মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১

গল্প * মৃণাল মাইতি


 


ক্যামেলিয়া

মৃণাল মাইতি


ক্যামেলিয়ার বিয়ের জন্যে দেখাশোনা চলছে। কিন্তু পাত্র পছন্দ হচ্ছে না । চার বছর ধরে অনেক ছেলে এসেছে । কিন্তু তার মনে ধরেনি । ক্যামেলিয়া বিএ পাশ । ডাগর চোখের সুন্দরী । বাবার একমাত্র মেয়ে। বাবা ব্যাঙ্কের ম্যানেজার । গ্রামে তাদের ছবির মতো সুন্দর দোতলা পাকা বাড়ি। বাড়ির চারিদিকে নানান ধরনের ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো । দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। ধানজমি , পুকুর, নারকেল-কলা-আমের বাগান, সব মিলিয়ে প্রায় কুড়ি বিঘা জমি রয়েছে ক্যামেলিয়ার বাবার। এক মেয়ে এক ছেলে । ক্যামেলিয়া বড় । ভাইটা এগারো ক্লাসে পড়ছে। বাড়িতে কাচাকাচি, ঘরমোছা, রান্না করা ইত্যাদির জন্যে কাজের বউ, মুনিশ মিলিয়ে রোজ পাঁচজন কাজ করে । যাইহোক, এমন একটি সম্পন্ন বাড়ির মেয়ে ক্যামেলিয়া ।

ক্যামেলিয়া যে ছেলেকে পছন্দ করবে তার সঙ্গেই বিয়ে হবে । মেয়ের সিদ্ধান্তের উপর পূর্ণ আস্থা আছে বাবা দ্রুপদ মিত্রের । কেমন পাত্র চায় সে ? ডাক্তার , না হলে অধ্যাপক, না হলে ইঞ্জিনীয়ার পাত্র চাই। দেখতে অবশ্যই সুদর্শন পুরুষ হোতে হবে। কার না হোক, কমপক্ষে মোটর বাইক চালাতে পারতে হবে। শহরে থাকতে হবে। রান্না জানতে হবে ইত্যাদি । 

মিত্র বাড়িতে এলাকার ঘটকরা সকাল বিকেল ভিড় করে। সুপাত্রের খবর নিয়ে আসে। পাত্র পছন্দ হলে মোটা টাকা ইনাম পাবে ঘটক। কিন্তু পাত্র আর পছন্দ হয় না। যদি বা ডাক্তার পাত্র এল কিন্তু সুদর্শন নয় । আলু ভাতে মার্কা গোলগাল সুবোধ বালক। রাফ টাফ ব্যাপারটাই নেই। যদি বা অধ্যাপক পাত্র পাওয়া গেল, কিন্তু সে গ্রামেই থাকবে , টিউশনি পড়াবে। এক কথায় টিপিক্যাল গাঁইয়া। যদি বা ইঞ্জিনীয়ার পাত্র পাওয়া গেল সে মোটর বাইক চালাতে জানে না। যাইহোক, এই রকম কোনও না কোনও কারণে পাত্র বাতিল চলছিল কয়েক বছর ধরে । পাড়া প্রতিবেশীরা ফিসফিস করে, দ্রুপদ কন্যার মেয়ে পাওয়া কি সহজ কথা ? এবার সয়ম্বর সভা ডাকতে হবে । ক্যামেলিয়ারও মাঝে মাঝে নিজেকে দ্রৌপদীর মতো মনে হয় । দিন গড়িয়ে যায় । বসন্ত আসে, বসন্ত যায় । ঝরাফুল সুকেশীর খোঁপায় শোভা পায় না। 

এমন সময় এক ইঞ্জিনীয়ার পাত্র এল। যাদবপুরের বি ই। একটি স্বশাসিত সরকারী সংস্থায় চাকরী করে । দুর্গাপুরে সরকারী কোয়ার্টারে থাকে। ছেলেটি তার এক বন্ধুকে নিয়ে নিজে মোটর বাইক চালিয়ে এসেছে। ক্যামেলিয়া বারান্দা থেকে এক ঝলক দেখেছে । ছেলেটা লম্বা , বাদামী গায়ের রঙ , জিনসের প্যান্ট শার্টে ছেলেটিকে বেশ স্মার্ট লাগছিল । প্রাথমিক ভাবে ক্যামেলিয়ার ভালো লাগল। কিন্তু নিজের মনের ভাব দ্রুত আড়াল করল সে।

দ্রুপদ মিত্র আলাপ করলেন ছেলেটির সঙ্গে । চা, মিষ্টির প্লেট এল । তারপর ছেলেটি ও তাঁর মেয়েকে  আলাপ করার সুযোগ করে দিয়ে সকলে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। প্রথম প্রথম ছেলে দেখতে এলে একটু সাজগোজ করত ক্যামেলিয়া। এখন সে খুব ক্যাজুয়েল থাকে । ক্যামেলিয়া অবশ্য যা পরে তাতেই ওকে ভালো লাগে । তবু কেন কে জানে , আজ সে তুঁতে রঙের শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং সব কিছু পরেছে। কিন্তু সাজের তেমন কিছু নেই । ক্যামেলিয়া আত্মবিশ্বাসী । সে জানে, পাখি যেমন সাপের চোখের দিকে তাকালে সম্মোহিত হয়ে যায়, নড়তে পারে না , তেমনি কোন ছেলের সঙ্গে তার আলাপ হোলে সে সম্মোহিত হয়ে যাবেই।

ক্যামেলিয়া স্মার্টলি তাকাল ছেলেটির দিকে। কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল সে। তার আগেই ছেলেটি বলল-‘আমি রঙ্গিত বসু । রঙ্গিত একটি নদির নাম। বাবা রেখে ছিলেন । আমার বাবা হিমালয় প্রেমিক।’ 

ক্যামেলিয়া মুগ্ধ হোল। খুবই সেনসেটিভ ছেলে । সে কি বলতে চাইছে আগেই বুঝতে পারছে। বলল- আপনি ক্রিকেট খেলেন ? 

- কেন মনে হোল ? 

- আপনার ফিগার দেখে ।

- হ্যাঁ , খেলি । তবে সেটা আমাদের করপোরেশনের টুর্নামেন্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ । 

- আমার নাম ক্যামেলিয়া ।

- পাঞ্চাল রাজকন্যার কথা এলাকায় সবাই জানে ।

দু’জনে এক সঙ্গে হাসল । রঙ্গিত পরিহাস করে আলাপের পরিবেশটাকে সহজ করে দিল । বলল - বাহ্‌ ভারী সুন্দর নাম । রবি ঠাকুর আপনাকে নিয়েই লিখে ছিলেন বুঝি ?

 ক্যামেলিয়ার চোখ ঝলমল করে উঠল । সে বাংলায় অনার্স পাশ । ডগমগিয়ে বলল,

- বাব্‌বা , আপনি রবি ঠাকুরের কবিতাও পড়েন বুঝি ? 

- দু একটা মুখস্ত করে রেখেছি। যেটাকে বলে টুকলি । দরকার মতো ঝুলি থেকে বের করি। না হোলে যে মেয়েদের মন জেতা যাবে না । এখন যদি আমাকে আপনি জিজ্ঞেস করেন ‘শেষের কবিতা’ কি রবি ঠাকুরের লেখা শেষ কবিতা ? না কি উপন্যাস ? আমি ফেঁসে যাব ।

ক্যামেলিয়া বুঝল ছেলেটি সহজ নয় । অতএব বুঝেশুনে খেলতে হবে। একটু গম্ভীর হয়ে বলল- দেখুন শেষের কবিতা উপন্যাস হোক বা কবিতা তা দিয়ে তো আর জীবন চলে না। 

- একদম ঠিক । 

- নিজে রান্না করে খান ? না কি মেসে ?

- নিজে রান্না করি । কাজের মাসি আছে । সব কেটেকুটে রেডি করে দিয়ে যায় । 

- মাছ মাংস সবই খান ?

- আমি পুরো মাংসাসী প্রানী । সপ্তাহে তিন চারদিন মাংস খাই ।   

- জামা কাপড় ?

- ধোবা এসে নিয়ে যায় ।

- অফিস আওয়ার্সের বাইরে কি করেন ?

- মোটর বাইক নিয়ে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াই । মদ খাই । কখনো বাড়িতে , কখনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে ।

রঙ্গিত ক্যামেলিয়ার মুখে সরাসরি তাকাল । ক্যামেলিয়া বুঝল রঙ্গিত তাকে রিড করছে । ক্যামেলিয়া মুখে সামান্য বিরক্তি ফোটাল। তারপর বলল। 

- রেস্টুরেন্ট কোথায় ?

- দুর্গাপুরে ভালো ভালো রেস্টুরেন্ট আছে ।

- আপনার সখ কি ?

একটু ভেবে রঙ্গিত বলল,

- মদ খেয়ে জ্যোৎস্না রাতে দুরন্ত গতিতে মোটর বাইক চালানো । 

- অ্যাক্সিডেন্টের ভয় করে না ?

- না । মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখে আনন্দ পাই ।

ক্যামেলিয়া অবাক হয়ে তাকাল । একটু নীরব থাকে বলল- আর কি ভালো লাগে ?

- আর হলিউড মুভি দেখতে ।

ক্যামেলিয়া একটু ভাবল । তারপর বলল,

- টাইটানিকের রোজকে কেমন লাগে ?

- হার্ট থ্রব । কাঞ্চনজঙ্ঘা সুন্দর । তা বলে সেখানে থাকা যায় নাকি । কাঞ্চনজঙ্ঘা দূর থেকে উপভোগ করতে হয় । 

ক্যামেলিয়া তীক্ষ্ণ চোখে রঙ্গিতকে জরিপ করল । বলল,

- বেড়াতে ভালোবাসেন না ?

- হ্যাঁ । 

- কীসে যেতে পছন্দ করেন ?

- রাজধানী এক্সপ্রেস , কিংবা ফ্লাইটে ।

- এগুলোতে তো অনেক টাকা খরচ হবে ? 

- জীবন তো একটাই । কে বলতে পারে আমার পৃথিবীটা আজ রাতেই নিভে যাবে না ? আমি প্রতিটি দিনকে আনন্দের সঙ্গে কাটাতে চাই ।

ক্যামেলিয়া মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে । রঙ্গিতের জীবনকে দেখার চোখ দেখে অবাক হয়। 

- গ্রামের বাড়িতে আসেন ?

- হ্যাঁ । দু-তিন মাসে এক বার ।

- আপনাদের বাড়িতে কি গ্যাসে রান্না হয় ? 

- না । নারকেল পাতার আগুনে । আমাদের একটা ছোট্ট টালি ছাওয়া মাটির বাড়ি আছে । আমার মা মাটির উনুনে গাছের শুকনো ডাল-পাতা জ্বালিয়ে রান্না করেন ।

- আপনাদের বাড়িতে ইলেকট্রিক নেই ?!

- না । কেরোসিনের তেলে হারিকেন ও লম্ফ জ্বলে । 

ক্যামেলিয়ার মুখ বিষণ্ণ হোল । রঙ্গিত সবই লক্ষ্য করছিল । ক্যামেলিয়া জানালার বাইরের দিকে তাকিয়ে মৃদু সুরে বলল- একে বারে একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করব ?

- অবশ্যই ।

- কারও সঙ্গে আপনার অ্যাফেয়ার ছিল ?

- হ্যাঁ ।

ক্যামেলিয়া টানটান হোল । বলল,

- রিলেসনটা কি এখনো কনটিনিউ আছে ?

রঙ্গিতের মুখে শব্দহীন হাসি ফুটল । বলল,

- তাই হয় । রিলেশনটা কনটিনিউ রেখে আপনার সঙ্গে আলাপ করতে আসা যায় ? না । ব্রেক আপ হয়ে গেছে ।

- মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে ?

- না ।

- সম্পর্কটা কতো দিনের ?

- বছর পাঁচেকের । 

- ও । সমস্যাটা কোথায় ছিল ? 

- ওকে চাইতাম ।

- মানে ?

- ভেরি সিম্পল । ওকে চাইতাম , তাই ও চাইল না । যদি আমি ওকে রিফিউজ করতাম তাহলে ও আমাকে চাইত ।

     ক্যামেলিয়া অবাক চোখে তাকিয়ে রইল । আলাপ শেষ হোল । রঙ্গিত তার বন্ধুকে নিয়ে ফিরে গেল । কিছু সময় পরে মিত্র বাড়িতে শব্দহীন খুশির ঢেউ ছড়িয়ে পড়ল । এতো দিনে তাদের বাড়ির মেয়ের পাত্র পছন্দ হয়েছে । 

রঙ্গিতের বাড়ি বর্ধমান শহর থেকে আট কিমি দূরে একটি গ্রামের । মিত্রদের বাড়ি আরও দশ কিমি দূরে একটি গ্রামে। পরের দিন দ্রুপদ মিত্র রঙ্গিতদের বাড়ি পৌছে গেল । রঙ্গিত তাদের বাড়ি সম্পর্কে যা বলেছিল তা একে বারেই ঠিক নয় । রঙ্গিতের বাবা হাইস্কুলের হেডস্যার ছিলেন । এখন অবসর নিয়েছেন । সুন্দর বাড়ি করেছেন । একান্নবর্তী পরিবার । দুই ছেলে। রঙ্গিত ছোট । বাড়িতে পড়াশুনোর চর্চা রয়েছে । সব মিলিয়ে তাঁর খুবই পছন্দ । ক্যামেলিয়া বাবার মুখ থেকে সবই শুনল । রঙ্গিত নিজের সম্পর্কে বানিয়ে অনেক মিথ্যে কথা বলেছে সে বুঝল। এই প্রথম ক্যামেলিয়ার বুক থেকে ভালোবাসার আতর ছড়িয়ে পড়তে লাগল। সে এখন কস্তুরী মৃগ সম আপন গন্ধে ম ম  । রাতে তার ভালো করে ঘুম হোল না । 

প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেল , রঙ্গিতদের বাড়ি থেকে কোন খবর এল না । কোন খবরা খবর না পেয়ে দ্রুপদ মিত্র আবার গেলেন রঙ্গিতদের বাড়ি । রঙ্গিতের বাবা বললেন-‘দেখুন , ছেলে বড় হয়েছে । ওর যেখানে পছন্দ হবে , আমরা সেখানে ওর বিয়ে দেব । রঙ্গিত আমাকে বা ওর মাকে কিছু বলেনি এখনো ।’

গ্রামের বাড়ি থেকে রঙ্গিত কর্মক্ষেত্রে ফিরে গেছে । একদিন সকাল সাতটার দিকে একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন এল । এক অপরিচিত মহিলার গলা । 

- আপনি আমাকে চিনবেন না । আমি ক্যামেলিয়ার বড় মাসি । আমি দুর্গাপুরে থাকি । শুনলাম আপনি আমার বোনের বাড়িতে গিয়ে ছিলেন বিয়ে থার ব্যাপারে । ক্যামেলিয়ার সঙ্গে আপনার আলাপ হয়েছে । বিয়ের ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে ফোন করেছি।

রঙ্গিত প্রথমে কিছুটা বিব্রত হোল । তারপর সৌজন্যে মূলক নমস্কার জানিয়ে বলল,

- হ্যাঁ , ক্যামেলিয়ার সঙ্গে আলাপ হয়েছে । বেশ ভালো লাগেছে ওনাকে , ওনার পরিবারকে ।

- বিয়েতে আপনার মত আছে ?

সামান্য বিরতি নিয়ে রঙ্গিত বলল- না ।

- না কেন ? আপনিই তো বলছেন , আপনার ভালো লেগেছে ।

- আবার বলছি , ক্যামেলিয়া সত্যিই ভালো মেয়ে ।

- তা হোলে সমস্যাটা কোথায় ?

রঙ্গিত আবার কয়েক সেকেন্ডের বিরতি নিয়ে বলল,

- আসলে ওর যোগ্য নই আমি ।

     ক্যামেলিয়ার মাসি এবার বেশ অসহিষ্ণু হয়ে বললেন,

- আরে কি মুশকিল , ক্যামেলিয়ার তো আপনাকে পছন্দ । আপনি নিজেকে ওভাবে ভাবছেন কেন ?

রঙ্গিত বলল- দেখুন , আপনাদের মেয়ে সব দিক থেকে সুন্দর । ও সত্যিই পাঞ্চাল সুন্দরী। আমার চেয়ে অনেক ভালো ছেলে পাবে ও । আমি চাই ওর জীবনটা আরও সুন্দর হোক। 

ক্যামেলিয়ার মাসির গলায় অসহায়তা ফুটে উঠল । বললেন,

- কি অদ্ভূত ছেলে আপনি । আমাদের সকলের তো আপনাকে পছন্দ । ক্যামেলিয়া আমার পাশে বসে আছে। আমার কাছে ক’দিন হোল এসেছে। আপনি ব্যাপারটা বুঝুন । আপনার সমস্যাটা কোথায় ? 

- আমাকে ক্ষমা করবেন মাসিমা । সমস্যাটা হোল , এই মণিহার আমায় নাহি সাজে ।

- কি অবুঝ ছেলে ! আমি এমন সঙ্কটে কখনো পড়িনি। আমি আর কি করে বোঝাব ? আমি পারব না ।

ফোনটা কেটে গেল । রঙ্গিত স্বস্তি পেল । অফিসের কাজে সারাটা দিন কাটল । রাত প্রায় বারোটা বাজে । খেয়ে দেয়ে একটা অ্যাডভেঞ্চারাশ মুভি দেখছিল স্টার মুভিতে । এমন সময় মোবাইলটা বেজে উঠল । অচেনা নম্বর থেকে ফোন । টিভির সাউন্ডটা মিউট করে দিয়ে ফোনটা রিসিভ করল । মহিলার গলা । বলল,

- আমি ক্যামেলিয়া বলছি ।


************************************************************



মৃণাল মাইতি
 
দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনে চাকরি করেন । ‘ মৃণাল মাইতি ’ ছদ্মনামে লিখে থাকেন । ২০০০ সাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে আজকাল , আঃ বঃ পঃ , সংবাদ প্রতিদিন , গণশক্তি ইত্যাদি প্রথম সারির দৈনিক সহ দেশ, নবকল্লোল, শনিবারের চিঠি ইত্যাদি ম্যাগাজিনে নিবন্ধ , প্রবন্ধ, চিঠি , ছোটগল্প লিখে আসছেন। এ ছাড়াও লিটিল ম্যাগগুলির মধ্যে আন্দামানের ‘বাক প্রতিমা’, মুম্বইয়ের ‘প্রতিবিম্ব’, কলকাতার ‘ইসক্রা’, বাঁকুড়ার ‘গল্পলোক’, বহরমপুরের ‘সময়’, ঝাড়গ্রামের ‘সারথী’ ইত্যাদি ছোট পত্রিকায় নিয়মিত লিখে থাকেন । প্রকাশিত বই এখনো পর্যন্ত নেই । ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতা থেকে একটি বই প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে । 

1 টি মন্তব্য: