বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

পাঠ প্রতিক্রিয়া * দেবাশিস সাহা


 


অক্ষরের ভাস্কর্যলিপি 

দেবাশিস সাহা 


১ .



 'এত কবি কেন' একটি সাক্ষাৎকারে, বহুল প্রচলিত একটি দৈনিকে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় একবার প্রশ্ন তুলেছিলেন। কবিদের সংখ্যাধিক্য তাঁকে বিচলিত করেছিল। সাক্ষাৎকারে তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, কোনও তরুণ কবি কবিতা শোনাতে এলে, তিনি তাঁকে শেক্সপিয়ারের সনেট অনুবাদ করে শোনানোর পরামর্শ দেন। কবিতা লিখতে এসে ছন্দ শেখা কতটা জরুরী কিংবা শেক্সপিয়ারের সনেটই বা অনুবাদ করতে হবে কি না, সেই বিতর্কে না গিয়েও বলা যায়, কবিতা লিখতে এসে কবিকে অবশ্যই কবিতাচর্চার হোমওয়ার্কটি সেরে আসতে হয়। যথেষ্ট চর্চা বা অনুশীলন ছাড়া শুধু ভাব বা আবেগের বশে কিছু লিখলেই, তা আর যা-ই হোক কবিতা হয় না, তা, তাকে আমরা যতই আধুনিক বা উত্তরাধুনিক যে নামেই অভিহিত করি না কেন।

আশিস মাইতির 'চম্পক নগরে, ত্রাস' কবিতার বইটি পড়ে প্রথমেই এই কথাগুলি মনে হল। ছন্দের পরিশীলিত প্রয়োগ, নতুন নতুন চিত্রকল্প অনুপ্রাস উপমা অলংকারের সার্থক ব্যবহারে, সর্বোপরি অতীত ঐতিহ্যের অনুসরণ...বেদ -পুরাণ থেকে আহৃত শব্দের উত্তরণ ঘটিয়েছেন কবি বহুমাত্রিকতায়, যা দীর্ঘদিনের চর্চা ও অনুশীলনের ফসল, মনে না করার কোনো কারণ নেই, নিঃসন্দেহে বলা যায়।

একটি শব্দ আপাতভাবে জড়, নিরীহ। শক্তিশালী কবির হাতে শব্দের সেই জড়ত্বের মুক্তি ঘটে। শব্দ- ছন্দ- অর্থ পরম্পরায় আমরা অভিভূত হই, কবিতা পাঠের অপার্থিব আনন্দে। কবি আশিস মাইতিতে-ও যা অলক্ষ নয়। দৃষ্টান্তস্বরূপ, তাঁর তিনটি কবিতার কিয়দংশ উদ্ধৃত করে বিষয়টি পরিস্ফুট করা যাক ----

'বসন্তে আজ ভিজতে হবে, বৃষ্টি পড়ে বক্ষ -মাঝে!
সোপান শেষে আকাশ দেখা, উড়ন্ত সে ঊর্মিমালা--
চূর্ণ হয় পুলিন তটে, বৃষ্টি পড়ে সকাল-সাঁঝে।
সে অরণ্যের বসত জমি, তপ্ত হৃদে তীব্র জ্বালা!

কুশিক মুনি--- একতারা সুর, ফুল্ল নারী মৌন লাজে। বসন্তে আজ ভিজতে হবে, বৃষ্টি পড়ে বক্ষ -মাঝে।'

                                (বসন্তে আজ ভিজতে হবে ) 

কিংবা যখন পড়ি----

'আল্লাহরাখা আলাপে ক্রুন্দসী কাঁদে, হায়!
পুড়ে যায়, আবারো পুড়ে যায়, পুড়ে যায়---
আউল আকুল বাউলের তরী!'

                                             (বর্ষা এলেও)
অথবা

'রামের-ও আগের সে যুগের মতো হায় 
হাম্বীর জাগে সাদা সূর্যাস্ত অন্তিমে 
অন্তহীন বিন্দু ঝরোখার অনন্ত গরিমায়'

                                                    (স্রোত)

প্রিয় পাঠক, এই তিনটি কবিতায় ব্যবহৃত পুলিন, কুশিক মুনি, হাম্বীর ( 'আমি হাম্বীর আমি ছায়ানট' -- কাজী নজরুলের বিদ্রোহী মনে রেখেও ) ইত্যাদি শব্দের নির্মোক ছিঁড়ে যখন আমরা কবিতাটির অন্তরাত্মায় প্রবেশ করি, তখন আমরা কবি শেলির মতো উদ্বেলিত হয়ে বলতেই পারি, ' I have drunken deep of joy , And i will no other wine tonight.'
অবশ্য, এজন্য কবিতা তিনটির সম্পূর্ণ পাঠ আবশ্যক।

আবার, 'চম্পক নগরে, ত্রাস' কবিতায় কবি যখন লিখছেন 'অমৃত অক্ষর লিপি মৌন -পরিচয়,/
দিনে দিনে গর্ভে বাড়ে কবির সঞ্চয়!' তখন আমরা নিশ্চিত হতে পারি 'অক্ষর লিপি' যে 'অমৃত'স্বরূপ তা কবির অজানা নয়। তাই তাঁর বোধের জগত ঋদ্ধতায় ভরে ওঠে দিনে দিনে। কাব্য দেবীকে অক্ষরের অর্ঘ্য নিবেদনের প্রাণের প্রতীতি জাগে কবিমনে। তিনি যাঞ্জিক। আয়োজন সম্পূর্ণ। মৃদঙ্গের তালে ছন্দ বাজছে, কাব্যের অধরা 'মাধুরীর মায়া কেঁপে কেঁপে / আবেশ ছড়ায় যাঞ্জিক জনে সন্ধ্যার শীতল ছায়ায়।' কবি জানেন 'বিষাদ বাহিত আত্মার /সে দেবী, বিচ্ছেদ মৃত্যুর ব্যবধান শেষে /অমেয় অভ্যুদয় আনে অক্ষরে অক্ষরে।' তবু অধরা কাব্য মাধুরীর মায়ায় অতৃপ্ত কবি। তাই বিষাদ অনিবার্য ছায়া ফেলে 'যে বেদীতে এ অক্ষরের ভাস্কর্যবিলাস,/ অবিনশ্বর কিনা সন্দেহ তাতে অনুক্ষণ।'
                                            (প্রাণের প্রতীতি )

যে কোনো সৃষ্টিশীল প্রাণে এমন প্রশ্ন জাগা  অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এই নশ্বর- অবিনশ্বরতার প্রশ্নে আমরা স্মরণ করতে পারি কবি শম্ভু রক্ষিতের একটি উক্তিঃ আমরা সকলেই পরীক্ষা দিতে বসেছি, খাতা জমা রেখে যেতে হবে, মহাকাল কাকে কত নম্বর দেবে তার ওপরেই নির্ভর করছে কবি ও কবিতার ভবিষ্যত, খাতা জমা দিয়ে চলে যাবো, চল্লিশ পঞ্চাশ বছর পর খাতাগুলো দেখা হবে, যদি কিছু সারবস্তু থাকে, পাশ করবেন, নাহলে গোল্লা!!"

অতএব, আমাদের কাব্যাকাশে 'অক্ষরে অক্ষরে কবির প্রবুদ্ধ অনুরাগ' ছড়িয়ে পড়বে, প্রত্যাশায় রইলাম। কারণ প্রকৃতার্থেই তিনি অক্ষরের ভাস্কর্যলিপিকর। 

পরিশেষে আর একটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন, বইটির প্রচ্ছদ ও বাঁধাই সুন্দর। তবে প্রুফ সংশোধনে আরো যত্নবান হলে ভালো হত। কবিতার বইয়ে বানান ভুল যথেষ্ট পীড়াদায়ক।


চম্পক নগরে, ত্রাস
আশিস মাইতি
প্রকাশকঃ বান্ধবনগর
প্রচ্ছদঃ সুষমা মাইতি























২ .


কবি দেবাশিস সরখেল -এর 'ঝুমুর গান হে' কবিতাগ্রন্থে রাঢ় অঞ্চলের মানুষের কঠিন কঠোর জীবন প্রবাহ, তাদের কৃষ্টি- সংস্কৃতি, আহার -বিহার, ভাব -ভালোবাসা, তাদের ক্ষোভ- সংক্ষোভ, সর্বোপরি জন্মভূমি গানভূম মানভূম -এর প্রতি অগাধ ভালোবাসার কথা আশ্চর্য বাণীরূপ লাভ করেছে। এই অঞ্চলের আকাশে বাতাসে ঢেউ খেলে ছৌ, ভাদু, ঝুমুরের সুর। ঋতুতে ঋতুতে অপরূপ সেজে ওঠে প্রকৃতি। শিমুল, পলাশ, পণশেটিয়া, পুটুস, শিরীষ, মহুয়া, ঘেঁটুবন, আকন্দের মোহময় ছায়া বিছানো প্রান্তর যেমন একদিকে আকর্ষণ করে মনকে, তেমনই 'বন করলা, বন কুঁদুরী ঝুলে' থাকে, থাকে 'ঘুগিতে চ্যাঙ, মাগুর তুড় / বৃক্ষের অমৃতপোশাকে ব্যাকরণহীন শ্রাবণ।' আর, এসব কিছু মিলে কবি উপলব্ধি করেন 'সুনির্মল ফিরোজা বাতাসে গাছেদের খুশি জাগে খুব।'

'ঝুমুর গান হে' কবিতার বইটির কবিতাগুলিকে কবি দুটি পর্বে সাজিয়েছেন। প্রথম পর্বে রয়েছে ৯৫ টি কবিতা। এই পর্বের প্রত্যেকটি কবিতার একটি  শিরোনাম রয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে 'ভাঙাচোরা হিরণ্য পাথর' নামে আলাদা একটি শিরোনাম। এখানে, কবির টুকরো টুকরো অনুভবমালা হীরক দ্যুতির মতো ঝলসে উঠেছে। উদাহরণে পরে আসছি। আগে ফিরি প্রথম পর্বের আলোচনায়।

প্রথম পর্বের অনেকগুলি কবিতা, যেমন রবীন্দ্রনাথ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ঠাকুর সাহেব, মন্ডলবাবু, শ্যামল সুন্দর, বরুণ বিশ্বাস, প্রফুল্ল, ছবিয়াল অমিয়কুমার, চরণদাস---ইত্যাদি কবিতাগুলিতে ব্যক্তি শিরোনামের আড়ালে কবিমনন স্পর্শ করতে চেয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মানুষটির অন্তর্নিহিত চরিত্রমাধুর্য এবং তা থেকে কবিতার অপার্থিব উত্তরণ।
'আমার চোখের জল যখন চোখে আটকে থাকে, গড়াতে চায় না কিছুতেই 
তখন তোমার গান শুনি ' 
'রবীন্দ্রনাথ' কবিতায় এভাবে রবিছায়ায় আশ্রয় খুঁজেছেন কবি। সামাজিক গাঢ় তমিস্রার ভেতর কবি দেখতে পান, রবীন্দ্র 'গানের ভেতর জেগে উঠে হিরণ্ময় আলো।' যে-আলোয় জীবনের 'শূন্য ঘট পূর্ণ হতে থাকে।' এবং কবি এক নিবিড় উপলব্ধির চরম সীমায় পৌঁছন 'সুবর্ণরেখার ভেতর আমি এক কণা বালি'। (শুভ রবীন্দ্রনাথ -- পৃ-১৩)

'সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়' কবিতায় কবি সুনীলের 'কেউ কথা রাখেনি' কবিতার আলোকে ঘাত-প্রতিঘাতময় নিজের জীবনের সমগ্র তোলপাড়টুকু ঘুরেফিরে দেখতে চেয়েছেন।
শৈশবে 'সুবর্ণকঙ্কণ-পরা ফর্সা রমণীদের দেখিনি তেমন' তা না দেখলেও, কবির 'কৈশোর মাখামাখি হয়ে আছে অর্চনায় করবীফুলে। / আমের মুকুলে জাম ডালে' দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কবি যেমন লিখছেন, তেমনই আবার, এই কবিতাতেই দেখতে পাচ্ছি,  বামপন্থায় বিশ্বাসী কবির রাজনৈতিক বিশ্বাসে চিড় ধরেছে 'আমাদের ধর্মের কল নড়ে গ্যাছে বামপন্থায়, বেভুল বাতাসে।' কিংবা, যখন তিনি লিখছেন 'বাংলার মাটিতে বিভেদের বীজে বামপন্থায় / মিলেমিশে ধীরে ধীরে গজিয়েছে চারা।' তখন এই ধারণা স্পষ্ট হয়। অথচ কত দিন গেছে আদর্শের জন্য, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য 'ক্ষিদের জ্বালায় বিড়ি টেনে ক্ষিদেটি পোড়ানো' কবি ভোলেননি সে কথাও।

এই পর্বেই আর এক ধরনের কবিতা রয়েছে, যে কবিতাগুলিতে রাষ্ট্রীয় শোষণ যন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ-সহ কবির তীব্র প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।

'সবুজ সাইকেলে আমরা রোজ ফিরি/ দু'টাকা কেজি চাল এবং সব শ্রী, /আমরা ভিখিরী, বাঙালী ভিখিরী।'
'ক্লাবে তো টাকা উড়ে / উড়ছে সাইকেল / এই তো সেই খেল / খেলা যে মাদারীর' কবি জানেন 'এ বড় রঙ্গ ভোটরঙ্গ'। (বাঙালী ভিখিরী--পৃ-২০) বাস্তবিক, 'চাদ্দিকে শুধু হাহাকার / ছায়াপ্রেত, ধড় মুণ্ডহীন কীচক, প্রত্যহ লাফায়' (কীচক--- পৃ-২৩) অথচ, এসবের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ নেই, বিদ্রোহ নেই। কবির ভাষায় 'আমি, তুমি আমরা সবাই / প্রভুর চরণদাস'(চরণদাস --পৃ-২৪) কারণ, তাঁর মতে, তারা শাসকের ছুঁড়ে দেওয়া উচ্ছিষ্টে সন্তুষ্ট।

'বাঁকানো চাঁদের সাদা ফালিটি 
তুমি বুঝি খুব ভালবাসতে 
চাঁদের শতক আজ নহে তো 
এযুগের চাঁদ হলো কাস্তে' একদা কবি দিনেশ দাস লিখেছিলেন। এই অবিস্মরণীয় পঙক্তিগুলি মনে পড়ে যায়, যখন 'বাঙালী ভিখিরী' কবিতায় কবি বলেন, 'চাঁদের 'ফালিটি এবং হাতুড়ি /ভালো তো বাসতিস /তুই কি আসছিস ?' বর্তমান শাসকদলের বিভীষিকাময় শাসন ও শোষণের হাত থেকে পরিত্রাণের আশার আলো দেখছেন কবি।


জীবনে চলার পথে পথের খোঁজে কত না পথে যে পা পড়ে! কত সত্য-মিথ্যার মুখোমুখি হতে হয়। জন্ম নেয় নতুন বোধ। নতুন উপলব্ধি। 'কোনো কবিতা এমন চোখে জল আসে / সে কবির সমস্ত কবিতা গান বেজে উঠে, আমার আকাশে অহরহ।' মোহিনী গাঙ্গুলীর জলদগম্ভীর স্বরে কবির এমনটাই মনে হয়।
কবি ভুলতে পারেন না 'ছবিয়াল অমিয়কুমার'কেও। কারণ, তিনি 'সাত সমুদ্রের অন্তরমহলে যে জীবন, তাকে এনেছেন ছেনে / এনেছেন অমিয়প্রবাহ।'
'এই অনির্বাণ জেগে জেগে নিজেকে জাগানো' তিনিই পারেন 'মানভূমে সুনিবিড় ছবিয়াল অমিয়কুমার।'
(ছবিয়াল অমিকুমার-- পৃ-১৭) তেমনই, এক বিরাট বিস্ময়ের মুখোমুখি এনে দাঁড় করান কবি আমাদের এমন উচ্চারণে 'উড়ে যেতে যেতে / কতদূর উড়বে সে নিজেই জানে না' (চঙ--- পৃ-১৮)।

কিছু কবিতার দর্শনসঞ্জাত উচ্চারণ আমাদের মুগ্ধ করে। 'অনাদিকালের এই সৌধখানি প্রসন্নতা মেখে থাকে রোজ' (প্রফুল্ল --- পৃ-১৬) । এই কবিতাতেই প্রফুল্লর জন্য কিছু করতে না পারার আক্ষেপ শোনা যায় কবির গলায় 'তোমার জন্য কিছু করা হয়নি আমার / যেন বলি, ক্ষমো, ক্ষমো হে আমায়।' আবার 'ঝুমুর গান হে' গ্রন্থের নামে নামকবিতার একটি অবিস্মরণীয় পঙক্তি 'আমিই মৃদঙ্গভাঙা নদী, চৈত্রে শ্রীখোল।'


দ্বিতীয় পর্বে, অর্থাৎ 'ভাঙাচোরা হিরণ্য পাথর' পর্যায়ের কবিতাগুলি শিরোনামহীন, আগেই উল্লেখ করেছি। টুকরো টুকরো অনুভবমালা সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ পেয়েছে (দু-একটি ছাড়া) যার অধিকাংশ অমৃতস্বাদ বহন করে। ৮০থেকে ৯৬ পৃষ্ঠার মধ্যে রয়েছে এই স্বর্ণউচ্চারণগুলি। দু-একটি নমুনা ---

১) 
আমার এই বাঁচা এই মরা 
করিম খাঁ সাহেবের তবলা লহরা

২) 
যে অমৃত তোমাকে বাড়াতে চাই আমি 
তাই পরিণত হয় বিষে 
তোমায় সন্তুষ্ট করি কীসে?

৩) 
একা হতে হতে তুমি অনেক হয়ে যাও 
যৌবনের তুমি, কৈশোরের তুমি, প্রৌঢ় তুমি
ঘরময় আত্মীয় 
কে কাকে আলিঙ্গন করবে ভেবে পায় না।

৪) 
একজন আছে 
সে বড় দূরে থাকে,
ডিহাং নদীর বাঁকে 
চলো মন নিজ নিকেতনে যাই 
নিজেকে হারাই

৫)
যে ক্ষেতে বর্ষণ হলে মাটি মহারসে ঘামে 
সে ক্ষেতে কর্ষণ হলে ফসলের সফলতা নেই 
তোমার বাড়ি তো ক্ষেতের পাশে নিবিড় নির্জনে জেনেছি, বুঝেছি আমি অতি সঙ্গোপনে।

এমনি আরো 'ভাঙাচোরা হিরণ্য পাথরে'র অমৃতস্বাদ পেতে হলে, প্রিয় পাঠক, আপনাকে 'ঝুমুর গান হে' কবিতাগ্রন্থটি পড়তেই হবে।


ঝুমুর গান হে 
দেবাশিস সরখেল

অণিমা প্রকাশনী 
১৪১ কেশব চন্দ্র সেন স্ট্রিট 
কলকাতা ৭০০০০৯
প্রচ্ছদ : শঙ্কর বসাক

**********************************************************************************************


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন