মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১

রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য





কবি রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য-এর দুটি কবিতা 


আঁধার-আলো


ব্রহ্মতালু বেয়ে শূন্য ওজনে

নামে অজানা স্তোত্র, 

আঁধারের পাখসাটে শ্বাসের স্তম্ভ

 চুরমার মাঠ, 

ইঁদুরের যন্ত্রণা ফুসফুস ফুটো করে

নাগরিক নাগরিক বলে, 

চাঁদের আলো চিরে আগুনের শ্লাঘা

পোড়ায় গ্রামীণ অসুখ, 

নাগরিক-পোকা -গ্রামীণ কোষ জুড়ে

চু কিৎ কিৎ খেলে। 

হেরে যায় ব্রহ্মতালু পায়ের গতির কাছে, 

শহুরে শরীরে গ্রাম্য নাগর ভেসে 

মানচিত্র ভাস্কর্য গড়ে, 

অজানা স্তোত্র আলো চুরি করে আলোকে দেয়, 

চোখপথে খাবি খায়

জলবিন্দু, রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছাই হয় 

মৃত্যুমুখর নাগরিক প্রজ্ঞা , গ্রাম্য বোধ.... 

মিডিয়া মিডিয়া মুহূর্তে খেয়ে নাও

ব্রহ্মতালু ক্বাথ... 

স্তোত্র রক্ত-মাস গিলে নিয়ে করোটির 

সাথে খেল আলো-আঁধার



অপেক্ষায়


সময় আমায় দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়

অবসর, 

তাথৈ দিনে এসরাজ রাতে  অন্ধমুণির

পুত্র জল ভরে নিরন্তর, 

শব্দভেদী বাণ দিয়ে হত্যা করি শুশ্রূষা, 

খুন হয়ে যায় ধ্বনি, আমি অকারণ অর্থ খুঁজে মরি 

আর অভিশাপ দিই, 

শব্দের গায়ে রক্তছোপ,

সময়ের যোনিচিহ্ন  যত্ন করে মুহূর্ত আঁকে, 

সঙ্গমের উৎসঙ্গে কবে তুমি যাবে অবসর! 


************************************************************




রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য

রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য পেশায় শিক্ষিকা। প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'আঁধারের বাউলগান'। গান শুনতে আর বই পড়তে ভালোবাসেন । কবিতা লেখা তাঁর জীবনের আশ্রয়।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন