মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১

মুক্তগদ্য * কানাইলাল জানা





কলকাতার বাইরেও থিমপুজো


কানাইলাল জানা 

পর্ব- ১


গতবছরের মতো এবারও কলকাতার পুজোর ভীড় এড়াতে বেরিয়ে পড়ি মফস্বলে। প্রথম বিরতি বারুইপুর। ১৯৫৪ সালে জমিদারি প্রথা বিলোপ হলেও বহু জায়গায় থেকে গেছে জমিদারির চালচিত্র যেমন বারুইপুরের রায়চৌধুরী পরিবারে। উমাশঙ্কর রায়চৌধুরীদের এখনো আছে সেইসব দালান বাড়ির সঙ্গে বাগানবাড়ি। কিন্তু বধির হয়ে থাকা ঘরবাড়ির সঙ্গে থম মেরে দাঁড়িয়ে আছে নানা ফল ফুলের গাছ ও বৃক্ষরাজি। অবিরাম বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে যেন ভেসে গেছে তাদের অন্তরের কথা, তেমন কেউ নেই যাকে জানিয়ে কিছুটা লাঘব হবে মনোকষ্ট। সুটিংও হয়না আগের মতো,পুজোও বন্ধ বেশ কয়েক বছর তবে অল্প দূরে রথের মাঠ পেরিয়ে আর এক শরিক অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরীদের পুজোমন্ডপ সাফ হচ্ছে ধীর গতিতে কারণ আজ সবে পঞ্চমী। সুগন্ধি ধুপের মতো পরিবেশে ভাসা একটা পুজো পুজো ভাব আমাদের জড়িয়ে ধরে পরমানন্দে। রথের মাঠে চারাগাছের মেলা। দেখে উৎফুল্ল হল মন কারণ নাকতলার রথতলায় রথ উপলক্ষে একমাস ধরে চলে যে চারাগাছের সম্মেলন  তা দুবছর বন্ধ লকডাউনের কারণে। কিনি বেশ কিছু পছন্দসই  চারা। ক্যানিং মোড় কুলপি মোড় সোনারপুর মোড় হয়ে বারুইপুর মোড়ে ভীড় কম বরং আছে সুসজ্জিত পুজোমন্ডপ থিম পুজো সহ। দেখে মন ভরে গেল। 

এবার যাত্রা জয়নগর -মজিলপুর।   বারুইপুর কুলপি রাজ্যসড়কের হাল দেখে মাথায় হাতঃ মনে পড়ে স্কুল বেলায় গ্রামে একসঙ্গে ধরা পড়া তিন ডাকাতের অবস্থা। মার দিতে পারা ওস্তাদরা বাসের মধ্যে পেয়ে তিন ডাকাতকে এমন মার দিল ধড়ে প্রাণ আছে কিণা সন্দেহ। টেনে মাটিতে ফেলে দিল যখন গ্রীষ্মকালে সকাল ইস্কুলের পথে চলেছে ছাত্ররা। কেউ কেউ বীরত্ব দেখাতে লাথি কষিয়ে বলছে 'কেমন ডাকাতি করা।' হায় তখন যে লাথি খাওয়ার অনুভূতিটাই চলে গেছে! তেমনি ধ্বস্ত অবস্থা বারুইপুর -কুলপি ৪৮ কিমি রাস্তা। আমাদের পাইলট সাজিদ বয়সে তরুণ কিন্তু তার বোধ হয় জানা ছিল না রাস্তার হাল তাই মুখ বুজে নাচতে নাচতে চলেছে গরুর গাড়ির গতিতে। ক্রমে কুমারহাট সূর্যপুর হাট সরবেড়িয়া দক্ষিণ বারাসাতে পড়ল কিছু আড়ম্বরহীন পুজোমন্ডপ, ভীড়ের বালাই নেই। এবার বহড়ু। রাস্তার দু'ধারে মুখোমুখি বালক ও বালিকাদের দুটি বিরাট স্কুল বাড়ি দেখে মনে হল দীর্ঘ দিনের পোষিত গাম্ভীর্য ভেঙে এক্ষুনি নেমে পড়বে মল্লযুদ্ধে। তারপরই এল জয়নগর-মজিলপুরের 'শান্তি সঙ্ঘের' নামকরা পুজো। এই অঞ্চলে আদি গঙ্গাকে বেঁধে পরপর দিঘি। টলটলে জলের আয়তাকার তেমনি এক দিঘির পাড়ে 'শান্তি সঙ্ঘের' পুজোমন্ডপের সামনে বসল আমাদের আড্ডা। সঞ্চালনায় বুড়োদা মানে জয়নগরের বিখ্যাত সাহিত্য মনস্ক ব্যক্তি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ করোনাকালে লিখেছেন একশোটি র মতো কোবিড নাইন্টিন কে নিয়ে কবিতা, শোনালেন দুটি জমজমাট করোনা-কবিতা। দেখালেন মাঠের এককোণে ওলাবিবির মন্দির। সুন্দরবনের ভেতরে যেমন বনবিবি এখানে তেমনি ওলাবিবি। আগে ওলাওঠা  বা কলেরায় মারা যেত অগণন মানুষ সেই উদ্দেশ্য মুক্তি পেতে গড়ে ওঠে এই মন্দির। একই ঘরে হিন্দুদের যেমন উৎসব হয় বিভিন্ন পালা পার্বণে তেমনি হয় মুসলমানদেরও, চালু আছে মুরগি বলি প্রথাও। পাশের বহড়ু আবার প্রিয় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং মহান গায়ক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গ্রাম। যদিও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম বেনারসে। তাঁদের পাড়ার কিছু খবর দিলেন বুড়োদা। মজিলপুরের জন্ম মজে যাওয়া আদি গঙ্গা থেকে। জয়নগরের সঙ্গে মিশে তৈরি হয় জয়নগর-মজিলপুর পৌরসভা। রাস্তার ওপারে বাজারে আকাশ ছোঁয়া যে মুড়ির বস্তা লাট হয়ে আছে, সেখান থেকে ক্লাবের বাৎসরিক আয় গড়ে ছ' লাখ টাকা। এছাড়াও আছে আয়ের নানা উৎস। তাই খুব স্বাভাবিক 'শান্তি সঙ্ঘের' পুজোটি হয় থিম নির্ভর এবং জাঁকজমক পূর্ণ।  পুরো সেজে ওঠে নি পঞ্চমীতে। 

 মজিলপুরের মোড় থেকে পূর্ব দিকে গেলে পড়ে ভট্টাচার্যি পাড়া। যেখানে আছে দুই অবিস্মরণীয় ব্যক্তির মর্মর মূর্তি। একজন শিবনাথ ভট্টাচার্য যাকে  সবাই চেনেন শিবনাথ শাস্ত্রী বলে। শুধু আত্মচরিত লেখা র পথিকৃত নন 'সোমপ্রকাশ' সাপ্তাহিক সম্পাদনাকালে তিনি হরিনাভি (বাসভূমি ছিল কিছুকাল) ও রাজপুর অঞ্চলের উন্নতি বিধানে ধারাল ও যুক্তিপূর্ণ সব কলম লিখতে থাকেন যার ফলে ১৮৭৬ সালে তৈরি সম্ভব হয় রাজপুর পৌরসভা যা এখন রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভা বলে খ্যাত। কোনো সাময়িক পত্রিকায় ক্রমাগত দাবি করে পৌরসভার জন্ম দেওয়া তাও পরাধীন ভারতে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। 

মজিলপুরের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য সারা দেশে বিপ্লব বাদের এক নজির বিহীন ব্যক্তিত্ব। রাইটার্স বিল্ডিং অলিন্দ যুদ্ধের অন্যতম নায়ক দীনেশ গুপ্ত ও বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক গার্লিক। কানাইলাল তাঁকে আলিপুর কোর্টের মধ্যেই রিভলবারের গুলিতে হত্যা করেন ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই এবং নিজে পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে মৃত্যুবরণ করেন। যাঁর পকেটে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিলঃ 'ধ্বংস হও, দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসি দেওয়ার পুরষ্কার লও- ইতিঃ বিমল গুপ্ত। মেদিনীপুরের জেলাশাসক পেডি হত্যাকারী বিমল দাশগুপ্ত ফেরার ছিলেন। ছদ্মনাম নিয়ে কানাইলাল নিজ জীবনের বিনিময়ে বিমল দাশগুপ্ত কে রক্ষা করেন। পুলিশ দীর্ঘদিন তাঁর প্রকৃত পরিচয় উদ্ধার করতে পারে নি। এমনকি শনাক্তকরণের সময় কানাইলালের মা কাত্যায়নী দেবী বড় অভিমানে ছেলের দেহকে অস্বীকার করে বলেন 'এ তাঁর কানু নয়।' বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের নামে দুটি রাস্তা হয়েছে। একটি তাঁর জন্মভূমি মজিলপুরে অন্যটি আলিপুর বেকার রোডের নাম পাল্টে যে রাস্তার কাছে আমার বাস ছিল প্রায় আঠার বছর...


পর্ব-২


জন্মস্থান বা উৎসস্থল থেকে দূরে গিয়ে শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে অনেক কিছুরই। যেমন ফুটবল ক্রিকেট হকি। উৎস ইংল্যান্ড কিন্তু ফুটবলের সৌন্দর্য প্রাপ্তি ব্রাজিলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায় এবং হকি অবিভক্ত ভারতে। 

ওপার বাংলার কতো মানুষের প্রতিভা বিকশিত হয়েছে এপারে আসার পর। উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও। নেড়ে লাগালেই সম্বৃদ্ধি। যেবার বীজ ফেলে চারা নেড়ে লাগালাম বীট-গাজর, এতো স্বাস্থ্যবান হল তারা, বিশ কেজি দিয়ে এলাম সব্জি ঠেকে বিক্রির জন্য। এতো কথা এজন্যই যে জয়নগরের মোয়া আর তত ভালো তৈরি হয় না যটতা ভালো হয় বহড়ু-তে। জয়নগর থেকে বিষ্ণুপুর মোড় হয়ে ডাইনে কারবালার তেমাথা পর্যন্ত সুসজ্জিত পুজোমন্ডপগুলি গ্রামীণ উজ্জ্বল্যে দীপ্যমান। ভীড়ও পাতলা। কারবালা-র মোড় থেকে একটি রাস্তা গেছে ডায়মন্ডহারবার, সোজাটি কুলপি। 

এই প্রথম দুকিমি মতো রাস্তা কোনো ক্ষত ছাড়াই  নির্জনতার আভা নিয়ে শুয়ে আছে পরম আহ্লাদে। বাসুদেবপুর এসে প্রশস্ত রাস্তার দু'ধারে স্লুইসগেট। পরিষ্কার পরিছন্ন। হয়তো আড্ডা বসে সন্ধের আগে। এখানেই সেরে নিই লাঞ্চ মানে বাড়ি থেকে আনা রান্না করা খাবার। সাজিদ ময়ূরাক্ষী মধুমিতা মিলে আমরা চারজন। হঠাৎ এক যৌবনদৃপ্ত স্হানীয় লোক এসে জাল ফেলল স্লুইসগেটের সামনে ফর্সা জলে। কিন্তু মাছ তো দূরের কথা গেঁড়ি শামুকও এলনা। হতাশ হয়ে বসে পড়ল থপ করে। আর তখনই পানামুক্ত পুকুরে ভুস করে যেমন ভেসে ওঠে কালবোস তেমনি একটি জাল ফেলার দৃশ্য ভেসে উঠল মনেঃ একবার নিজেদের পোনাপুকুরে খুড়তুতো কালীদা পরপর তিনবার জাল ফেলেও পেল না তেমন কিছু মাছ। দুপুর প্রায়। খন্দবাড়ি থেকে ফেরার পথে বাবা দাঁড়িয়ে পড়লেন বাবলাতলায়। আসলে চার হচ্ছিল না বাঁশকাঁটা জড়িয়ে থাকায়। কালীদার হাত থেকে জাল-টা নিয়ে কাঁটা ছাড়িয়ে ৬০ ডিগ্রি ডাইনে ঘুরে এমন স্টেপ নিলাম গোল হয়ে খুলে গেল গোটা জাল। ধরা পড়ল প্রচুর মাছঃ কাতলা রুই মৃগেল বাটা মৌরলা..। কিন্তু নিতে নেই সবটা। দেখে বাবা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলেনঃ 'কালী-র থেকে দেখছি কানু-ই ভালো জাল  ছুড়তে পারে।' ওফ্ফ কী প্রাপ্তি! জীবনে কঠোর কঠিন স্বাধীনতা সংগ্রামী হাসপাতাল না-দেখা ঊননব্বই বছর আয়ুপ্রাপ্ত সুপাঠক বেঁচে থাকলে শতবর্ষ পেরিয়ে যেতেন যে বাবা কোনোদিন কোনো ছেলেমেয়ের কোনো রকম প্রশংসা করেন নি লেখাপড়া ও ব্যবহারিক জীবনে সকলের স্বচ্ছতা থাকা সত্বেও। তাই এই প্রশংসা অভাবিত আমার  জীবনে। তা-ও জাল ফেলে মাছ ধরে! 

আকাশের চোখ কখনো আধবোজা কখনো খোলা। মেঘছেঁড়া রোদ ফড়িং হয়ে লাফাচ্ছে ধান মাঠে। ঘন সবুজ।   যখন প্রবল বন্যার ফলে আমাদের শিমুলিয়া ও পাশ্ববর্তী সব গ্রামের ফাঁকা মাঠঘাটে ছাগলের মতো মুখ নিচু করে চরে বেড়াচ্ছে শুধু হাহাকার। ভাগ করার নয় এ দুঃখ বেদনা। আবজলে এখানকার ধানগাছ খ্যাপাছেলের মতো মাথা নোয়ানো। কিছুক্ষণ ফিরে যাই অতিবাল্যেঃ নিজের গ্রামের পুজো ছাড়াও দেখতে যেতাম দূর গ্রামের  দুর্গা। সঙ্গী জ্ঞাতিভাইপো বুধরঞ্জন। মাঠের মাঝখান দিয়ে কাঁচা রাস্তা, তাকে ছাড়িয়ে গর্ভবতী ধানগাছ। সলমা জরির মতো প্রত্যেকটি ধানগাছ মায়ায জড়ানো। যাওয়ার পথে বয়সে বড়ো ভাইপো চিনিয়ে দিত বিলের জলে মাছের ঘাইঃ কোন ঘাই-টা ভেটকি-র, কোনটা কই-র,কোনটা  শোলমাছের। তখন বিদ্যুৎ আসেনি। তাই সন্ধের আগে ফেরা। পড়ন্ত বেলায় বদলে যেত মাছের ঘাই। তখন চিনিয়ে দিত কোন ঘাই-টা জলখাই-র, কোনটা ট্যাংরা-র,কোনটা ল্যাটা মাছের..

এদিকে মাঠের দক্ষিণে আপ ডাউন নামখানা লোকালের সর্পিল গতি যেমন মনোমুগ্ধকর তেমনি স্মৃতি জাগানিয়া। খানাখন্দভরা রাস্তার কাদাজল ছিটিয়ে অবশেষে আসা গেল লক্ষ্মীকান্তপুরের বিজয়গঞ্জ বাজার। থিমপুজো দেখে আর পানিফল খেতে খেতে কুলপি। বন্দর গড়ে ওঠেনি তো কি,কুলপির মাটির স্পর্শ গন্ধ তো পেলাম। এখানে রুদ্র পালদের প্রতিমা, অভাব নেই আর্ট ও মন্ডপ সজ্জার। 

এখন ১১৭ নং জাতীয় সড়ক। ঝকঝকে, গড়িয়ে যাওয়ার মতো। অল্প সময়ে পৌঁছে যাই ডায়মন্ডহারবার। হুগলি নদীর অজেয় বিস্তার ও ভাবগম্ভীর ঔদার্যে যখন কিছুক্ষণ হারিয়ে যাব ভাবছি শুরু হয় আলাপ ও প্রলাপের মতো বৃষ্টি পড়া, কিছুপরে রসগোল্লা ও পান্তুয়ার মতো গোল গোল ভারী বৃষ্টি। অগত্যা গাড়িতে বসেই পেরিয়ে যাই ঐশ্বর্য ও জাঁকজমকপূর্ণ এক একটি পুজো প্যান্ডেল। করোনা বিষয়ে এখান থেকে শুরু পুলিশের কার্যকরী ভূমিকা। ছেড়ে দিই প্রস্তাবিত ফলতা বজবজ পুজালী রুট। সরিষা ফতেপুর শিরাকল বিষ্ণুপুর আমতলা-র পুজোমন্ডপ ও প্রতিমা সৌন্দর্যে ও মহিমায় কেউ কারো থেকে কম নয়। বেহালা-র ভীড় ও করোনার ঢেউ যদি ধেয়ে আসে কিছু বাঁ হাতে সরিয়ে ঢুকে পড়ি ডাঁয়ে পৈলানে। সোজা নেপালগঞ্জ। এ রাস্তায় এসেছি কয়েক বার। তুলতুলে। এখন জায়গায় জায়গায় ডোবা। ৯৮℅ বেশি বৃষ্টি যে এ বছর। এবার ও. এন. জি.সি মোড় ঘুরে 'পার্পল স্টুডিও' যেখানে 'দাদাগিরি' ও বহু জনপ্রিয়  সিরিয়াল সিনেমার সুটিং হয়, কিছুটা বিবর্ণ। সবশেষে বাড়ির কাছে বিশাল 'দাসানি' স্টুডিও র গেটে,  আজ থেকে পুজোর ছুটি। রূপকথার মতো স্টুডিও-র ভেতরের সেট আর পরিত্যক্ত অঞ্চলের মতো বাইরের পরিবেশ দেখে ভাবি এমন কতো কিছু বাস্তবকে তুড়ি মেরে ফেলে দিতে হয় অভিনয়ের বাইরে...


                                                                                               (  ক্রমশ )


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন