কবি সুদীপ দাস-এর দুটি কবিতা
হাজিরা
একটা হাজিরা খাতায় সই করলেই
নামহীন চরিত্রদের সংলাপ হারিয়ে যায়
অজ্ঞাতবাসের কেয়াঝোপ তেতে ওঠে
জামা-পাতলুনের নীচে
সঙ্গে একটা ক্ষীণ রক্তের রেখা
পা বেয়ে নামে ক্রমশ
শেষে মর্নিংওয়াকের জুতোয় ঢুকে
পাড়ার খেঁকি ডালকুত্তা
এগজস্ট ফ্যানের তেলকালি সাফ করার সময়
রঙ্গদার হৃদ্স্পন্দন দেখা যেত হাতের স্ক্রুডাইভারে
এগজস্ট ফ্যানের মতোই পাতা ফড়ফড় করতে থাকা
আরেকটা হাজিরা খাতা -
এগিয়ে আসে আমার দিকে, আমি কোনওক্রমে সই করি
রঙ্গদার মতো কাশতে কাশতে জল চাই এক গ্লাস
হাতের গ্লাস কাঁপতে থাকে -
আর গ্লাসের জলে একটা রক্তের রেখা ভেঙেচুরে যায় কেবলই
গোলরাস্তা
সিঁড়ি টপকানোর তাড়াহুড়োয়
কালি উলটে গেছে দেশের মানচিত্রে
দরজা বন্ধ করার শব্দে
সমুদ্রসৈকতের লাল চলমান বিন্দুগুলো উধাও
যতো ভাবছি এগোচ্ছি
আসলে গোল রাস্তায় ঘুরছি
ঘুরেফিরে দেখা হচ্ছে
পুরোনো পোকায়-কাটা মানুষগুলোর সঙ্গেই
ওদের হাতগুলো কি ঠান্ডা !
সবসময় কাঁপে
হাত ধরব ? নাকি করমর্দন করে ছেড়ে দেব ?
খাটে ফুলছাপ চাদরে শুয়ে অদৃশ্য উন্মাদ
ভাবছে তার শরীরটা একটা আস্তাবল
একে একে সব ঘোড়া
সেই আস্তাবল ছেড়ে চলে যাচ্ছে
সমুদ্রের খোঁজে
***************************************
অগাধ জলে খড়কুটো। দর্শনবোধে অনবদ্য।
উত্তরমুছুনভারি সুন্দর!
উত্তরমুছুনগভীরতা অসীম।
উত্তরমুছুন