বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

গুচ্ছ কবিতা * দীপংকর রায়



কবিতাগুচ্ছ * দীপংকর রায়







পাথুরে বোধনের কান্না শুনি কাশবনে

উৎসর্গ -- দীপ্তিশিখা দাস 


১১

কোথাও একটু আলো চলকে উঠলে 

মনে হয় বাতাসে ভেসে এলো মহানদী...


আচ্ছা , অন্ধকার কি বিশুদ্ধ হয় , ওই আকাশের নির্মল আনন্দে ?

তারাদের নিঃসঙ্গতা যখন হাঁটু গেড়ে পড়ে থাকে 

রাতের ধু ধু ফসলশূন্য মাঠে .....

আমাদের ভেতরের নিরন্নতাকে কে আর জানে !

সেই সব পল্লির পথে পথে ; নগরের ধূসরতায় মেসে যখন সব পথ -----

তিনি কোথায় কোথায় ঘোরেন ?

কোন বিহবলতায় !

তিনি কি শুনতে পান 

একটু আগে সমস্ত  অন্ধকারের ভেতর থেকে একঝলক 

আলো চলকে উঠেছিল বলেই 

আজ আমরা তাঁর মুখ দেখলাম 

এই সামান্য আলোয় ?

ও বিভঙ্গ তরঙ্গ 

তুমি আরো দূরে চলে যাও ,

যে প্রাণ চলেছে ছুটে সেই অন্ধকারের মহাসমুদ্রে .......


১২

মনে হলো তার কাছে যাবো 

দুহাতে তুলে ধরবো চিবুকটি ;


শরীরটাই আছে ,

শরীরে মন কই মনোরমা ?


ঘরের ভেতর হাউমাউ করে উঠলো চাঁদ-তারারা ---

উলঙ্গ দাঁড়ালো ;  

এখন আমি কাকে ছুঁই ?

কার বুকের ভেতর নিঃসঙ্গ মুখটি ডুবিয়ে খানিক চিৎকার করে উঠবো --- 

বলবো ,এই তো রক্তের তরঙ্গে সাঁতার কাটছো তুমি 

আগুন-পলাশের ঢেউএ.... ঢেউএ....;


তবে কি বসন্ত এলো ওহে , তোমার প্রদীপে----? 


এই রাত 

আমাদের হাহাকারে আরো কত সহস্র বছর ভাসতে ভাসতে 

চলে যেতে থাকবে যে,

সেই মহামিলনের অপেক্ষায় -----


১৩

তার বিচিত্র খেয়াল প্রহসন চেনালো ।

কী খেলায় মেতেছে ধর্মাধর্ম  ?

জীবন চেনেনি জীবনের ন্যায়-অন্যায় ; 


নৈঋতে আছো ?

উত্তরে , দক্ষিণে পশ্চিমে , পুবে ----

যতোই চাও না কেন 

সব বিফলে ;


আছি , তবুও আছি ,

সকল চৈতন্য জুড়ে আমিই ---- দেখ তো তোমার আমাকে ঘিরে ;


যত দূরেই যাও না কেন , যতই ফেল না কেন জাল ;

কুয়াশার সকল বৈচিত্র্য তুমি হাঁটুতে ভাঙতে পারোনি ,

দুচ্ছাই বলে ; নিয়রে মাখামাখি এই যে অঘ্রাণ ----- 

পথে পথে করে চলেছি প্রদক্ষিণ ---- চালতা বনে , বকুলে , মুকুলে 

যে অর্যুণবৃক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম একদিন নির্জনে , 

সে কান্না-কথায় দুর্বল সামর্থের কোনো অধিকার নেই ।


জানি , আমার সকল ঘিরে তাঁরই দয়া ; 

আমার সকল নিয়েই তাঁর খেলায় যে ঢেউ চলেছে 

তাতে কোথাও সেই দীর্ঘশ্বাস নেই ----


বাজি আমার বাজির পরে বাজি ; সেই অস্থি-পাশায় 

যে কুরুক্ষেত্র ---- সেখানেও তুমিই সখা ;


জানি , গাণ্ডিব খসেনি  খসেনি  অঙ্গিকার ;

যুদ্ধে আছি , আছি তাঁহার প্রকৃত না জেনেই ----?


১৪ 

এ কোথায় চলেছো 

শুরু হয়েছে যেখানে স্বপ্নের পথ .....

দুহাত ভরিয়ে তুলে দিলে মেঘেদের আকাশ নয় ,

কাশ-মেঘের অনেক দৌড়-কথা ...;


কত গল্পের সঙ্গে কত গল্পের মহারূপ পূর্ণ করলো সে !


সে-কথা সত্যিই জানতে যদি ,সেইসব ঝর্ণাদের 

নদী হয়ে যাওয়া রূপ-কথাদের ....;

এরপর কাশেদের শারদ-ডাক--- 

সেখানেও শুরু হয় যেন রোজ একটি জীবন নতুন করে.....

কেন শুধুই নারী হয়ে ওঠো বারবার ?

একটিবার দুর্নিবার ঢেউ হয়ে দেখই না কেন........ ;


১৫ 

মেঘেদের বর্ণমালায় হারিয়ে যায় তার চোখ ;

আমরা ভাষা খুঁজি , লিপি-অক্ষরে গড়ি কালের 

অনেক অবহেলিত দৃশ্যমালাদের ---

সেও ভুলে যায় কোথাকার নাগরিকত্ব কোথায় কেমন 

ভাষায় লেপ্টে রাখে কার মুখ !---- আকাশেরা চলেছে যেন 

অনেক তথ্যচিত্র তৈরি করে ছুটতে ছুটতে ......;


অস্পষ্ট স্বরে যত দূরে যায় , ততোই আতঙ্কিত হই , 

পরবর্তী অধ্যায়ে ....;

বর্ণমালায় সেজে উঠে যে ভাষায়ই তাকে অনুবাদ করি না কেন 

দুর্বোধ্যতা অসীমেই নৃত্যরত ---- সে যেন কেবলই ঝঞ্ঝা ------ 

যে চমকেই তাকে রেখাঙ্কিত করি না কেন , 

এমনকি তুমি নিজেও চিনতে পারো নি সেই খেয়ালী-রূপ ;

একটি হু হু পথই ছুটছে শুধু .....ছুটছে..


কখন যে তার চোখ ভেঙে গড়িয়ে নামবে 

এই খাঁ খাঁ বুকের উপর সেই বিভঙ্গ রূপ ---- যা দেখে 

এই পড়ন্ত বেলারাও যেন সকালবেলার হাসিমুখ ভাঙতে থাকবে 

অনেক অদৃশ্য মাঠের আয়নায় --- !


নতুন ভাষা শিখে নেও হে মহাপ্রাণ ---- নতুন ভাষা ---- যে অনন্ত 

তাঁর মুখ এঁকে চলেছে এইসব মেঘেদের বর্ণমালায় ......


১৬ 

সময় আমার যায় যে

বাকি দিনের বাঁকে বাঁকে.....


ঘরে ঘরে ঘুরি কার ?

আবার ঘরের মাঝেই 

          মরি ;

যেই সরি 

মুখটি অমনি ভার ।


আমি যে কার 

কে আমার !

তাঁহার দিনেই ঘুরি ফিরি ।

পাই আর না পাই 

চাই যে তাঁকেই ;

সে হয় কি , না আমি 

হই তাঁর !


কার কার মাঝে 

  ‌ তাঁকেই খুঁজি ?


সময় আমার যায় যে

   সময়ের ওপার -----


অপার হয়ে থাকি , সেই চোখেরই কোনায়।

সকল উপস্থাপনেই অপেক্ষা থাকে।

দেখা না গেলেও উৎসমুখ

উদগিরণ থেমে থাকে না ।

থামিয়ে রাখা যায় না যাত্রাপথকেও ;

থাক না সে পথে যে কেউ 

প্রত্যেকেরই ছায়া পড়ে থাকে চুপচাপ পথের উপর ।

দেখার চোখ চাই শুধু ;

কতজনের ই তো থাকে , তাই বলে কি সকলেই দেখে !


যাই ধারণ করো না কেন , মানুষেরই মুখ তো , চোখও ;

শুধু গতির তরঙ্গ না হয় আলাদা ;


জন্ম মুখ যদি দেখি ,

সম্ভবনা টের পাওয়া যায় তাহলেও ,

টের পাওয়া যায় কী কী কেমন ; কেমন ভাবেই বা এসেছিল জোয়ার 

তারপর তো থাকলোই প্রবাহ ----


সকল উপস্থাপনেই অপেক্ষা থাকে ,

উৎসমুখে চাও , তাহলেই

জানতে পারবে উদগিরণ বিভাজিকা ;


আমি চেয়ে চেয়ে দেখি গতির স্রোতধারা ; 

তারপর যে যে আসে 

তার ভাসমান গতিকে ধরি , তখন তুমি শুধুই ছবি না , 

ছবির অন্তরে হাজারো কথা ।


বৃষ্টি শুরু হলো তারপর .....

বৃষ্টি কি একটু আগেও শুরু হয়েছিল রোদের ভেতর !

জবা গাছটি ভিজছিলো একাকী হাজারো কথায় ।

তুমি তার ডাক শুনতে পাওনি ?

আমি কিন্তু পাঠিয়েছিলাম প্রচুর রেণু ----

ঝুমকো জবা দের দেখা যায় না ,

সেই যে কানের দুলের মতো দুলতো ;

কত অভিমানে দাঁড়িয়ে থাকতে যেভাবে তুমি ! 


১৭ 

যে ফুলে হয় না অর্ঘ্য

সেই ফুল সংগ্রহে যাই খানা-খন্দ খুঁজে

কচুরি ফুলে ভরি ডালা ।


বকুল আড়চোখে চায় 

জলকলমিতে তাকেই গড়ি , ভুঁই কলমির কথা আজও ভুলিনি ।

শস্যফুলে ভরিয়ে ফেলি তার আঁচল !

পথের কোণে ঘাসফুলেরা দোলে ।


দেখেছ কি চালতা ফুল ?

কাশফুল বাতাসে ওড়ে..... 


দেবী চেনেন কি এসব ? 

তুমিও যাও না মনে হয় সে সব পুজোয় ;


অর্ঘ্য হয় না যে ফুলে ,

সেই ফুল সংগ্রহেই 

         এই জীবন ....


ফুলেরা ফুল হয় না ---- আমিও অনেক অবহেলিত ফুলের ভেতর 

দুহাত তুলে  প্রচুর মেঘের ওপারে 

           ভেসে যাই ....


অনেক আকাশের কথা নিয়ে .....?!


১৮ 

এত কালোতে কেন যে দাঁড়ালে ,

সকল রেখার ওপারে 

তাঁকেই খুঁজি .....?


যে আবহ রচনা করো সকল দৃশ্য উল্টে ,

তার দক্ষিণে ফোঁসে 

এ কোন সাগর ?


উত্তরে প্রচুর শীতেরা।

তাহাতে হারালো কি 

সকল সূর্য !

পশ্চিমে রাঙা মেঘের সারি ,  কান্না হয়ে ঝরে  কত কথাদের সাথে.. ;

তাঁকে চেনো ?

তাঁকে দেখো বারবার 

চেয়ে চেয়ে ।

নিজের ছায়াতে সে নিজেই গুঁড়িয়ে যায় নিঃশব্দে ;


গুছিয়ে ফেলো সেই বুক , আপন আনন্দে।

মনে করো 

আমরা কেউ নেই কোথাও।

প্রাণেরা বাতাসে বিন্দুবৎ

না হয় মাটিতেই দাঁড়ানো ;

আর যা যা

মুখ দেখার দরকার নেই তাদেরও ;

প্রতিপক্ষের যুদ্ধ কি তাহলেও থামলো ?


বাতাসে ভর কি শুধুই অপ্রেমের ?


তিনিও বলতে চাইছেন ,আর কীই বা বলি বলো !

আর কীইবা দিতে পারি .....?


বললাম না 

মাথা তো থেকেও নেই 

তাও নানা মাথা ব্যাথায় ভুগি ,

তবুও ব্যাথার কথা বলা যাবে না ।

এখন যা কিছু 

সবই আপনার আপনার যেন ;

আপনিই তো বলেছেন , 

তার পরই আমি ;

যেন আর কোনো চিন্তাই নেই ;

চারপাশে ওই যে দেখা যাচ্ছে বাতাসে আলোয় একটি দিন ফুরিয়ে এলো , 

কী ভাবে ইচ্ছেরা একটি নদী হয়ে নীরবে বয়ে যায় যে , 

তারপর কত দূরে নেমে যায় 

কোথায় কোথায় সেই গান বইতে থাকে ?


আপনি বললেন ,ওই তো , ওপারে 

আরো ওপিঠে ,যেখানে তিনি আলো দিচ্ছেন ?

যেখানে আমাদের চেহারা আর খুঁজে পাচ্ছি না আমরাই ;


সে চেহারায় কে কে ছিলো ?


চেহারার জন্যে আর কত মায়াই বা 

নামই নেই যখন

শুধুই প্রাণ !

তাও তিনি বলছেন ,

না না ওই তো সব ;


শ্যামা যে কাঁদছে , কাঁদছে কত রূপন্তি, দীপ্তিরা  , 

তাদের কী হবে তাহলে ? 


তিনি বললেন , তাই তো , তাহলে ওদের এখনো হতে বাকি আছে .... ;

শরীর পেয়ে প্রাণের মধ্যে এত আড়ালের কী আছে ?

চিনতে চাইছে না !

তাহলে ফিরিয়ে নিক সব পিছন কে ,

দেখতে পাবে প্রকৃত বিরহ কিসের ছিলো ; 


ঝপাঝপ 

কারা যেন নুয়েও 

দাঁড়িয়ে গেলো 

পিছন ফিরে দেখা গেল আয়নার ভেতর দমবন্ধ হাওয়ারা লাফালাফিতেই ব্যস্ত ;

সব পিছন ফিরতেই চাইছে ?

তাও যা যা কষ্টার্জিত সেখানে সবই কি শরীরই চায় ?

নাকি চোখের জল শুধুই ?


আচ্ছা না হয় তারপর দেহই পেলো প্রকৃত ;

সে কি তখন ঘুম ভেঙে বলবে , শরীর বিহীন এই মুগ্ধতা চাই না তো ,

চাই মিলন সুখে  প্রতিদিনের প্রাতঃকৃত্য  ?!


১৯ 

ভালোবাসা ?

অবান্তর সমর্পন ।

বন্ধুত্ব ?

মহাশক্তিধর হিসাবের‌ খাতা --- মাপজোক ! 

কে কার পাল্লায় অধিক ঢলন ? কে কার পল্লায় সব মাপছে ? 

অন্তরাত্মার এই বাণী 

কে শোনে ! শোনে কি প্রকৃতিও ?

প্রবাহ থেকে প্রবাহ 

সব পাল্টে যাচ্ছে .....।


ধ্বনিতরঙ্গে উবজে পড়ছে অহেতুক কমনীয়তা -----;


প্রসাধনী পাল্টাও

প্রসাধনী পাল্টাও

ফেরিওয়ালা হাঁকছে।

কে কি নেবে গো 

কে কি নেবে ......?


বিচিত্র সম্পর্কের জৌলুস

ফেরি হচ্ছে ।লাগলে বলতে পারেন মা ঠাকরুন ,

দিদিমণি গো , ...... কার কি চা... ই...... চা.....ই....গো.....;


ভালোবাসা পুড়িয়ে ওই তো 

ফিরে গেল ছায়াশরীরীরা একে একে ......


পথের হলকায় 

সে তার বিগত বয়স মেপে বার কয় 

ছুটেছিল অনেক কিশোর কিশোরীদের মতো ..... ?


কেউ তার হাত দুটি ধরলো না !

ফিরিয়ে দিল নিতান্ত মুগ্ধতাটুকুও ?


অথচ যা সে সেই গ্রাম্য পথে 

ক্ষেতের কোণে 

মুগ্ধ হাত পেতে গ্রহণ করেছিল 

বিগত জন্মে ?!


তাও কি প্রেতাত্মার চিৎকার ?

সে সব কি ধুলোমলীন কিশোরবেলার 

হা ডু ডু , চি কিত্ কিত্ ........?


কথা হয় না 

অন্তরাত্মার ধ্বনিতরঙ্গে একাকী 

           রক্তের ....?


তাই সহজ স্বীকারোক্তি,বন্ধুত্ব চাই 

তুমি বন্ধু হও , ওহে পরিজিয়ী আগুন্তুক ;

যতক্ষন না 

এই ধুলো বাতাসে মেশে দুর্বল ভালোবাসা ;


ভালোবাসা , দুর্বলতা।পায়ের শেকল ।

চোখ শুধু উল্লাস চায় ,উল্লাস ..... কাঁদতে চায় না । 

কেঁদেছে তো অনেক ---- সকল বাসনারা -----  মা , ভাই , 

বোন ---- পিতা ---- প্রপিতামহের হাত ছাড়িয়েও ;


তাই তো নিছক বন্ধু, বন্ধুত্বের বিনিময় চাই ----- 

অহেতুক মনখারাপ চাই না ।উল্লাস চাই ,উল্লাস , উন্মত্ত উল্লাস -------


আগুন মেঘের মত বিকেলের আকাশ আমি ।

আগুন মেঘের নীরব চিৎকার মিশে থাকবে আসন্ন সেই 

         সন্ধ্যায় .....?!


২০

সকলের সকল মগ্ন-মুহূর্ত আলিঙ্গন 

                ‌করে 

এ কোন ধ্রুবতারার 

   পাশ ফিরে শোয়া.. ?


ভঙ্গিটি অপলক চেয়েছিল যেন ;

ওই দেবদারু বৃক্ষের 

           ‌       মাথাটি ?

সে সব কেই বা দেখে 

তুমি কি দেখো ?

জানো কি তুমি !


হয়তো জানো 

হয়তো জানো না 


তা না হয় নাই জানো 

তাহলে এত পাল্টাও কেনো ?

আমি কেন পারি না ?

পাল্টে যায় দেখ কেমনে তোমার সময় ;


এই তো সেদিন 

এক বিছানায় যার সাথে শুয়েছিলে

আজ সেই অচ্ছুৎ 

মিথ্যে ধারণায় 

যা যা ভুল 

তারই কলহে ডুবে

নিজেকে আর একবার 

আত্মশুদ্ধির পরিবর্তে 

প্রতিহিংসায়

ছিন্নভিন্ন করছো !


যাক

এসব ভেবে 

ভোরবেলার এমন নিসর্গের কাছে 

তোমার সর্বগ্রাসী পাশ ফিরে থাকা চিত্রটির 

সকল সত্যটি থেকে

আমি তো আর 

মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারি নে ---- 


তাই তো সেই ভোরের ভেতর তোমাকে প্রত্যক্ষ করছি 

মঙ্গলময় কোনো এক আরতির জন্যে ;----


************************************************************************************************


দীপংকর রায়‌

আশির দশকের অন্যতম বিশিষ্ট কবি। জন্ম ১৯৫৮ কলকাতায়। ছেলেবেলা কেটেছে ওপার বাংলায়। জীবন জীবিকা সূত্রে এপার বাংলায় বাঁধা হলেও, তাঁর অন্তরাত্মা কেঁদে ফেরে ওপার বাংলায় ধুলায় মৃত্তিকায়। কবিতা ও গদ্য মিলিয়ে আটটিরও বেশি গ্রন্থের প্রণেতা । সম্পাদনা করেন 'এবং কথা' নামে একটি সাহিত্যপত্র । কবিতার বই  *  অন্তর অয়ন * আঁধার আলোকলতা *  অপ্রচলিত   আর এক শরণার্থী দিন * মৎস্য কুমারীর জোছনা    কবিতা উপন্যাস *  অসমাপ্ত ছোঁয়া * ছায়ার খিদে    গল্পগ্রন্থ * ইচ্ছে পতঙ্গের  কান্না    আত্মজৈবনিক  উপন্যাস * কোথাকার অতিথি আমি     আমি-ই তোমার একমাত্র সাক্ষী , আমি-ই তোমার একমাত্র প্রতিপক্ষ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন