মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১

বরুণ পাল





কবি বরুণ পাল-এর দুটি কবিতা 


জোছনা দিনে


সূর্যডোবা কাল আসন্নপ্রায় 

স্বপ্ন পথ এগোয় স্বর্ণরথে

সময় মাখে ধূসর সুবাস

রামধনুরং লাগে শূন্যবুকে


শব্দ ধরে নৈশব্দের স্পন্দন

চৈতন্য চোখে অন্য অন্বেষণ

আঁধার মেলায় দুই পার

আলো এলে হয় বিভাজন


নূপুর বাজে বৃষ্টির পায়ে 

ভাসানের সুর মেঘ জানে

অরণ্য চায় অনন্য যাপন

ফুরিয়ে আসা দিনের টানে


উড়ে যায় জোছনার বসন

ইচ্ছেরা ভাসে উজান  গাঙে

সন্ন্যাসী পাখি করে আহ্বান

বাতাস ধাক্কায় বধির কানে


গোপন প্রহর ভাঙে শব্দব্রহ্ম

সময় সরে যায় ফেরারী হয়ে

দেওয়া কথাও নিয়ে যায় ছুটি

কথা না রাখার অভিপ্রায়ে।

 


নষ্ট নোঙর


ধুলোয় ঘেরা স্বাধীন সময়

আজও তারা নিভৃতে কাঁদে

আলো আসে রুদ্ধ ইতিহাসে

 নষ্ট  নোঙর  ভাঙার  সাধে

 

অস্থির সময়ে ভাঙে ঘুম

ছায়াছাই বিকোয় নিলামে

এক আগুনে পোড়ে দুপক্ষ

টান পড়ে বারুদের বাঁধনে


ঝড়ে ওড়ে ওই স্বপ্নবাসা

বাবুই আবার তারে বাঁধে

সাধগুলো সব মুঠোয় ভরি 

দুর্জয় সাধ্য ভাঙার সাধে


লক্ষ ক্ষোভ শোনায় যে কানে

বিনা যুদ্ধে ছেড়ে না দিতে

ক্ষিপ্ত লাঙল দৃপ্ত হয়ে বলে

মাটি নরম থাকে মেহনতে


বাঁকানো পিঠে আর কতকাল

জীবন মসৃণ হয় মৃত্যু ছেনে

কাব্যকথায় আগুন খুঁজি তাই

আগামী পৃথিবীর অন্বেষণে।


*****************************************



বরুণ পাল 

  উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ থানার বাঁকড়া গ্রামে কবি বরুণ পালের জন্ম ৬ই কার্তিক ১৩৭৯। ছাত্রাবস্থাতেই কবিতাপ্রেম। তিন দশক ধরে বাংলা ও বাংলার বাইরে পত্রপত্রিকায় তাঁর সৃষ্টির প্রসার। ' পৃথিবী গাভীন হবে','এক সাহারা বৃষ্টি ' ও 'শঙ্খবেলা ' কবির প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।

দারিদ্র্য পেরিয়ে আসা জীবনের কথা মনে রেখেই বিভিন্ন সমাজসেবা ও বিজ্ঞান সংগঠনের সাথে তাঁর প্রত্যক্ষ সংযোগ।রবীন্দ্রসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান সংস্কার মুক্ত শিক্ষক - কবির প্রাণের সম্পদ।"স্বরবর্ণ"এর  পথ চলায় রয়েছে তাঁর অকুণ্ঠ সমর্থন।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন