মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১

মিতালি চক্রবর্তী




কবি মিতালি চক্রবর্তী-র তিনটি কবিতা 


বৃক্ষ ও ব্রততী


তুমি বসন্ত লিখলেই আমার শরীর ‌তোমার 

ছোঁওয়াকে চায়,,,


আজকাল‌ হাত দুটো বড্ড ফ্যাকাশে হয়ে গেছে 

স্যানিটাইজারের আদরে,

ওখানে আর ফুটতে চায়না জাগরমুদ্রা।

বিপরীত রতাতুর আর্তি বোবা হয়ে গেছে কবেই


শুধুমাত্র  অপেক্ষায় আছে আধফোঁটা পদ্মকলি 

আর ‌বাগানভরা ফুলের সৌরভ।



উৎসব


পালিয়ে থাকার ব্যস্ততা আর এড়িয়ে যাওয়ার 

চাপানউতোর

মানিয়ে যায় অভিমানের সঙ্গতে,,,


বরং দোতারার সুর ছড়িয়ে পড়ুক যাপন মিছিলের 

চলমানতায়,

আগমনীর দিনগুলো চোখের পলকে কেটে গিয়ে‌ 

সুর সেধেছে বিসর্জনের বাজনায় ,

আনমিলা সাজনা প্রতীক্ষা প্রহরের ছায়ার 

দীর্ঘতা ভরিয়ে তোলে শব্দের সাক্ষাৎকার;


হৃদপড়শির জানালায় একাদশীর চাঁদখানি 

আলোয় আলোয়‌ ভরিয়ে দিচ্ছে খাটের উপর 

মেলে রাখা পছন্দের শাড়ি।

এই ছোঁয়ায় আদর মাখানো,


কখনো গভীর কখনো দায়সারা তবুও আদর    

প্রেয়সীর চোখের মত গভীর  সাদর।



জলসই


কৃষ্ণা প্রতিপদের চাঁদ ধরা দিল জলের বুকে,

চাঁদ তাকে ভালো বাসে এই বিশ্বাসের আশাসুখে


জলজীবন বয়ে চলে 

পল অনুপলের অশেষ প্রতীক্ষায়

চাঁদ ঘোরে আত্মপ্রবঞ্চনার চক্রবৎ  জ্ঞানাঞ্জন 

মোহমায়ায়।


অহমিকার তামসে আলোর অবরোধ কেঁদে ওঠে 

চিৎকার করে বলে আমিও আসঙ্গ চাই ,চাই,চাই,,,


তার ছায়াখানি বুকে নিয়ে জল জানে 

অমৃতস্নানবিনা শুদ্ধি নাই , মুক্তি নাই


*****************************************************



মিতালি চক্রবর্তী

জন্ম নদীয়া জেলার চাকদহশহরে। বসন্ত কুমারী বালিকা বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশকরে বনগাঁ দীনবন্ধু মিত্র কলেজ থেকে ইতিহাস এবং রাস্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হয়েছেন। বর্তমানে বিবাহিত সূত্রে বনগাঁ নিবাসী। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অজস্র গল্পকবিতা এবং উপন্যাস গ্রন্থিত হয়েছে। নিয়মিত কবিতা পত্রিকায় লিখে চলেছেন। বিভূতিভূষণবন্দ্যোপাধ্যায় অনুরাগী এবং সমাজকর্মী পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। লিটিল ম্যাগাজিন সম্প্রসারনের জন্য গঠনমূলক কাজকর্ম করেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ "আধোচেনা যাপনটি ছুঁয়ে" ২০১৯ জেলা বইমেলায় প্রকাশিত হয়।

1 টি মন্তব্য: