" নীল ফেনা'র বাঁচা মরা "
প্রদীপ দে
-- দেখেছো নদী কেমন তিরতির করে বয়ে চলেছে ? স্নিগ্ধ শান্ত অথচ বহমান।
-- আর তার উপরে ? চোখ খুলে তাকাও। দেখো বিশাল পাহাড়। বিচিত্র বর্ণে, বিভিন্ন বৃক্ষকে বুকে নিয়ে আকাশকে ছুঁয়ে বৃষ্টির সম্ভাষণ করছে।
-- আর নদী সেই পাহাড়কেই তার নির্মল জলরাশি দিয়ে ধৌত করে সজীব করে রেখেছে।
-- হ্যাঁ সেই শৈলশিখরে আমরা, যার নাম হিমালয়।
-- নীচে প্রবাহিত তারই শিখরদেশ থেকে নেমে আসা গঙ্গা।
উপরে আকাশ 'নীল', সাদা 'ফেনা' মেঘকে তারই বুকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে।
নীলের বুকেই ফেনা।
একেবারেই নিভৃতে …
সকলের অগোচরে।
নীল আর ফেনা এখন ঘরে ফেরার অপেক্ষায় অপেক্ষমান। পুরো টিম এখন ব্যস্ত তাদের পরিভ্রমন সমাপ্তিকরণে।
হঠাৎই নীলাকাশ কালো কর্কশ হয়ে উঠলো। গুমোট হয়ে গেল সবকিছু। গঙ্গোত্রী কে চেনা দায়!
হিমালয় এই মূহুর্তে নিজেকে হিংস্র করে তুললো। একটা প্রবল হাওয়া, না ঝড় বয়ে গেল। দিশেহারা, লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার প্রয়াস প্রকৃতির। তাঁবু রাখা মুশকিল। আকাশভাঙা বৃষ্টি শুরু হতেই উপরের টিলা ভেঙে কর্দমাক্ত জলের স্রোতে ধাবিত হতে শুরু করলো। পুরো টিম নাস্তানাবুদ। ভেসে যাচ্ছে সব।
নীল আর ফেনা স্রোতধারায় ভাসমান। জুজবার শেষ চেষ্টায় কারোরই খামতি নেই। মানুষের আর প্রকৃতির লড়াই। বাঁচার আর মারার!
আর পারা গেল না, প্রবল শ্বাসকষ্ট! অসম লড়াইয়ে হেরে, ফেনা বুক পরিত্যাক্ত হয়ে যেতেই নীল ঠোক্কর খেল এক প্রস্তর খন্ডে।
তারপর শুধু নামা আর নামা, খানাখন্দ পেরিয়ে, নিস্প্রাণে পাহাড় হতে নদীতে …
******************************************************************************************



শুভকামনা রইল
উত্তরমুছুনভালো লাগল।
উত্তরমুছুন