মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১

সুজন দাশ





কবি সুজন দাশ-এর দুটি কবিতা

 

ফড়িং 


উড়িস দেখি ঘাসের পরে,

ইচ্ছে তোরে রাখব ধরে!

দাঁড়া ফড়িং ভায়া,

যতই তুরে করছি রেখি,

ধরতে গেলে পালাস দেখি।

তোর পিছনে চোখ আছে কি?

বুঝতে পারিস ছায়া!


ঘাসের পরে ফুলের পরে,

যাই না যতই চুপটি করে।

ঠের পেয়ে যাস তুই,

দাঁড়া আমার লক্ষী ভায়া,

তোর মনে কি নেয়কো মায়া!

ইচ্ছে করে আদর করেই 

একটুখানি ছুঁই।


ফড়িং ভায়া ফড়িং ভায়া

বুঝতে পেরে আমার কায়া।

পালাস কেন ভাই!

কাতর কেন ছুটিস ভয়ে!

আমায় দেখে ব্যাকুল হয়ে।

আয় না কাছে আমরা দোঁহে

বন্ধু হয়ে যায়।



ডাহুক 


ডাহুক তুমি সকাল বেলা ঘুম ভেঙ্গে দাও ডেকে,

কিসের জন্য গলা ফাটাও একটু থেকে থেকে?

কষ্ট তোমায় পোড়ায় নাকি ধরায় নাকি জ্বালা,

নইলে কেন গাও রোজই একি রকম পালা!


বাচ্ছা নিয়ে সকাল বেলায় বেড়াও দেখি সুখে,

তখন তোমায় ভালোই লাগে দেখলে হাসি মুখে।

সাঁজের বেলা গাও আবার একি রকম গান,

গলা তোমার টনটনে খুব ভীষণ যেন টান।


তোমার ডাকে খোকা খুকুর ঘুমটি পালায় ছুটে,

পাপড়ি মেলেই ফুল কলিরা পুষ্প হয়ে ফুটে।

ফুল ফুটানোর তরে যদি তোমার এ হাঁকডাক,

বলতে তোমায় চাই না কিছু আজকে তবে থাক।


*************************************************



সুজন দাশ

জন্ম-১৯৭০ ইংরেজী সালের একুশে এপ্রিল চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার উত্তরভুর্ষি গ্রামে। তার  মাতামহ ছিলেন চট্টলার প্রখ্যাত কবিয়াল শশাংক মোহন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্যার আশুতোষ সরকারী কলেজ হতে ১৯৯১ ইং সনে বি .এস.সি পাশ করেন। ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখি শুরু ।বাংলাদেশ ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন বাংলা ভাষা ভাষী পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন।
তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা দুইটি।’অন্তর্দৃষ্টি’এবং ‘ক্ষমতার কেন্দ্র’।সমাজের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অসংগতি তার লেখার মূল উপজীব্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন