বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

নজর উল ইসলাম







নজর উল ইসলাম * ফুল পড়তে পারিনি


ফুল পড়তে পারিনি দেখিনি নদীর গোলক-মন 
আগুন সততা পূরক গমন জীবন 
কুশীলব জীবন পারে পোড়াচোখ, মঞ্চস্থ নাটকে নাটক
আস্ত রক্তনদী তোর-ই ভাইবোন,তোর-ই আকাশ পাখি 
মোহচাঁদ আসে ভিখারি আজন্ম পৃথিবীময় 
কোথায় আমার আমি ছড়াই আপন শিশির-গান 
একটা ভোর একটা নিশি একটাই সূর্য স্বাক্ষর
বিমূর্ত আহ্লাদ করি,ভাঙি ভাঙনের মুখস্বর
আমার ভেতর সাগর জোড়া জড়িয়ে আছে নদীর শেকড়
হাসতে পারি ফুলের মতো একচাদরে উজাড় ঘোর 
দুপুর দুপুর খেলছে যারা মগ্নশিরার শরীর 
বিশ্বমনের মায়াকাঁটায় বিকল অতল গভীর
রাত্রি-জড়া কালোপাখি মনুষ্যত্বের নিচে,ততই রক্ত আসে–
বুকের থেকে মনের থেকে জাহান্নামের আঁচে...


************************************************************



নজর উল ইসলাম

কবিতা এবং কবিতাকেই আঁকড়ে বাঁচতে চেয়েছেন নয়ের দশকের কবি নজর উল ইসলাম।১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর বসিরহাটের পশ্চিম বিবিপুর গ্রামে জন্ম। হাদরিদ্র পরিবারে প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন নজর উল কবিতার হাত ধরেই।

দারিদ্র্যের কারণেই উচ্চ মাধ্যমিকের পর উচ্চশিক্ষার কৌলিন্য অর্জন না-করলেও নজর উল ইসলাম নিরন্তর কবিতাচর্চার কবি হিসেবে সমুজ্জ্বল দু-বাংলায়। তাঁর ক্রমান্বয়ে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলি হল ‘নদী এলেই তুমি এসে যাও’, ‘রাতপাখির দেহলি’, ‘আমিই সেই পথ’, ‘ ও বৃষ্টির মেঘ’, ‘মুখ লুকনো হৃদযমুনা’, ‘ মেঘপাখির আগুনলিপি’ প্রভৃতি। বাংলা সাহিত্যের প্রাতিষ্ঠানিক ও অসংখ্য লিটল ম্যাগাজিনে প্রবহমান তাঁর সৃজনশীল কাব্যকৃতির জন্য নজর উল ইসলাম পেয়েছেন চন্দ্রকেতুগড়, রিয়া ইন্ডিয়া এবং এখন বঙ্গদেশ সন্মাননা। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন