কবি গৌতম কুমার গুপ্ত-এর দুটি কবিতা
বালি
শরীরের বালি খুঁজে চুয়া কেটে
সুখ ছেঁদে আনি কলমকুঠারে
কেটে কেটে আরাম বসাই
ভালবাসার চোরাকুঠুরীতে দৃশ্য ভাসিয়ে দিই
সে কেমন ওষ্ঠবাজি করে বিম্বৌচিত
উন্নত পীণে ধরে রাখে ললিত লাবণ্য
পাছাপাড়শাড়ি জুড়ে সে এক ভীষণ অনন্যা
নীরব হাসির গহনায় প্রেমজ সংক্রমণ
শরীরের জল খুঁজে কেটে কেটে
স্রোত ছেঁদে আনি কলমকরাতে
মনোজ নৌকা ভাসাই পালবাহী
ঢেউ আসে ঢেউ যায় প্রবল অথবা ধীরে
জাড্য ভুলে নগ্ন হয় শ্রমজ নীরের শরীরে
বয়স কিংবা ম্যাজিক
নিজস্ব মোড়ক খুলে দেখি বাতাস ধূ ধূ,শূণ্য স্বভাবে নিরাকার,হা হা
ম্যাজিক।
পোশাকে একরাশ আলো ঢুকিয়ে বোতামে নিভে গেল জোনাকির
সন্ধ্যা।
ইচ্ছে ছিল দীপ্যমান হবো পৌরাণিক প্রদীপে
এর ভাষা এতোই স্বরবর্ণ সরল সহজ
মনে হয় ডুব দিই খোলামেলা রঙে
জ্বলজ্বল নিভু নিভু বাতাসের মায়া।
সাদামাটা অনাড়ম্বর আমি আমাকে কে আর দেবে চকোলেটের
জৌলুস!
যেখানে সার্বজনীন প্রকারই ভিন্ন
হাই হ্যালোয় কাটছে তারিখের ভুলভাল নামচা
রোজ খুলে নিয়ে গেছে কবে
মুহূর্তের ইন্দ্রজালে বিশ্বাসের ঠাসা বেলুন।
পরক্ষণেই হ-ু উ -উ -উ -স কবুতর
উড়ে গেল হাতের মুদ্রা
বিছানায় ছেঁড়া ভাঙা মানুষের মতো দেখতে
একটা জীবহাত পা নেড়েই চলেছে।
*************************************************
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন