স্বপ্নদীপ রায় / তিনটি কবিতা
নীল
গর্ত খুঁড়েছি।
গভীরতা মাপার অবকাশ পাইনি।
ঐ গর্তেই ঠেলে ফেলে দিয়েছি আমার নারী বাড়ি গাড়ি।
এখন ধামাচাপার জন্য খুঁজছি
পৃথিবীর মাটি ধরে উদবৃত্ত কিছু ছাইভস্ম।
ওরাই আকাশের পোড়া রঙ চেনাবে
জোড়া দেবে উত্তরকালের গর্ভ
আমি বাইরে অপেক্ষা করব।
মৃদু মৃদু জল দেব গর্তের মুখে__
কঙ্কাল টাকে আরও একবার
বোঝাবো রক্তমাংসের পুঙ্খানুপুঙ্খতা__
খিদে পেলে মুখে গুঁজে নেব দগ্ধভস্ম
"রোজের মত দরজাটা খুলে রেখেছো তো উত্তরা!"
এইমাত্র শিখেছি চক্রব্যুহ ভেদ করার মন্ত্র!
রক্তস্রোত কাটিয়ে প্রথমবার মজ্জা পেয়েছে
ভস্মের আস্বাদ __
সম্মুখে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি_
ভারহীন ঠোঁটহীন নীল ছায়াবৃত্ত!
হলুদ
হাইস্পিড ইন্টারনেট
রাউটারেও ধরা পড়ছে না মিস্টিক খিদে__
ব্ল্যাক স্যাডো দেখেছি অনেকবার
পোষাক খুলে ফেলার লোভ
কোনবারও সামলাতে পারিনি
বিড়াল পুরো দুধের বাটি চেটেপুটে সাফ করে দিলেও
গোঁফে ঠিকই লেগে থাকে
অধরা আঠালো একটা হলদে খিদে __
ঐ খিদেগুলোর একটা কোলাজ করে
আজ সাজিয়ে রেখেছি
আমার শোয়ার খাটের ঠিক মাথার উপর_
পৃথিবীটা গুটি পায়ে যৌনতার ধুনি জ্বালিয়ে
মাঝরাতে তোমার আমার মাঝখানে নেমে এলেই
আমিও জাপটে ধরব তার অদৃশ্য হাত__
তাকে কড়ায় গণ্ডায় ঠিক বুঝিয়ে দেব
__আমার রুকস্যাক!
লাল
ভেজা খড়ে মাটির পোঁচ লাগতেই
কাশবন থেকে দশকর্মা ভাণ্ডার পযর্ন্ত হুলুস্থূল!
দেবীর দশ হাতে দশরকম নৈবেদ্য__
জোগান চাই!জোগান চাই!
দুর্ভেদ্য ত্রিশূলে শান দেয় কাঁসারিপট্টির ঠিকাদার
কত বাসন!কত কাজ!
ওদিকে মায়ের পায়ের নীচে অনুগত কাহার_
বুক চিতিয়ে মাটিতে নতজানু দেবারি_
বাকিটা পারফেক্ট ফ্যামিলি পিকচার।
সিংহের লকলকে জিভ
গর্ধভ মোষের কাটা মাথাও
জানে __এখনও বাকি পৌরুষের শেষ রক্তপাত!
ঘোমটা টানে কলাবৌ
অসুরদলনীর ফরমায়েশ__
আটপৌড়ে বৌমাই স্থান পাবে মহেশ্বরের আটচালায়__
সিঁদুর খেলা শেষ হলে উজানের পথ ধরে লাল স্রোত_
পাড়ে ঘাপটি মারে বিসর্জন....
*******************************************************************************************************



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন