কবিতাগুচ্ছ * নিমাই জানা
একটি মৃৎশিল্পী ও ১৩ এমজির লিবরাক্স নেসপাতি
জিভের নিচে থাকা রেক্টঙ্গুলার বিষ আর জিভের সাইন্যাপসের ভেতরে থাকা একটি কাঠের মৃৎশিল্পী সারারাত ধরে ইস্ট্রোজেনের হিমোফিলিক প্রমোদ দণ্ড গুলোকে জিভ দিয়ে চেটে চেটে খেয়ে নিচ্ছে বাড়জীবনের এক একটা ক্ষুধার্ত পুরুষ মানুষের মতো
আমার শরীরের দক্ষিণ দিক মানেই অযুত ব্রহ্ম খন্ডকের পিশাচেরা আজ ও ১৩ এম জির লিব্র্যাক্স খাওয়ার পর নাশপাতি বাগানের চিরহরিৎ সেন্ট্রিওল গুলো ১১৬ জোড়া বাদাম পালক নিয়ে ব্রহ্মপুত্রের মতো উড়ে গেল সলভেন্ট দ্রাবকের বাগানের ভেতর , চা বাগানের নারীদের এক একটি পোশাকের ভেতর বরফ শীতল তিস্তা নদী লুকিয়ে থাকে
মধ্য দুপুরে এখনো পেট্রোল পেট্রোল গন্ধ উড়ে বেড়ায় প্রতিটি আলপদ থেকে গলির কিনারা অবধি ,
একটি স্পার্টাকার্স নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নারীরা শুধু তলপেটের কাছে বিযুক্ত গোপন জবানবন্দি লিখে রাখে উল্টানো বর্ষাকালের শামুকের মাংসল সতিচ্ছদের উপর , নিশাচর কত প্রকারের হতে পারে গভীর জলাশয়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শিখিয়ে দেয় নিশিকান্ত বর্মন ,
অভেদের মতো গণিতের সমাধান করলেই কামার্ত গন্ধ চলে যায়
লিউকোসাইট পাখি ও পরাজ্যামিতির নারীদের কামাক্ষা তন্ত্র
রসায়ন ভেজা অসংখ্য বেঞ্জিন চিহ্ন গুলো আমাদের আর কোন ২০৬ টি হাড়ের মতো এক একটা গোপন বাৎসায়ন নিয়ে জলের ভেতরে থাকা সমাধি ক্ষেত্রকে খুঁজে বেড়ায় তিনটি নখর বিশিষ্ট বাতাবি লেবুর কাঁকন চিহ্ন দিয়ে , পায়ের কাছে অ্যালকোহলিক সাপেরা বিষ্ণু মন্ত্র পড়ছে ভবিষ্যৎ পুরান থেকে
গা থেকে ভুর ভুর আঁশটে গন্ধ আসতেই লিউকোসাইট পাখিরা ডাহুকের সব গোপনাঙ্গ ছিঁড়ে ছিঁড়ে এক লাল চন্দনের গোড়ায় উষ্ট্রাসনে শুয়ে থাকে তিনটি কেঁচোর সাথে
পাখির মত উড়ি আমি , ভৈরবী মায়ের মতো কামাক্ষা তন্ত্রের মন্দিরের কাছে এলে আমার সব অদৃশ্য জারজ ভ্রুণ ধীরে ধীরে নেমে যায় নদীটির গোপন কক্ষের দিকে, এখানেই প্রতিটি নারী বাইশটি মৃত ডিম্বানু মুখে নিয়ে লাইসোজোমের আইসক্রিম খাচ্ছিল পরাজ্যামিতির মতো
আমি মানস ক্ষেত্রে এসে আমার মস্তিষ্কের অতলে থাকা এক গোপন বৃত্তচাপ নিয়ে অর্জুনের মৃত সন্তানটির কোশল অঙ্গরাজ্যের দিকে চলে গেলাম আমরা চারজন , আমার বাবা মধ্য রাতের হাফ গেঞ্জির মত এ্যালজালাম পরিমিতির শিরদাঁড়া চিবিয়ে খাচ্ছে
টমেটো বীজের মতোই একটা ভূগোল বৃত্তান্তের ভেতর ঢুকে আমাদের নগ্ন ত্রিভূজ গুলো প্রতিদিন রাতে কাশ্যপ হয়ে যাচ্ছে চৈতন্য জন্ম নিচ্ছেন আগুন প্রহর কালে
অডিশেফ দাঁত ও রামচন্দ্র বলের দোতারা
কোন পারাপারের নাবিক আজ নেই, কাঠের পাঠাতনের উৎশৃংখল ঢেউগুলো সব পাঁজরভাঙ্গা অসুখ রেখে যাওয়ার আগে শুধু অডিসেফ নামক গোপন রামচন্দ্র বল দোতারা বাজিয়ে আমার দৈত্যের মতো চওড়া দাঁতওয়ালা সাপেদা বীজের মতো কালো ত্বকের রক্তগুলোকে চুষে নিচ্ছে ১৩ জন কসাইয়ের ভোঁতা জিভ ,
এই পারে যাবে না ও কেউ , তার গলিত পূর্বজন্মের অনাথ সাধিত দেহ ত্বকের নিচে আমাদের সাধন ক্ষেত্র , কাঁটাখালি পেরোলেই প্রতিটি পুরুষ বাবলা ফুল হয়ে যায় নোনা মাটির গর্ভস্থ আপেল ফল খেয়ে নেওয়ার পর , আমার নারী প্রতিদিন রাতে উঠে নিয়ন চোখ জ্বেলে নৌকার উপর সমকোণী বসে পড়ে শুধু পিচ্ছিল ক্রোনাজিপাম জিভ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে
এখানেই মাধব প্রতিদিন এসে ধনু রাশির জাতিকাদের নিয়ে উলঙ্গ নৃত্যে মেতে উঠতেন , স্তনে আঙ্গুলের ক্ষতচিহ্নের টোল খাওয়া এক একটা মালবিকার নক্ষত্র রেখে যেতেন সুধন্যার জন্য
রাতের মতো আর কোন এসপারাগাস জ্বর নেই বলে আমি ক্ষুদ্রান্তের নিচে বসে প্রতিদিন একটা মৃতভোজীর রবীন্দ্রনগর তৈরি করি , স্বপন সিনহা নামক এক নিউরোলজিস্ট রাতের অবৈধ প্লাজমা অঙ্কন করছেন চতুর্থ হাইপোথ্যালামাস দিয়ে
সত্যভামা ও কিছু লুব্রিকেন্ট বর্গমুল সংগীত
বিরজা ক্ষেত্রের সব সখীরাই নদীর বুকে ভেসে থাকা জলস্তম্ভের পরকীয়া স্রোতগুলোকে বুকের পাঁজরের মতো পরমাত্মা ভেবে নেয়, রাতে কোন নিলয় খণ্ড এক একটি মৎস্যগন্ধা পোশাক নিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের আকাশের দিকে উড়িয়ে দিচ্ছে , রাত্রিকালে শুধু বর্গমূল দরজার দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়
কৃষ্ণ রাধাকে চতুর্থ নারীর মতো ভাবতেন বলে সত্যাভামা কোনদিন সংগীতের মতো কঠিন স্বরলিপি জ্বরে ভিজে পরাবৃত্তের গণিত শিখে নিচ্ছেন মৈথুন হীন পিরামিডের ভেতর
তারপর আমাদের একপক্ষ কালের সঙ্গম বিরতি ছিল শুধু বাইফোকাল কাঁকড়া বিছারা এ দেহ খোলক ছেড়ে যাওয়ার আগে আমার কোন ঈশ্বরী আকন্দ ফুলের গোড়ায় বিজোড় নক্ষত্রদের জ্যামিতিক বিন্যাস করে দিচ্ছেন পঞ্চম চোখের লুব্রিকেটিং শল্কমোচন দিয়ে
একটি গৃহপালিত অসুখ প্রতিদিন রাত্রিবেলা কেঁদে ওঠে আমার বিছানার চারপাশে , আমি শুধু চিরহরিৎ মানুষটিকে নিয়ে মঞ্জিরা বাজিয়ে যাচ্ছি চতুর্থ কক্ষের উপর বসে , ইলেকট্রনের মতো একটি ঠান্ডা জিরাফ আমাদের সব নিউক্লিওলাস রজঃচক্রটিকে ভেঙে দিচ্ছে ব্রাহ্ম শাপের মতো তরল মস্তিষ্ক ,
শ্রীরাধার ধমনী বেয়ে যে মাকড়সা গুলো শাঁখ বাজাতে বাজাতে মহাজনপদের দিকে চলে যায় তাদের আর কোন নিউট্রিনাইজিং হরমোন থাকে না , আমি এবোরশন জাতীয় ভায়াগ্রা চাঁদকে নিয়ে মধ্য প্রহরে উঠে পিশাচ তৈরি করি নরম কাদা মাটি রঙের করোটি দিয়ে
ছদ্মবেশ পোশাক ও আমার কিছু নাশপাতি রঙের বীজ তলা
মৃত্যুর পর এই প্রথম আমার জরায়ুজ জন্ম হলো
তারপর আমরা কেউ ভুল করে প্রায় বাড়ির দিকে নেমে যাইনি বর্ষা কালের অতিপ্রাকৃত তরোয়াল নিয়ে , একটি পুরুষ মানুষ প্রতিটি রাতের জন্য ছদ্মবেশ পোশাক ধারণ করে
কংক্রিটের বুকের দুই পাশে একটা কসাই ওয়ালা মাংসের দোকান আদিগন্ত পূর্ব দিকে মুখ করে রক্তের উৎস্রোত আর নাড়িভুড়ি গুলোকে একটা রাস্তার কুকুরকে খাইয়ে দিচ্ছে।
ছিটকে আসে রক্ত আমার সাদা রঙের জামার ভেতরে থাকা এক লাল কাপালিকের চোখের দিকে , এই তো এইতো সবে তিনটি সাদা রঙের নাশপাতি কিনে বাড়ি ফিরলাম , টকটকে বীজগুলো আমাকে নিয়ে ঈশ্বরের কাটা মুন্ডুর মতো রক্তচাপ গড়িয়ে পড়েছিল চতুর্থ ও উপপাদ্যের নিচে
আমরা সবাই লাল ফোলিক অ্যাসিডের বীজপত্র খেয়ে নিতেই পৃথিবীর ভিতরে থাকা আগ্নেয় পাহাড় জমে যায় মৃত মানুষের দাঁতের মতো শূন্য নিয়ে , আমি ময়ূরী হতে চেয়েছিলাম বীর্য খাবার জন্য
শুধু রজনীগন্ধা ফুলের চাষাবাদ নিয়ে মৃত্যুর চতুঃসীমা বর্ণনা করছি আবহবিদের মতো , স্পর্শ মনি নিয়ে ব্রহ্মপুত্র খুঁড়ছি আমি
মৃত্যুর মতো অ্যামাইলেজের উপর অজস্র হরিণ দৌড়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সব ব্রাউনিয়ান মোশান ভেঙ্গে
ইছামতি ঈশ্বরী উন্মত্ত কৃষ্ণ ক্ষেত্রে এসে ইন্দ্রপ্রস্থের স্থানাঙ্ক খুঁজে নিচ্ছেন দীর্ঘ এক কমন্ডু জলে ডুবিয়ে , অগ্নি বলয়ের মতো আঙুলের কাছে ঈশ্বর আজ ব্রহ্ম খন্ড ছুঁড়ে দিচ্ছেন আরো চারজন অনন্ত লোকের দিকে
*****************************************************************************************************


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন