কবি নিমাই জানা-র দুটি কবিতা
সমযোজী আগুন ও কাঞ্চনজঙ্ঘা
সমযোজী আগুনের নিচে রোপন কালের পাহাড় গজিয়ে ওঠে ,
স্বেদবিন্দুর কোকিলেরা নীলাভ বসন্ত চাইছে এখন
তার শিরদাঁড়ার কিছু লম্ব দ্রাঘিমাংশ নিয়ে স্থলপদ্মের চারা গাছ
রোপণ করেছি গ্রীষ্মকালীন আততায়ী চোখের ওপর
চোখ বড়ো কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো হিমশীতল এক সরাইখানা তার দুটো
উরুর মাঝখানে যে আদিম বন্যপ্রাণীরা গুহার তলদেশে খেলা করে .....
তারা প্রাচীন ভূগোলক পাঠের মতো সরলরৈখিক উর্বরতার কথা জানে
প্রাচীন পিরামিড আমি , ক্লিওপেট্রা নারীর পেছনে দাঁড়িয়ে কিছু রম্য
রচনা লিখে ফেলছি নেক্সিটো ৫ এমজি ঘোরে আমি নিরাময়
আত্মহত্যা রঙের মহিলার কণ্ঠস্বরে ভেসে আসি জানালার ঘুণপোকার
তলপেট দিয়ে
চেয়ে দেখো পাথর আমি কতবার অহল্যার কাছে এসে উদ্বায়ী হয়ে
গেছি স্ত্রী লিঙ্গের বিভাজিকার মতো ...
দীর্ঘকায় শ্যাওলার পিঠে এক অন্ধকার ডুবে যাচ্ছে প্রগাঢ় পূর্ণিমা
তিথিতে , আসলে শ্যাওলার পরিধেয় মৃত
দীঘল গিরিখাত ও মায়ের মৃতদেহ
রাত্রিকালীন সব পোশাক গণিতের জলে ডোবানো থাকে
আমি এক জোনাকির সর্বাঙ্গ দেহ থেকে বের করে আনি আমার
নিজের গলিত জীবনচক্র , অমর অশ্বত্থামার মতো
পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার পর রেচনতন্ত্রের যৌনসঙ্গম নিয়ে সবাই
মায়াকান্নায় জেগে ওঠে কৃমি কীটের মতো
চাঁদ একাকী হত্যার ধারাপাত পড়ছে
আমার বাড়ির পিছনে দেখি সব মৃত মানুষেরা মাথা উঁচু করে পা গুলো
পাতালের দিকে ঝুলিয়ে ঘুমিয়ে আছে
গায়ে ফারেনহাইটের উদ্বায়ী পালক
নিজের বিছানায় ও এখন ঘোড়াটির ভীষণ জ্বর
আমি ও এই সমকামীর নেশাখোর থেকে উঠে পালন করছি ১৫ দিনের
অশৌচকাল নিয়ন্ত্রিত সঙ্গম জীবন
আমাদের ভগ্নাংশ জীবনের চোখে কোনো মানুষের চোখে চশমা নেই ,
হাঁটতে গিয়ে ফিরে দেখি এক দীঘল গিরিখাত
মৃত্যুর পর আবারো মৃত্যু হবে হরিণ ছায়ার
আমি পালক আর মৃত মায়ের ভাঙ্গা অবয়ব কুড়িয়ে ভরে ফেলি এক
মাটির কৌটায়
সমতল ক্রমশ ল্যাটেরাইট হয়ে যাচ্ছে পিচ্ছিল সাপের ঠোঁটে
*****************************************************
অত্যন্ত শক্তিশালী ভাবনা ও শব্দের মেলবন্ধন ঘটিয়ে কবি সৃজনে ডুব দিলেন।
উত্তরমুছুনআমরা পাঠকেরা তবে কী পেলাম?
--অবিভাজ্য ভালোলাগার অনন্য অনুভব।
আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানালাম কবি ভাইকে।