।
আমার বিছানা জলময়,হাঁস হয়ে সাঁতরে আসি পাড়ে তোমার হাতের ভেতর কারাবাস চেয়ে জীবনভরের।
তুমি গভীর রাতে লেখো অক্ষর ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ,
আমি অপেক্ষা করি পায়েস নিয়ে
বন্দী
হয়ে গেলে পিঠে হাত রাখি। অভ্যাসের লালচে দাগ হয় দংশনে।ঠোঁটে ঠোঁট।আর যা যা করণীয়।সব হয়।পার্কে কচি ঘাস দেখি।বৃষ্টি আসে।চা খাই। বিস্কুট।ভাবি তুমি পাশে বসে আছো।চাঁদের উল্টোদিকের মেঘ দেখি।যেখানে যেখানে ফেলছ রাত সেখানে জন্ম নিচ্ছে চারাগাছ।পৃথিবীর ধান চাষ।যত বার অনিত্যের কথা লিখেছ ততবার উত্থিত হচ্ছে লোভ।মাথাহীন সহস্র পা আর হাত।
সব হয়ে গেলে পড়ে থাকে শূন্য কাপ পৃথিবীর টেবিলের 'পরে।
***************************************************************
কলকাতা নিবাসী সাহিত্যিক জয়িতা ভট্টাচার্য পেশায় শিক্ষক। অল্প বয়স থেকে লেখালিখি। প্রধানত মানবাধিকার বিষয়ক বুলেটিন ও খবরের কাগজে লিখতেন। প্রথম প্রেম কবিতা। এযাবৎ চারটি কবিতার বই,একটি গল্পের বই ও একটি উপন্যাস প্রকাশিত। লিখেছেন অসংখ্য সংকলনে। এছাড়াও নিয়মিত প্রবন্ধ, ও অনুবাদ কবিতা লেখেন বৈদ্যুতিন ও মুদ্রিত পত্রিকায়। পেয়েছেন সরকারি ও সাহিত্য গোষ্ঠীর নানা সম্মান।





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন