কবিতাগুচ্ছ * বাবলু সরকার
দিয়া
১.
তুমি আমাকে শত্রু ভেবেছো বলেই
তোমার আলমারির সামনে থেকে
আমার ছবি টা কে সরিয়ে দিতে পেরেছো
আর আমি সেই ঘটনা কে কেন্দ্র করে
কবিতা লেখা শেষ করার পরেও
আবার কবিতা লিখতে শুরু করেছি
২.
নিজেই নিজেকে দেখার চেষ্টা করছি
জানি সেই দূরদৃষ্টি আমার নেই তবু
ছানমিন চালিয়ে দেখছি
তোমার সামনে মানে বলতে চাইছি
তোমার সাথে আমি কি কি নিঃসঙ্গতা
পালন করেছি আর কোন কোন ফুল কে
না বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে হত্যা করেছি
৩.
অসহায় দিন গুলো তুমি পার করে এসেছো
আর আমি আমার অসহায় দিন গুলোর কথা
ভেবে চুপচাপ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি
রাস্তায় লোকেদের মিছিল দেখছি আর
মাঝে মধ্যে হাত তুলে তুলে বিশ্বাস অর্জন
করছি যদি কোন সময় ওটা তোমার কাজে লাগে
৪.
আসলে আমার ছবি নয়
তুমি তোমার ছবি অসতর্ক মূহুর্তে
সরিয়ে দিয়েছো তোমার মন থেকে
এসবের কী দরকার ছিল
আমায় বললেই তো পারতে
আমি বাড়ি বয়ে গিয়ে তোমার অমূল্য সম্পদ
ফিরিয়ে দিয়ে আসতাম আর বদলে
তোমার উঠোন থেকে কিছু শুকনো বাতাস
ফিরিয়ে নিয়ে আসতাম যার মধ্যে
তোমার শ্বাস বায়ু মূর্ত হতো
৫.
ধুস আমি ওর ইয়ে হতে যাবো কেন
আমি হলাম গিয়ে জবা ফুলের মতো
নম্রতামুখো একটু রোদ পেলেই নুয়ে পড়ি
আর সমুদ্রমুখো হয়ে তরলে গিয়ে মিশি
আর ও হলো গিয়ে অস্পষ্ট শিউলিফুল
পাতার অন্তরালে থেকে সুবাস বিতরণ
করাই ওর কাজ
তুমি কাছে গেলে সে গন্ধ পাবে
নচেৎ জবার মতো রোদে শুকোবে
৬.
কিচ্ছু লেখার পাচ্ছি না তাই
ধর্মপুস্তক নিয়ে পড়লাম
কিন্তু সেদিকেও তো লবডঙ্কা
একপাতাও উল্টে দেখিনি আজ পর্যন্ত
অবশেষে লাস্ট অপশন তুই
আর তুই তো আবার বাবাইদার ফ্যান
ওই গণ্ডী ছেড়ে বেরোতে পারলি না কোন দিন
অগত্যা আমার হাতে থাকলো কিছু
তারা ভাঙা গুঁড়ো তাই দিয়ে আমি
বানিয়ে নিচ্ছি মাটির বেলুন
আমার নতুন বৃষ্টি স্নান আমার পুস্তক
******************************************************************************************





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন