নিতাই চন্দ্র মাঝি * দুটি কবিতা
মূর্খও হয় জ্ঞানী
মূর্খের অনেক দোষ বলে সোজা কথা,
জ্ঞানীদের অঙ্গ জ্বলে উচিত ভাষণে,
অধিকার করে দাবি ভেঙ্গে দিয়ে প্রথা,
আচমকা টান পড়ে নিশ্চিন্ত আসনে।
গেল গেল ছাড়ে রব বিকৃত দশনে,
জ্ঞানী হয়ে অজ্ঞানী যে অপরাধ করে,
মূর্খকে মারিতে চায় দৃঢ় নিষ্পেষণে,
বেঁচে যায় মূর্খ যতো মেকি জ্ঞানী মরে।
কলুষ হৃদয়ে যারা গরল উগরে,
নিজেকে মহান ভেবে রাজত্ব চালায়,
আবিলতা আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে অগোচরে,
পশ্চাদ দরজা দিয়ে সুযশ পালায়।
জ্ঞানীর বিনয় ধর্ম কপটতা নহে,
মূর্খেরাও হয় জ্ঞানী সবকিছু সহে।
বিবেচনা
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
চাষায় করে চাষ,
ফড়ের পাল্লায় কৃষক মরে
ঘটে সর্বনাশ।
মাথায় বহে ধানের বোঝা
সারাটা দিন ধরে,
সোনার ফসল ঝাড়াই করে
তোলে নিজের ঘরে।
ঘরের ভিতর যখন থাকে
ধানের মালিক চাষী,
ঘরের বাইরে বেরিয়ে এলে
শুকিয়ে যায় হাসি।
উচিত মূল্য পাইনি কভু
তুলাদণ্ডেও মারে,
শেষ বিচারে গলায় দড়ি
কৃষি ঋণের ভারে।
দেশের মানুষ ফুর্তি করে
চাষার সর্বনাশ,
আপন মানুষ বলে যারা
দেয় আছোলা বাঁশ।
চাষের নামে জমায় কতো
বিজ্ঞানীরা জাঠা,
গোরু বেচে কিনবে নাকি
চাষের কাজে পাঁঠা!
*******************************************************************************************





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন