কবি পলাশ দাস-এর দুটি কবিতা
অজানা, এক তরল আক্ষেপ
রাস্তা বেয়ে কোন গন্তব্যে চলেছি
তা আমার অজানা
জানে ওই কজন লোক
যাদের হাতে গন্তব্যের নকশা
তারা ফিসফিস করে নিজেদের মধ্যে কথা বলছে
বেশ অহঙ্কারী দৃষ্টিতে মাঝেমধ্যে তাকাচ্ছে আমার দিকে
আমি হাঁটতে হাঁটতে
ইশারায়, তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে পাশের পথিককে
জিজ্ঞাসা করেছি -
সে জানে কী, কোথায় সে যাচ্ছে?
স্বচ্ছ উত্তর সেও পারেনি দিতে।
আরও পথ পেরিয়ে গিয়ে,
আবারও কারো কাছে করেছি জিজ্ঞাসা,
সেও দিতে পারেনি, কোনো সদুত্তর।
আমরা কোথায় যাচ্ছি, সত্যি আমরা কেউ জানি না?
আয়না যা বলে
যে লোকটা নূন্যতম সুরক্ষা দেবে বলেছিল
আমার হাত খুব শক্ত করে ধরে
সে মাখনে চাপচুপ করেছে ব্রেড
তারপর খুব তৃপ্তিতে মুখের মধ্যে চালান করে
গোটানো জামার হাতা খুলে বোতাম লাগিয়ে
গায়ে খানিকটা সুগন্ধী ঢেলে
ঠুক ঠাক শব্দ তুলে অদৃশ্য ভ্রমণে
দরজায় বাইরে থেকে তালা
ঘরের আলো নেভানো
জলের কল খুললে একটা অস্পষ্ট গোঙানি
আর বাইরের শব্দ খানিক জানলা দিয়ে ভেসে আসলেও
আমার শব্দ বাইরে ভাসিয়ে দেওয়ার সমস্ত শক্তি ক্ষীণ
হয়েছে ক্রমান্বয়ে
যারা প্রত্যেক মুহূর্তে খুব উৎসাহ নিয়ে ভরসা জোগায়
তারাই খুব নিঃশব্দের সাথে হাত থেকে তুলে নেয় হাত
অন্তত, আয়না তাই বলে -
******************************************************
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন