কবি খগেশ্বর দাস-এর দুটি কবিতা
স্মৃতি ও ছায়া
কুসুমকুমারী বিদ্যাভবনের উল্টো ফুটপাতে
যে ছাতিম গাছটির নীচে আমরা
প্রতিদিন এসে দাঁড়াতাম
সেখানে এখন কাউকে আর দাঁড়াতে দেখিনা
গাছটি আগের মতো এখনও নিবিড় ছায়াময় ।
আমাদের অনুভবের স্মৃতিরা এখনও ওখানে
ঘুর ঘুর
পড়ন্ত রোদের দীর্ঘ ছায়া ঘাসের ওপর
মাঝে মাঝে খুশির পুলক সুদূর সময় ছুঁয়ে
এখনও কি শাখায় শাখায় দোলে ?
হঠাৎ নেমেছে মেঘে সাঁঝের আঁধার
বৃষ্টির জলীয় মায়া ঘাসে একাকার
অসহায় লাজুক স্মৃতিরা
ওপাশে আড়ালে ভেজে গাছের ছায়ায় ।
অনুসরণ
এমনি এমনি কাউকে বলিনি বসন্ত সখা
বাতাসের দোলে গাছেরা যখন দু'বাহু নাচায়
বনতলে পাপড়ি ছয়লাপ
যখন বনেদি গাছ সারারাত কাঁপে
কেবল তখনই বন্ধু বলে জড়িয়েছি তাকে ।
এমনি এমনি কাউকে বলিনি বসন্ত সখা
শুধু দুরন্ত কিশোর ডুব সাঁতারে যখন
দুপুরের নির্জন নদীতে ঢেউ তোলে
আনচান মনের খাঁচায় গান গায় বন্দী তোতা
দিগন্ত কাঁপিয়ে বাতাস তখনই দরজা জানালা খোলে ।
পরাণের মুক্তি খোঁজে ডানার সঠিক অবয়ব
আর যাকিছু অবৈধ প্রবল জোয়ারে ধুয়ে যায়
গোধূলির অমল আলোয় দূরতম ছায়া প্রসারিত
দিনান্তে মনের অনুসরণ প্রজ্ঞার বৈধ পরাক্রমে ।
**********************************************************
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন