কবি ধ্রুব চক্রবর্তী-র দুটি কবিতা
নিষ্ঠুর নই বলে
নিষ্ঠুর নই বলে,তোমরা আমাকে ভয় পাও
প্রকাশ্যে ডেকে বলো – অহংকারী।
নিষ্ঠুর হাতে কোনো সুচারু গোলাপ ছিঁড়ে
বলিনি কখনো – প্রিয়তম উপহার নাও
তাই,যে উঠোনেই যাই
রোদ্দুর হেলে পড়ে পশ্চিমে
ফুলেরা কুঁড়িতে মুখ লুকিয়ে জানায় – প্রবেশ নিষেধ।
নিষ্ঠুর নই বলে কোনো আয়নাই
যথাযথ ফোটায়নি মুখ
গভীর অসুখ বেয়ে একা হেঁটে গেলে
রাস্তায় নিয়নের আলো
লাল হয়ে জ্বলে – সাবধান!সাবধান!
নিষ্ঠুর নই বলে,ঈশ্বর ও শয়তান
সমব্যবধান রেখে দূরত্বে দাঁড়ায়
ইশারায় বলে – ভিনদেশী নাগরিক।
নিষ্ঠুর নই বলে,আমি আজো কবি ও প্রেমিক।
শেকড়
আশেপাশে কিছুই তেমন চেনাজানা নয়
না মানুষজন,না পথঘাট
অথচ এইখানেই আমাকে বেশ কিছুকাল কাটিয়ে দিতে হবে
- একথা ভাবতেই
ভেতরের মানুষটা গেয়ে ওঠে – এত দ্বিধা কিসের,শেকড় নামাও
তার উচ্ছ্বাস বুঝতে পারি
কারণ,শেকড় নামালেই
শরীর আঁকড়ে নেবে উন্মুখ মাটি
তারপর আদরে সোহাগে আলো আর হাওয়া
সম্পর্কের স্বাদ ছড়িয়ে দেবে
ডালপালা থেকে পাতায় পাতায়।
বৃষ্টি এসে ভেজাবে সবুজ
অবুঝ রোদ্দুর ঝলসে দেবে বাকল
বন্ধুতার আড়ালে কোনো নিষ্ঠুর ব্যাধ
রেখে যাবে কিছু ধারালো যন্ত্রণার দাগ,
আর এসব নিয়েই আমার – থাকা।
কিন্তু নিশ্চিত জানি,আজ
আনন্দে হাততালি দিতে দিতে
ক্রমাগত ভেতর থেকে যে
শেকড় নামানোর দাবি জানাচ্ছে,
দু’একটা রাত পেরোলেই
বিরক্ত ভ্রু কুঁচকে সে বলবে-
হচ্ছেটা কি? এবার পাততাড়ি গুটোও
অতএব সেই একই কাহিনী
অন্য কোথাও,একরাশ অচেনার ভীড়ে
আবার
শেকড় নামানোর তাগিদ চলবে আমার।
*****************************************
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন