পাঠকের চোখে : স্বরবর্ণ * পাঁচ * ১৪২৮
' স্বরবর্ণ * পাঁচ ' সংখ্যাটি কেমন হল ? কী বলছেন সুধী পাঠকমন্ডলী ? এ বিষয়ে ব্লগে অনেকেই মতামত দিয়েছেন । আবার ব্লগে সড়গড় না হওয়ায়, অনেকে সম্পাদকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মতামত জানিয়েছেন। ফোনেও অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাছাড়া, এ সংখ্যার কবি লেখকেরা অনেকেই তাঁদের নিজস্ব ওয়ালে সংশ্লিষ্ট লেখাটি শেয়ার করেছেন। সেখানেও অনেকে মতামত দিয়েছেন। সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য সকল পাঠককে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
ব্লগে এবং হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া মতামতগুলি হাতের কাছে থাকায়, ক্রমান্বয়ে সেগুলি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেব। আজ কয়েকটি -----
শতদল মিত্র লিখছেন ------
'স্বরবর্ণ-৫' * এই সংখ্যায় সবচেয়ে ভালো লেগেছে 'প্রিয় কবি প্রিয় কবিতা' বিভাগটি এবং এই বিভাগের অরুণ মিত্র-র কবিতা ফিরে পড়া পাঠক আমার কাছে বাড়তি পাওনা। 'পাঠ প্রতিক্রিয়া' বিভাগে সব্যসাচী মজুমদার খুব সুন্দর ভাবে কবি তপেশ দাশগুপ্তর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। সন্দীপন ভট্টাচার্যের অনুবাদে ভ্যান গখের চিঠির পাঠ প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বনাথ পাল যথাযথ। 'অনুবাদ কবিতা' বিভাগটিও উজ্জ্বল প্রাপ্তি। সৈয়দ কওসর জামালের মূল ফরাসি থেকে অনুদিত এমে সেজের কবিতা আগ্রহ জাগায়। স্বপন নাগ কৃত কেদারনাথ সিং-এর কবিতার অনুবাদ বেশ সাবলীল। একগুচ্ছ কবিতার অনুবাদের মাধ্যমে হিন্দি কবিতার পরম্পরাকে উপস্থাপিত করে নীলকমল পাঠক আমাকে কৃতজ্ঞ করে তুলেছেন।
গল্প-কবিতা বিভাগ সুন্দর, সুসম্পাদিত। সমগ্র পত্রিকা জুড়েই এক রুচিশীল মননশীলতার স্পর্শ। শুভেচ্ছা 'স্বরবর্ণ'কে।
স্বপন নাগ লিখেছেন-----
'স্বরবর্ণ'-এ লিখতে পারার সুযোগ আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের, এ আমার অকপট স্বীকারোক্তি।একসাথে এতগুলি ভালো কবিতা পড়তে পাবার সুযোগও খুব কম সংখ্যক পত্রিকায় পাওয়া যায়। প্রায় ঝড়ের গতিতে পড়েছি কবিতাগুলি। নির্মল হালদার, হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৈমুর খান, পলাশ দাশ, দীপঙ্কর বাগচী প্রমুখের কবিতা আলাদা করে ভালো লেগেছে। আর ভালো লেগেছে পত্রিকার 'প্রিয় কবি প্রিয় কবিতা'-য় চিরতরুণ অরুণ মিত্রের কবিতা। নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে কবির টুকরো উদ্ধৃতি এ সংখ্যার মাস্টার স্ট্রোক। পৃথক ভাবে আধুনিক হিন্দি কবিতার প্রতি যেহেতু আমার পক্ষপাত , বেশ কিছু চেনা কবির চেনা কবিতা পড়ারও সুযোগ করে দিয়েছেন নীলকমল তাঁর সুন্দর অনুবাদে।
আপনাদের সৃজনশীল এই সাহিত্য সাধনায় আমার অপার শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন।
সৌমনা দাশগুপ্ত জুয়েল মাজহারের কবিতা সম্পর্কে লিখেছেন এতরকম ভাঙচুর, কবিতার ভাষা ও আঙ্গিক নিয়ে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা... বিস্মিত হই বারবার।
সুদীপ দাস- এর কবিতা সম্পর্কে রঞ্জিত ভট্টাচার্য লিখছেন খুব ভালো লাগলো। দুটোর ভাবনাই নাড়া দিলো। সত্যিই, সবাই ভাবছি এগোচ্ছি, আসলে গোল রাস্তায় ঘুরপাক খাচ্ছি। আর শরীরের আস্তাবল ছেড়ে ঘোড়াদের সমুদ্র যাত্রা... যোগসূত্রে অসামান্য চিত্রকল্প ।
চিন্ময় ঘোষ -এর গল্প পড়ে তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন----
জীবন থেকে নেওয়া। মন বলে উঠে লেখক এর গল্পের চরিত্রগুলোকে যেন আমিও চিনি। হয়তো কখনো দেখেছি কোথাও। কলেজ জীবনের বন্ধুত্ব তো এমনিই। একজন আরেক বন্ধুর জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করতে পারে। অন্তত একটা সময়ে এরকমই ছিল। হয়তো এখনকার জটিল জীবনে এই চিত্রটা পাল্টে গেছে অনেকখানি। তাই সহনশীলতার পরিবর্তে শত্রুতা বড় হয়ে ওঠে। সে রকম ছবিতে বড় একটা কম দেখা যায় না। সে দিক থেকে গল্পটা একটা দৃষ্টান্ত এর মত। তবে চৈতন্য ও মারুতের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা আরো একটু বিস্তারিত হওয়ারকথা ছিল। অন্তত পাঠকের স্বার্থে। একটি সুন্দর গল্প পড়লাম। অভিনন্দন চিনময়
অমিত চক্রবর্তী-র কবিতা সম্পর্কে সমর সুর লিখছেন অসাধারণ। কী সুন্দর সব শব্দের মেলবন্ধন। চিত্রকল্পের মধ্যেও ঝিঙাফুল মুদ্রার ঝলমল পিঠ। ভীষন স্মার্ট লেখা।
রাজীব দে রায়-এর কবিতা সম্পর্কে অদিতি সিংহ লিখেছেন প্রথম কবিতাটির ব্যঞ্জনা বেশি স্পর্শ করলো মন। দ্বিতীয় কবিতার প্রথম লাইনটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা "আমি দেখি " কবিতার প্রথম লাইন মনে করায় * বহুদিন জঙ্গলে যাইনি। দুটি কবিতাই ভাল লেগেছে।
কৌশিক সেন- এর কবিতা সম্পর্কে সমিধ গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন অনবদ্য লেখা দাদা! বিশেষত "ক্রশওয়ার্ড" অসাধারণ। ফিরে ফিরে আঘাত করা অস্ত্রের মতো তীব্র।
দীপংকর রায়-এর উপন্যাস ' কথা দিয়েছিলাম হেমন্তের নিয়রে ' পর্ব*২ পড়ে কল্পোত্তম লিখেছেন -----
দীপংকর রায় -এর এই উপন্যাসের ভিতর দিয়ে এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার মধ্যে ওনার যে একটা গভীর টান এবং গভীর সম্পর্ক তা প্রতীয়মান হয়ে উঠেছে স্পষ্টরূপে। এছাড়া ওপার বাংলার খোলা প্রকৃতি এবং সেখানকার খোলা মনের মানুষগুলোর সাথে যে ভাব বিনিময়, তাদের প্রতি ওনার যে দুর্নিবার আকর্ষণ তাও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই উপন্যাসের ছত্রে ছত্রে।
দেবাশিস সাহার উপন্যাস ' ধুলোর সিংহাসন ' পর্ব * ৪ পড়ে শীলা দাস লিখছেন ----
স্বরবর্ণ শারদীয়াতে আপনার লেখা কবিতা ও উপন্যাস পড়লাম। লেখায় চুম্বক আকর্ষন অনুভব করলাম।আর বিশেষত উপন্যাসে প্রাজ্ঞতা গভীরতর।
( আগামী দিন )
পাঠকের চোখে : স্বরবর্ণ * পাঁচ * ১৪২৮
' স্বরবর্ণ * পাঁচ ' সংখ্যাটি কেমন হল ? কী বলছেন সুধী পাঠকমন্ডলী ? এ বিষয়ে ব্লগে অনেকেই মতামত দিয়েছেন । আবার ব্লগে সড়গড় না হওয়ায়, অনেকে সম্পাদকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মতামত জানিয়েছেন। ফোনেও অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাছাড়া, এ সংখ্যার কবি লেখকেরা অনেকেই তাঁদের নিজস্ব ওয়ালে সংশ্লিষ্ট লেখাটি শেয়ার করেছেন। সেখানেও অনেকে মতামত দিয়েছেন। সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য সকল পাঠককে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
ব্লগে এবং হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া মতামতগুলি হাতের কাছে থাকায়, ক্রমান্বয়ে সেগুলি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেব। পাঠকের মতামতের আজ দ্বিতীয় পর্ব -------
গৌরীশঙ্কর দে-র দীর্ঘ কবিতা পড়ে চন্দন মুখার্জি জানাচ্ছেন অসাধারণ অনবদ্য দুরন্ত।
দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়ের অণুগল্প পড়ে পলাশ দাস লিখছেন খুব ভালো লাগল। খুব সুন্দর লিখেছেন। শুভেচ্ছা জানবেন।
পঙ্কজ মান্নার কবিতা সম্পর্কে নাম জানাননি এমন একজন পাঠক লিখেছেন জাত কবি...কবি'র অনুভব অন্তরে জারিত হয়ে যায়।
অর্কায়ন বসু শুভশ্রীর সাহা-র অণুগল্প পড়ে লিখছেন অনবদ্য। বাস্তবতার নির্মম এক ছবি।মুগ্ধতা। আর আপনার বলার স্টাইলটাও দারুণ।
রঞ্জনা ভট্টাচার্য -এর কবিতা পড়ে রাজীব দে রায় জানাচ্ছেন এক্ষুনি পড়লাম, দুটোই ভালো। দ্বিতীয়টি বেশি ভালো লাগলো।
অভিষেক চক্রবর্তী সুদেষ্ণা ব্যানার্জীর কবিতা পড়ে লিখছেন দারুন। প্রথম কবিতাটি অসাধারণ।
শীলা দাশ-এর কবিতা সম্পর্কে নাম জানাননি এমন একজন পাঠক লিখেছেন জীবন যন্ত্রণায় মিশে যাওয়া খুব সুন্দর দুটি কবিতা।
প্রদীপ ঘোষ এর কবিতা সম্পর্কে নবনীতা বিশ্বাস চক্রবর্তী লিখেছেন দুটো কবিতাই ভীষণ ভালো লাগল...বিশেষত দ্বিতীয়টিতে অদ্ভুত এক ভালোলাগায় ডুবে গেলাম,গভীর উপলব্ধির অদ্ভুত নিবিড় শব্দের রূপ!
দেবজ্যোতি দাশগুপ্তের কবিতা সম্পর্কে শ্যামশ্রী রায় কর্মকার জানাচ্ছেন বিয়োগ বড় ভালো লাগলো।
উদয় ভানু চক্রবর্তীর কবিতা পড়ে নাম জানাননি এমন একজন পাঠক লিখছেন সুন্দর প্রকাশ কবির
ইন্দ্রজিৎ নন্দীর কবিতা সম্পর্কে দেবলিনা জানাচ্ছেন তুমি মেঘ সেফটিপিন আটকানো বর্ষা জলের রানী ... বাহ দারুণ দারুণ !! দুটি কবিতাই খুব ভালো লাগলো ।
মৃন্ময় মাজীর কবিতা সম্পর্কে বিদ্যুৎ প্রামানিক লিখলেন একটি পরিনত কবিতা । খুব খুব খুবই ভালো লাগলো ।
নিমাই জানা এর কবিতা সম্পর্কে কিংকর দাস জানাচ্ছেন দুটোই অসাধারণ...দ্বিতীয় টি অনবদ্য।
( আগামী দিন )
পাঠকের চোখে : স্বরবর্ণ * পাঁচ * ১৪২৮
' স্বরবর্ণ * পাঁচ ' সংখ্যাটি কেমন হল ? কী বলছেন সুধী পাঠকমন্ডলী ? এ বিষয়ে ব্লগে অনেকেই মতামত দিয়েছেন । আবার ব্লগে সড়গড় না হওয়ায়, অনেকে সম্পাদকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মতামত জানিয়েছেন। ফোনেও অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাছাড়া, এ সংখ্যার কবি লেখকেরা অনেকেই তাঁদের নিজস্ব ওয়ালে সংশ্লিষ্ট লেখাটি শেয়ার করেছেন। সেখানেও অনেকে মতামত দিয়েছেন। সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য সকল পাঠককে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
ব্লগে এবং হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া মতামতগুলি হাতের কাছে থাকায়, ক্রমান্বয়ে সেগুলি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেব। পাঠকের মতামতের আজ অন্তিম পর্ব -------
গৌরীশঙ্কর দে দেবাশিস সাহার 'ধুলোর সিংহাসন' উপন্যাসের পঞ্চম পর্ব পড়ে লিখছেন অনেক হয়েছে পড়ালেখা। বিদেশি পাঠের অভ্যাস। যদি সত্যি ভালোবাসো মেয়েকে, আত্মজাকে আর পরিবারের মতো করে নিতে চাও এই দুনিয়াদারিকে, পড়ো পড়ো, এই হৃদয়মথিত আলো-আঁধারের উপকথা। কাঁদো আর কাঁদতে শেখো। নিখিল কন্যার পিতাপিতৃহৃদয় স্পর্শ করে এই পর্ব রহমতের মতো আফগানিস্তানের পথে এগিয়ে গেল যেন .....
শীলা দাস লিখেছেন চমৎকার সম্পাদকীয়। মুগ্ধ হলাম। যে কটা কবিতা পড়লাম খুবভালো লাগলো।
সোমা দাস এর কবিতা সম্পর্কে নাম জানাননি এমন একজন পাঠক লিখেছেন দুটি কবিতাই ভালো লাগলো।
সুদীপ চক্রবর্তী ধৃতিরুপা দাস-এর কবিতা পড়ে লিখছেন বেশ একটা নতুন কিছু পড়লাম অনেকদিন পর ।
অনিন্দিতা স্বপন নাগ এর অনুবাদ কবিতা পড়ে জানাচ্ছেন অনুবাদ ও মূল, দুইই মনে ছাপ রাখল। স্বতন্ত্রভাবে দুটি ভাষাতেই অপূর্ব মাত্রা পেয়েছে।
মৃন্ময় মাজী বিধান ঘোষের কবিতা পড়ে লিখছেন দারুণ হে , ভালো লেগেছে খুব।
শতদল মিত্রের কবিতা পড়ে রবিন বসু লিখছেন সুন্দর দুটি কবিতা পড়লাম। কবিকে অভিনন্দন জানাই।
তৈমুর খান- এর কবিতাগুচ্ছ পড়ে আব্দুস সালাম লিখেছেন প্রতিটি কবিতা সুন্দর।
মিতালী চক্রবর্তীর কবিতা সম্পর্কে দেবজ্যোতি লিখছেন অপূর্ব লেখা ।
**********************
স্বরবর্ণ * ছয় * ২০২২
বর্ষপূর্তি সংখ্যা হিসাবে
*************************
প্রকাশিত হবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
* এই সংখ্যার জন্য আপনার মৌলিক ও অপ্রকাশিত লেখা ( গল্প কবিতা প্রবন্ধ অণুগল্প অনুবাদ কবিতা ভ্রমণ কাহিনি ইত্যাদি ) ১৫ জানুয়ারি ২০২২- এর মধ্যে পাঠিয়ে দিন ।
debasishsaha610@gmail.com
WhatsApp no 8777891532
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন