কবিতাগুচ্ছ * দীপংকর রায়
পাথুরে বোধনের কান্না শুনি কাশবনে
উৎসর্গ -- দীপ্তিশিখা দাস
১১
কোথাও একটু আলো চলকে উঠলে
মনে হয় বাতাসে ভেসে এলো মহানদী...
আচ্ছা , অন্ধকার কি বিশুদ্ধ হয় , ওই আকাশের নির্মল আনন্দে ?
তারাদের নিঃসঙ্গতা যখন হাঁটু গেড়ে পড়ে থাকে
রাতের ধু ধু ফসলশূন্য মাঠে .....
আমাদের ভেতরের নিরন্নতাকে কে আর জানে !
সেই সব পল্লির পথে পথে ; নগরের ধূসরতায় মেসে যখন সব পথ -----
তিনি কোথায় কোথায় ঘোরেন ?
কোন বিহবলতায় !
তিনি কি শুনতে পান
একটু আগে সমস্ত অন্ধকারের ভেতর থেকে একঝলক
আলো চলকে উঠেছিল বলেই
আজ আমরা তাঁর মুখ দেখলাম
এই সামান্য আলোয় ?
ও বিভঙ্গ তরঙ্গ
তুমি আরো দূরে চলে যাও ,
যে প্রাণ চলেছে ছুটে সেই অন্ধকারের মহাসমুদ্রে .......
১২
মনে হলো তার কাছে যাবো
দুহাতে তুলে ধরবো চিবুকটি ;
শরীরটাই আছে ,
শরীরে মন কই মনোরমা ?
ঘরের ভেতর হাউমাউ করে উঠলো চাঁদ-তারারা ---
উলঙ্গ দাঁড়ালো ;
এখন আমি কাকে ছুঁই ?
কার বুকের ভেতর নিঃসঙ্গ মুখটি ডুবিয়ে খানিক চিৎকার করে উঠবো ---
বলবো ,এই তো রক্তের তরঙ্গে সাঁতার কাটছো তুমি
আগুন-পলাশের ঢেউএ.... ঢেউএ....;
তবে কি বসন্ত এলো ওহে , তোমার প্রদীপে----?
এই রাত
আমাদের হাহাকারে আরো কত সহস্র বছর ভাসতে ভাসতে
চলে যেতে থাকবে যে,
সেই মহামিলনের অপেক্ষায় -----
১৩
তার বিচিত্র খেয়াল প্রহসন চেনালো ।
কী খেলায় মেতেছে ধর্মাধর্ম ?
জীবন চেনেনি জীবনের ন্যায়-অন্যায় ;
নৈঋতে আছো ?
উত্তরে , দক্ষিণে পশ্চিমে , পুবে ----
যতোই চাও না কেন
সব বিফলে ;
আছি , তবুও আছি ,
সকল চৈতন্য জুড়ে আমিই ---- দেখ তো তোমার আমাকে ঘিরে ;
যত দূরেই যাও না কেন , যতই ফেল না কেন জাল ;
কুয়াশার সকল বৈচিত্র্য তুমি হাঁটুতে ভাঙতে পারোনি ,
দুচ্ছাই বলে ; নিয়রে মাখামাখি এই যে অঘ্রাণ -----
পথে পথে করে চলেছি প্রদক্ষিণ ---- চালতা বনে , বকুলে , মুকুলে
যে অর্যুণবৃক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম একদিন নির্জনে ,
সে কান্না-কথায় দুর্বল সামর্থের কোনো অধিকার নেই ।
জানি , আমার সকল ঘিরে তাঁরই দয়া ;
আমার সকল নিয়েই তাঁর খেলায় যে ঢেউ চলেছে
তাতে কোথাও সেই দীর্ঘশ্বাস নেই ----
বাজি আমার বাজির পরে বাজি ; সেই অস্থি-পাশায়
যে কুরুক্ষেত্র ---- সেখানেও তুমিই সখা ;
জানি , গাণ্ডিব খসেনি খসেনি অঙ্গিকার ;
যুদ্ধে আছি , আছি তাঁহার প্রকৃত না জেনেই ----?
১৪
এ কোথায় চলেছো
শুরু হয়েছে যেখানে স্বপ্নের পথ .....
দুহাত ভরিয়ে তুলে দিলে মেঘেদের আকাশ নয় ,
কাশ-মেঘের অনেক দৌড়-কথা ...;
কত গল্পের সঙ্গে কত গল্পের মহারূপ পূর্ণ করলো সে !
সে-কথা সত্যিই জানতে যদি ,সেইসব ঝর্ণাদের
নদী হয়ে যাওয়া রূপ-কথাদের ....;
এরপর কাশেদের শারদ-ডাক---
সেখানেও শুরু হয় যেন রোজ একটি জীবন নতুন করে.....
কেন শুধুই নারী হয়ে ওঠো বারবার ?
একটিবার দুর্নিবার ঢেউ হয়ে দেখই না কেন........ ;
১৫
মেঘেদের বর্ণমালায় হারিয়ে যায় তার চোখ ;
আমরা ভাষা খুঁজি , লিপি-অক্ষরে গড়ি কালের
অনেক অবহেলিত দৃশ্যমালাদের ---
সেও ভুলে যায় কোথাকার নাগরিকত্ব কোথায় কেমন
ভাষায় লেপ্টে রাখে কার মুখ !---- আকাশেরা চলেছে যেন
অনেক তথ্যচিত্র তৈরি করে ছুটতে ছুটতে ......;
অস্পষ্ট স্বরে যত দূরে যায় , ততোই আতঙ্কিত হই ,
পরবর্তী অধ্যায়ে ....;
বর্ণমালায় সেজে উঠে যে ভাষায়ই তাকে অনুবাদ করি না কেন
দুর্বোধ্যতা অসীমেই নৃত্যরত ---- সে যেন কেবলই ঝঞ্ঝা ------
যে চমকেই তাকে রেখাঙ্কিত করি না কেন ,
এমনকি তুমি নিজেও চিনতে পারো নি সেই খেয়ালী-রূপ ;
একটি হু হু পথই ছুটছে শুধু .....ছুটছে..
কখন যে তার চোখ ভেঙে গড়িয়ে নামবে
এই খাঁ খাঁ বুকের উপর সেই বিভঙ্গ রূপ ---- যা দেখে
এই পড়ন্ত বেলারাও যেন সকালবেলার হাসিমুখ ভাঙতে থাকবে
অনেক অদৃশ্য মাঠের আয়নায় --- !
নতুন ভাষা শিখে নেও হে মহাপ্রাণ ---- নতুন ভাষা ---- যে অনন্ত
তাঁর মুখ এঁকে চলেছে এইসব মেঘেদের বর্ণমালায় ......
১৬
সময় আমার যায় যে
বাকি দিনের বাঁকে বাঁকে.....
ঘরে ঘরে ঘুরি কার ?
আবার ঘরের মাঝেই
মরি ;
যেই সরি
মুখটি অমনি ভার ।
আমি যে কার
কে আমার !
তাঁহার দিনেই ঘুরি ফিরি ।
পাই আর না পাই
চাই যে তাঁকেই ;
সে হয় কি , না আমি
হই তাঁর !
কার কার মাঝে
তাঁকেই খুঁজি ?
সময় আমার যায় যে
সময়ের ওপার -----
অপার হয়ে থাকি , সেই চোখেরই কোনায়।
সকল উপস্থাপনেই অপেক্ষা থাকে।
দেখা না গেলেও উৎসমুখ
উদগিরণ থেমে থাকে না ।
থামিয়ে রাখা যায় না যাত্রাপথকেও ;
থাক না সে পথে যে কেউ
প্রত্যেকেরই ছায়া পড়ে থাকে চুপচাপ পথের উপর ।
দেখার চোখ চাই শুধু ;
কতজনের ই তো থাকে , তাই বলে কি সকলেই দেখে !
যাই ধারণ করো না কেন , মানুষেরই মুখ তো , চোখও ;
শুধু গতির তরঙ্গ না হয় আলাদা ;
জন্ম মুখ যদি দেখি ,
সম্ভবনা টের পাওয়া যায় তাহলেও ,
টের পাওয়া যায় কী কী কেমন ; কেমন ভাবেই বা এসেছিল জোয়ার
তারপর তো থাকলোই প্রবাহ ----
সকল উপস্থাপনেই অপেক্ষা থাকে ,
উৎসমুখে চাও , তাহলেই
জানতে পারবে উদগিরণ বিভাজিকা ;
আমি চেয়ে চেয়ে দেখি গতির স্রোতধারা ;
তারপর যে যে আসে
তার ভাসমান গতিকে ধরি , তখন তুমি শুধুই ছবি না ,
ছবির অন্তরে হাজারো কথা ।
বৃষ্টি শুরু হলো তারপর .....
বৃষ্টি কি একটু আগেও শুরু হয়েছিল রোদের ভেতর !
জবা গাছটি ভিজছিলো একাকী হাজারো কথায় ।
তুমি তার ডাক শুনতে পাওনি ?
আমি কিন্তু পাঠিয়েছিলাম প্রচুর রেণু ----
ঝুমকো জবা দের দেখা যায় না ,
সেই যে কানের দুলের মতো দুলতো ;
কত অভিমানে দাঁড়িয়ে থাকতে যেভাবে তুমি !
১৭
যে ফুলে হয় না অর্ঘ্য
সেই ফুল সংগ্রহে যাই খানা-খন্দ খুঁজে
কচুরি ফুলে ভরি ডালা ।
বকুল আড়চোখে চায়
জলকলমিতে তাকেই গড়ি , ভুঁই কলমির কথা আজও ভুলিনি ।
শস্যফুলে ভরিয়ে ফেলি তার আঁচল !
পথের কোণে ঘাসফুলেরা দোলে ।
দেখেছ কি চালতা ফুল ?
কাশফুল বাতাসে ওড়ে.....
দেবী চেনেন কি এসব ?
তুমিও যাও না মনে হয় সে সব পুজোয় ;
অর্ঘ্য হয় না যে ফুলে ,
সেই ফুল সংগ্রহেই
এই জীবন ....
ফুলেরা ফুল হয় না ---- আমিও অনেক অবহেলিত ফুলের ভেতর
দুহাত তুলে প্রচুর মেঘের ওপারে
ভেসে যাই ....
অনেক আকাশের কথা নিয়ে .....?!
১৮
এত কালোতে কেন যে দাঁড়ালে ,
সকল রেখার ওপারে
তাঁকেই খুঁজি .....?
যে আবহ রচনা করো সকল দৃশ্য উল্টে ,
তার দক্ষিণে ফোঁসে
এ কোন সাগর ?
উত্তরে প্রচুর শীতেরা।
তাহাতে হারালো কি
সকল সূর্য !
পশ্চিমে রাঙা মেঘের সারি , কান্না হয়ে ঝরে কত কথাদের সাথে.. ;
তাঁকে চেনো ?
তাঁকে দেখো বারবার
চেয়ে চেয়ে ।
নিজের ছায়াতে সে নিজেই গুঁড়িয়ে যায় নিঃশব্দে ;
গুছিয়ে ফেলো সেই বুক , আপন আনন্দে।
মনে করো
আমরা কেউ নেই কোথাও।
প্রাণেরা বাতাসে বিন্দুবৎ
না হয় মাটিতেই দাঁড়ানো ;
আর যা যা
মুখ দেখার দরকার নেই তাদেরও ;
প্রতিপক্ষের যুদ্ধ কি তাহলেও থামলো ?
বাতাসে ভর কি শুধুই অপ্রেমের ?
তিনিও বলতে চাইছেন ,আর কীই বা বলি বলো !
আর কীইবা দিতে পারি .....?
বললাম না
মাথা তো থেকেও নেই
তাও নানা মাথা ব্যাথায় ভুগি ,
তবুও ব্যাথার কথা বলা যাবে না ।
এখন যা কিছু
সবই আপনার আপনার যেন ;
আপনিই তো বলেছেন ,
তার পরই আমি ;
যেন আর কোনো চিন্তাই নেই ;
চারপাশে ওই যে দেখা যাচ্ছে বাতাসে আলোয় একটি দিন ফুরিয়ে এলো ,
কী ভাবে ইচ্ছেরা একটি নদী হয়ে নীরবে বয়ে যায় যে ,
তারপর কত দূরে নেমে যায়
কোথায় কোথায় সেই গান বইতে থাকে ?
আপনি বললেন ,ওই তো , ওপারে
আরো ওপিঠে ,যেখানে তিনি আলো দিচ্ছেন ?
যেখানে আমাদের চেহারা আর খুঁজে পাচ্ছি না আমরাই ;
সে চেহারায় কে কে ছিলো ?
চেহারার জন্যে আর কত মায়াই বা
নামই নেই যখন
শুধুই প্রাণ !
তাও তিনি বলছেন ,
না না ওই তো সব ;
শ্যামা যে কাঁদছে , কাঁদছে কত রূপন্তি, দীপ্তিরা ,
তাদের কী হবে তাহলে ?
তিনি বললেন , তাই তো , তাহলে ওদের এখনো হতে বাকি আছে .... ;
শরীর পেয়ে প্রাণের মধ্যে এত আড়ালের কী আছে ?
চিনতে চাইছে না !
তাহলে ফিরিয়ে নিক সব পিছন কে ,
দেখতে পাবে প্রকৃত বিরহ কিসের ছিলো ;
ঝপাঝপ
কারা যেন নুয়েও
দাঁড়িয়ে গেলো
পিছন ফিরে দেখা গেল আয়নার ভেতর দমবন্ধ হাওয়ারা লাফালাফিতেই ব্যস্ত ;
সব পিছন ফিরতেই চাইছে ?
তাও যা যা কষ্টার্জিত সেখানে সবই কি শরীরই চায় ?
নাকি চোখের জল শুধুই ?
আচ্ছা না হয় তারপর দেহই পেলো প্রকৃত ;
সে কি তখন ঘুম ভেঙে বলবে , শরীর বিহীন এই মুগ্ধতা চাই না তো ,
চাই মিলন সুখে প্রতিদিনের প্রাতঃকৃত্য ?!
১৯
ভালোবাসা ?
অবান্তর সমর্পন ।
বন্ধুত্ব ?
মহাশক্তিধর হিসাবের খাতা --- মাপজোক !
কে কার পাল্লায় অধিক ঢলন ? কে কার পল্লায় সব মাপছে ?
অন্তরাত্মার এই বাণী
কে শোনে ! শোনে কি প্রকৃতিও ?
প্রবাহ থেকে প্রবাহ
সব পাল্টে যাচ্ছে .....।
ধ্বনিতরঙ্গে উবজে পড়ছে অহেতুক কমনীয়তা -----;
প্রসাধনী পাল্টাও
প্রসাধনী পাল্টাও
ফেরিওয়ালা হাঁকছে।
কে কি নেবে গো
কে কি নেবে ......?
বিচিত্র সম্পর্কের জৌলুস
ফেরি হচ্ছে ।লাগলে বলতে পারেন মা ঠাকরুন ,
দিদিমণি গো , ...... কার কি চা... ই...... চা.....ই....গো.....;
ভালোবাসা পুড়িয়ে ওই তো
ফিরে গেল ছায়াশরীরীরা একে একে ......
পথের হলকায়
সে তার বিগত বয়স মেপে বার কয়
ছুটেছিল অনেক কিশোর কিশোরীদের মতো ..... ?
কেউ তার হাত দুটি ধরলো না !
ফিরিয়ে দিল নিতান্ত মুগ্ধতাটুকুও ?
অথচ যা সে সেই গ্রাম্য পথে
ক্ষেতের কোণে
মুগ্ধ হাত পেতে গ্রহণ করেছিল
বিগত জন্মে ?!
তাও কি প্রেতাত্মার চিৎকার ?
সে সব কি ধুলোমলীন কিশোরবেলার
হা ডু ডু , চি কিত্ কিত্ ........?
কথা হয় না
অন্তরাত্মার ধ্বনিতরঙ্গে একাকী
রক্তের ....?
তাই সহজ স্বীকারোক্তি,বন্ধুত্ব চাই
তুমি বন্ধু হও , ওহে পরিজিয়ী আগুন্তুক ;
যতক্ষন না
এই ধুলো বাতাসে মেশে দুর্বল ভালোবাসা ;
ভালোবাসা , দুর্বলতা।পায়ের শেকল ।
চোখ শুধু উল্লাস চায় ,উল্লাস ..... কাঁদতে চায় না ।
কেঁদেছে তো অনেক ---- সকল বাসনারা ----- মা , ভাই ,
বোন ---- পিতা ---- প্রপিতামহের হাত ছাড়িয়েও ;
তাই তো নিছক বন্ধু, বন্ধুত্বের বিনিময় চাই -----
অহেতুক মনখারাপ চাই না ।উল্লাস চাই ,উল্লাস , উন্মত্ত উল্লাস -------
আগুন মেঘের মত বিকেলের আকাশ আমি ।
আগুন মেঘের নীরব চিৎকার মিশে থাকবে আসন্ন সেই
সন্ধ্যায় .....?!
২০
সকলের সকল মগ্ন-মুহূর্ত আলিঙ্গন
করে
এ কোন ধ্রুবতারার
পাশ ফিরে শোয়া.. ?
ভঙ্গিটি অপলক চেয়েছিল যেন ;
ওই দেবদারু বৃক্ষের
মাথাটি ?
সে সব কেই বা দেখে
তুমি কি দেখো ?
জানো কি তুমি !
হয়তো জানো
হয়তো জানো না
তা না হয় নাই জানো
তাহলে এত পাল্টাও কেনো ?
আমি কেন পারি না ?
পাল্টে যায় দেখ কেমনে তোমার সময় ;
এই তো সেদিন
এক বিছানায় যার সাথে শুয়েছিলে
আজ সেই অচ্ছুৎ
মিথ্যে ধারণায়
যা যা ভুল
তারই কলহে ডুবে
নিজেকে আর একবার
আত্মশুদ্ধির পরিবর্তে
প্রতিহিংসায়
ছিন্নভিন্ন করছো !
যাক
এসব ভেবে
ভোরবেলার এমন নিসর্গের কাছে
তোমার সর্বগ্রাসী পাশ ফিরে থাকা চিত্রটির
সকল সত্যটি থেকে
আমি তো আর
মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারি নে ----
তাই তো সেই ভোরের ভেতর তোমাকে প্রত্যক্ষ করছি
মঙ্গলময় কোনো এক আরতির জন্যে ;----
************************************************************************************************
আশির দশকের অন্যতম বিশিষ্ট কবি। জন্ম ১৯৫৮ কলকাতায়। ছেলেবেলা কেটেছে ওপার বাংলায়। জীবন জীবিকা সূত্রে এপার বাংলায় বাঁধা হলেও, তাঁর অন্তরাত্মা কেঁদে ফেরে ওপার বাংলায় ধুলায় মৃত্তিকায়। কবিতা ও গদ্য মিলিয়ে আটটিরও বেশি গ্রন্থের প্রণেতা । সম্পাদনা করেন 'এবং কথা' নামে একটি সাহিত্যপত্র । কবিতার বই * অন্তর অয়ন * আঁধার আলোকলতা * অপ্রচলিত আর এক শরণার্থী দিন * মৎস্য কুমারীর জোছনা কবিতা উপন্যাস * অসমাপ্ত ছোঁয়া * ছায়ার খিদে গল্পগ্রন্থ * ইচ্ছে পতঙ্গের কান্না আত্মজৈবনিক উপন্যাস * কোথাকার অতিথি আমি আমি-ই তোমার একমাত্র সাক্ষী , আমি-ই তোমার একমাত্র প্রতিপক্ষ



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন