নমিতা বসু / দু'টি কবিতা
সাঁকো
ব্যবধানের চোরাকুঠি গুলো বড্ড অসহায় নিয়ম ভাঙার তাগিদে।
সময়ের চাবুকে মন পোড়ার দ্যোতনায় বাসা বাঁধে পাহাড়ি চোরা পথ,
নিরিবিলি আকঙ্ক্ষায় ছায়া নীড় সোজা হযে দাঁড়ানোর উল্টো রথ।
জ্যোৎস্না হাঁটছে একা সবিনয়ে ভরা পেট বিনয়ী,
তাল রেখে আমরা একাকী ব্যঞ্জনায় সুখী সেই চিন্ময়ী ।
কত সহজে মদিরায় ভেসে যায় দিন গুলো লিপি ছাড়াই,
নেশ নেশা তারারা দেয় স্রোত মন গুলো জিতে নেওয়াই।
এখনো বৃষ্টি নামেনি ,নেমে যায় জল যেন তট ছাড়া,
ভরা ভরা দুটো চোখ অবিকল স্বপ্নেরা "তুমি"হারা।
সাতনলি হার যেন ফাঁস দেয় সবুজের বাহু ডোরে,
অবুঝের ভরা বাটি রাতভোর চেটে খায় বেশ অনাদরে।
সেই থেকে খোলা পথে একা হাঁটি,রজনীগন্ধাতো নামে নামে,
সব কথা বাকি থাকে সজনীতে,আধো আধো মখো চাঁদে মধু জমে।
কে যেন বলে গেল জোর করে চিনে নাও মনপাখি,
সেই থেকে চাদরে হৃদয় ঢেকে রোজ একটাই চাঁদ দেখি।
জল সে তো শুধু জল,নেই কোনো সীমারেখা সীমানার,
সাঁকোটা বাঁধা হয়নি শেষ আজও ,
হলেও যে হবে না তো পারাপার ।
ব্যবহৃত সকাল
এইমাত্র সূর্যাস্ত দেখে ফিরলাম সমুদ্রের জলে,
তাও একটা পুরোনো স্বপ্নের মধ্যে কালান্তরের ভাঙাচোরা নৌকোয।
হিসেব নিকেশে ছ'টা ঋতুর কোনো একটায়।
যদি ধরে নিই শরতের সন্ধ্যে,
তাহলে কাশ ফুলের সৌন্দর্যে জ্যোৎস্না দীর্ঘ নি:শ্বাস ফেলবে,
আর যদি ধরে নিই বসন্তের গোধূলি,
তাহলে আমের মুকুল রক্ত ঝরাবে।
আসলে পাঁজরের মধ্যে আটকে আছে পুরোনো বর্ষাকাল,
বেহাল দীপাবলি ,বাসি চোখে হলুদ বর্ন।
ঋতুর স্পর্শে টান টান বাতাস ,
অবিরে যে কোনো রঙ মেলানো।
কাল বৈশেখিকে প্রেযসী সাজে দেখে ছিলাম নিজেরই মধ্যে,
তবু ভালবাসি আজীবন ধরে।
কেটেছি নিজের আত্মা দোষ শূণ্য উত্তরার বুকে।
এঙ্গেলে আরো দশ লাইন ভরো ,
নতুবা দ্যাখো ,রূপ কথার ব্যবহৃত এক সকাল হাসে।
*************************************************************************************************
খাদাল গোবরা, ওল্ড দীঘা, পুর্ব মেদিনীপুর থেকে লিখছেন । এ পর্যন্ত তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে :
শ্রীচরণেষূ পুণ্ডরীকাক্ষ, যে জন্য ডেকেছি তোমায়, মৌনতার স্বরলিপি।




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন