মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১

সুদেষ্ণা ব্যানার্জী





কবি সুদেষ্ণা ব্যানার্জী-র দুটি কবিতা 


কবিতা-আশ্রয়


কবিতার বিগ্রহ সনাতন নয়।

প্রতিটা সন্ধ্যা চুরমার হয়।

প্রতিটা রাত খানখান হয়।

দুঃস্বপ্ন, প্রতিশোধ, ঈর্ষা, কবিতা হতে পারে না।

কবি নই,

কেবল কবিতা বুকে করে শুই;

কলমের নিব বেয়ে নেমে আসে বাল্মিকী;

ক্রৌঞ্চমিথুন বিষাদ গাঁথে শব্দে;

চাঁদের কলঙ্ক বর্ষীয়ান হয়ে পড়ে;

কবিতার বুক চিরে শ্লোক তৈরী হয়;

একা একা জ্বরের ঘোরে চলে যাই

কালানুক্রমিক সব ভেঙ্গে, বিভিন্ন সময়ে।

অথচ আমি ফ্রেমের বাইরে।

এক অক্টেভে স্থায়ী রাগে

বুনে চলে চোখের জলের বৃথা দাগ।

সব দৃশ্য, সব প্রেম, সব দুঃখ, সমস্ত বিচ্ছেদ,

অশ্বের ক্ষুরের মতো ছাপ ফেলে।

আমি শুধু ছুটে চলি ,ছুটে চলি...



কবিতা-গর্ব খর্ব


গর্বিত অস্বীকার মেখে ছুঁতে চাও দিগন্তের মেঘ;

জল, আকাশ, সূর্য ও চাঁদের মাঝে নিশান;

নিশান যত দোলে ঘৃণায় ফিরোজা হয় দু:খ।

পরস্পরের দিগন্ত ছুঁতে চেয়ে ছুঁয়ে ফেলি ব্যবধান।

হৃদয় ততোই শস্যহীন হয়ে পড়ে বাঙ্ময় নীরবতায়।

পাখিদের সংসার, বৃক্ষের দিন অতিক্রম করে,

ফিরে আসি হাঁড়ির ভিতর।

হাঁড়ির ভিতর সিদ্ধ হচ্ছে আমাদের কাটা অতীত,বর্তমান 

আর মগজের 

সোনালী খিদে।।


****************************************************



সুদেষ্ণা ব্যানার্জী

আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে সুদেষ্ণা জানাচ্ছেন,
' নিজের কাছে নিজে এতটা সাধারণ যে বর্ননা করার মতো কিছু নেই।
কবিতাকে আশ্রয় করে পথ হাঁটি।
কবিতা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে ঠিক কবে তা নিজেও জানি না।'


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন