সংবেদন চক্রবর্তী * দুটি কবিতা
বিচ্ছেদ পারাপারে
জাতীয় সড়ক ধরে, যে রাস্তা সটান চলে গেছে
উত্তর-পশ্চিম কোন বরাবর নতুন বাংলোয়
এখন সেখানে ছেলে থাকে। তোমার আমার ছেলে।
একদম একা থাকে, আমাদের জীবন যৌবন---
কদম তলায় বসে কৃষ্ণ তো বাঁশুরী বাজাবেই
তাতে তুমি আর আমি কিইবা করতে পারি বলো?
হ্যাঁ, ক্ষেত ও খামারের কিছু ভাবনা অবশ্যম্ভাবী
যদি রাধারা আসেন তবে উনিই বা কী করবেন
রাজনীতি করা লোক, খাদ্য খাবারের চিন্তা নেই
কদমগাছকে নিয়ে কিছু বলতেই পারতেন
নয়তো বা কৃষ্ণচূড়া গাছেদের জীবন কাহিনী
আমি জানি আমাদের ছেলে নবদ্বীপে বসবাস
আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবার কিছুটা পরে
তাও ধরে নাও মাস ছয় বাদে খবর পেয়েছি
স্বাচ্ছন্দ সম্ভ্রান্ত মন্দ নয়--- বিলাসিতা পুরোপুরি
কৃষ্ণকান্ত দাস আজ তোমাদের কাছের মানুষ---
মায়া
আমার দক্ষিণে রাত্রি নামে স্নেহশীল অন্ধকারে
আমি দাঁড়াতে পারি না স্পর্শহীন বেদনার কাছে
স্বর্গ ভিক্ষা। প্রাপ্তিযোগ। দ্বারে দ্বারে উন্মাদ সেজেছি
উন্মাদেরও খিদে পায়। হে ঈশ্বর ক্ষমা করে দাও
ব্রহ্ম প্রস্তর জঠরে অবনত নারী মুখখানি
এ দেহ কালিমা লিপ্ত হয়, আমি বইতে পারি না
এই জন্ম এই মৃত্যু সহজাত কর্ম এসে দাঁড়ায়
দিগন্তের পাশাপাশি মৃত্যুদিন লেখা হয়ে আছে।
একটি কুকুর মারা গেলে তার শ্রাদ্ধ করেছে কে?
অথচ বিশ্বাস মারা যায়---এ জীবন ভিক্ষা চায়
গাধার জীবন জুড়ে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে থাকে
অলসতা তাকে ছুঁতে পারেনা, পারবে না কখনও---
গাছের বাকলে ঠিক যতটুকু মায়া জমে আছে
অশ্রু হয়ে টুপটাপ ঝরে মধ্যকালীন রাত্তিরে---
*************************************************************************************************






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন