পরিযায়ী
শুভাশিস ঘোষ
ভাঙা বেঞ্চে চোখ বুজিয়ে বসেছিল সুদাম। পাশ থেকে কনুইয়ের ঠ্যালায় চোখ খুলে তাকাল। একটু আগে যারা বডিগুলো নামিয়ে নিয়ে গিয়েছিল মর্গের ভিতরে, সেই দুজন পাশে বসে। হাঁটুর ওপরে আঁটোসাঁটো করে ধুতি পরা লোকটা তার পাশেই। ও পাশে অল্প বয়সী ছোকরাটা। শুঁটকে চেহারার ধুতি পরা লোকটা বললে," ক্যায়া বাঙ্গালিবাবু , খৈনি চলেগা ?" উড়িয়া টানে ভাঙা হিন্দিতে বেশ লাগল কথাগুলো শুনতে । তামাকরাজ্যে কাজ করার সুবাদে ওই নেশাটা রপ্তও করেছে সুদাম, তবু উত্তর দিল এক অদ্ভুত ভঙ্গিতে মাথা নেড়ে। যার অর্থ হ্যাঁ অথবা না, দুটোই হতে পারে। ইতিবাচক উত্তর ধরেই হাতের তালু আর আঙুলের কৌশলে খৈনি বানাতে লাগল ধুতিওলা। মাথা নেড়ে সুর করে গেয়ে ওঠে সে," ছাপ্পান টিপ্পন চৌষট তাল, তব বনেগা খৈনি কি হাল"। বিরক্ত লাগে সুদামের। যার প্রিয়জনেরা লাসকাটা ঘরে শুয়ে আছে ব্যবচ্ছেদের অপেক্ষায়, তার সাথে এ কেমন রসিকতা ? লোকগুলোর শরিরে কি মায়াদয়া বলে কিছুই নেই ? সরে বসে সুদাম।
সুদাম নস্কর। সুন্দরবনের ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দা। উড়িষ্যার বেরহামপুরের মহারাজা ক্রুষ্ণচন্দ্র গজপতি মেডিকেল কলেজ মর্গের ফাঁকা দালানে দুজন ডোমের পাশে আপাতত বসে। ঘরের মধ্যে পাশাপাশি শুয়ে দাদা শ্রীদাম, বৌদি প্রতিমা আর বছর সাতেকের ভাইঝি চায়নার দেহ। এই পরিজনহীন বিভূঁয়ে সে একা। নিঃসঙ্গ এক পরিযায়ী শ্রমিক।
সিঙ্গেরনি কয়লা খনির শ্রমিক-বস্তিতে ক'য়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল কানাঘুষো। সব কিছু নাকি বন্ধ হয়ে যাবে। কী একটা রোগ ছড়াচ্ছে দেশময়। খুব ছোঁয়াচে রোগটা নাকি অন্য কোন দেশ থেকে এসেছে। বস্তির মধ্যেও বেশ কয়েকজন জ্বরে ভুগে মরল। যদিও ঠিকাদারের কোনো হেলদোল নেই। হঠাৎ ঘোষণা হলো দেশজুড়ে লকডাউন। কাজকর্ম সব বন্ধ। বাজারহাট, ট্রেন বাস সব অচল। চোদ্দ দিনের জন্য তালা পড়ল দেশে। বন্ধ হলো খনির কাজ। বন্ধ মজুরি। কোলিয়ারির বাজারগুলোতে সব্জি, মুদির মাল পাওয়া গেলেও, কমতে লাগল ক্রেতার সংখ্যা। মজুরি বন্ধ, ভাঁড়ার শেষ হতে লাগল মজুরদের। দিন তিনেক পর থেকেই বস্তি ছেড়ে দলে দলে লোক বেরিয়ে পড়ল যে যার ঘরের দিকে। খাম্মামের আশপাশের জেলার লোকজন দিন পাঁচেকের মধ্যেই ফাঁকা হয়ে গেল। পায়ে হেঁটে, সাইকেল, ঠেলা, ট্রলি নিয়ে বস্তি উজাড় করে বেরিয়ে পড়ল মানুষ। সপ্তাখানেক পর কোলিয়ারির স্থানীয় লোকজন ছাড়া পড়ে রইল কেবল ভিন রাজ্যের মজুররা। দিন আষ্টেক পর কোলিয়ারিতে চালু হলো লঙ্গরখানা। সকাল সন্ধ্যেয় এক হাতা করে খিচুড়ি বরাদ্দ হলো মাথাপিছু। যারা পড়ে রইল বস্তিগুলোতে, ওই লঙ্গরখানার খিচুড়িই হলো একমাত্র ভরসা। বেশ কিছু উড়িয়া, বাঙালি আর তামিলভাষি পরিবারের সাথেই সপরিবারে পড়ে থাকল শ্রীদাম নস্কর।
চোদ্দ দিন শেষে হওয়ার আগেই ঘোষিত হলো আর এক দফা লকডাউন। আরো চোদ্দ দিন। এবার আর কোনো উপায় না দেখে বস্তির সকলেই শুরু করল কোলিয়ারি ছাড়ার উদ্যোগ। খনির কাজ বন্ধ, তাই যন্ত্রপাতিও পড়ে আছে নীরবে। দু'একজন সিকিউরিটি গার্ড আর অভুক্ত সারমেয়র দল ছাড়া খনি মুখের আশপাশে নেই কোনো জনপ্রাণী। সিকিউরিটির চোখকে ফাঁকি দিয়ে চেনপুলির সাহায্যে খনি থেকে ক'য়েকটা ট্রলি তুলে আনে মজুররা। সেগুলো ভাগাভাগি করে নিয়েই শুরু হলে সবার প্রস্থানপর্ব। শ্রীদাম, সুদামরাও পেল একটা ট্রলি। ক'য়েকটা কাপড়জামা , হালকা বিছানা, খাবার জলের জার, চিড়ে আর মুড়ি বেঁধে শুরু করল যাত্রা। খাম্মাম থেকে কলকাতা হয়ে ঘোড়ামারা। ওরা জানে না ও পথের দূরত্ব কত কিলোমিটার। সুদূর তেলেঙ্গানা থেকে ঘোড়ামারায় হেঁটে পৌঁছতে কত দিন লাগে, জানা নেই ওদের। জানা নেই পথের হদিশ। তবুও শুরু করে যাত্রা। সাথে বেশ ক'য়েকটা পরিবার। গঞ্জাম,পুরি, ভুবনেশ্বর, বালেশ্বর, খড়গপুর, ঘাটাল এমনকি উলুবেড়িয়া পর্যন্ত পথ হাঁটার মানুষেরাও আছেন তাদের সাথে। প্রায় জনা সত্তর মানুষের একটা দল নিজস্ব গন্তব্যের লক্ষ্যে হাঁটা শুরু করে অজানা পথে।
সুন্দরবনের মুড়িগঙ্গা নদীর উৎসমুখে গড়ে ওঠা চর ঘোড়ামারা। এই দ্বীপ আজ দিন গুণছে নোনা জলে বিলীন হওয়ার অপেক্ষায়। একসময় এর উর্বর জমিতে উৎকৃষ্ট দুধেরসর ধান আর মিঠেপান চাষে সচ্ছলতার অভাব ছিল না দ্বীপবাসীর। এখন ফি বছর ঘূর্ণিঝড়ের দাপট আর জলচ্ছাসে প্রতিদিন তলিয়ে যাচ্ছে দ্বীপের জমি, ভিটেমাটি। তাই অনিশ্চিত জীবিকার মায়া ত্যাগ করে কেউ কেউ পাড়ি জমাচ্ছে ভিন রাজ্যে। বছর চারেক আগে সিঙ্গেরনি কয়লা খনিতে মজদুরি করতে আসে সুদাম। হলদিয়ার ঠিকাদারের ডাকে সাড়া দিয়ে সে চলে আসে তেলেঙ্গানার খাম্মাম জেলার এই কোলিয়ারিতে। পরের বছর ডেকে নেয় দাদা শ্রীদামকে। কিছুদিন পর শ্রীদাম তার স্ত্রী প্রতিমা আর মেয়ে চায়নাকে নিয়ে এসে সংসার পাতে কোলিয়ারির বস্তিতে। ঘোড়ামারায় ঘরদালান আর গবাদিপশু আগলে দ্বীপভূমিতে থেকে যায় সুদামের মা আর পিসি । পালা করে বছরে দু-তিনবার দুভাই ফেরে ঘোড়ামারায়। তবে সুদামের ফেরার তাগিদ একটু বেশি থাকে। সেখানে মুড়িগঙ্গার নোনাজলে একলা তুফান তোলে ঘোড়ামারার জলপরি বাতাসী। সুদূর সিঙ্গেরনিতে মাটির নিচে গাঁইতির শব্দের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় মুড়িগঙ্গার ঢেউয়ের শব্দ। সেই শব্দে মাঝেমধ্যেই উদাস হয়ে যায় সুদাম। অন্ধকার খনিগর্ভে যেখানে সূর্যালোকের প্রবেশ নিষিদ্ধ, সেই পাতালপুরীতেও স্পষ্ট ভেসে ওঠে বাতাসীর মুখ। পরিশ্রান্ত দেহটাকে যখন খনির দেওয়ালে ঠেস দিয়ে একটু জিরিয়ে নিতে চায় সুদাম, তখনই স্বপ্নের ডানায় ভর করে পাতালপুরীতে উড়ে আসে মুড়িগঙ্গার জলপরি। কয়লার আস্তরণে ঢেকে যাওয়া মজুরদের শরীরগুলো সব একরকম দেখালেও চোখের মনি আর শরীরের গন্ধে তার কাঙ্খিত পুরুষকে ঠিক চিনে নেয় বাতাসী। শাড়ির আঁচল দিয়ে সুদামের কপাল, মুখ, বুক, পেশিবহুল বাহুতে ঘামের সাথে লেপটে থাকা কয়লার গুঁড়ো পরিস্কার করতে থাকে বাতাসী। সুদামের সারা শরীর জুড়ে প্রবাহিত হয় এক অনাবিল তৃপ্তি। নিমেষে মিলিয়ে যায় সমস্ত ক্লান্তি। সেই স্বর্গীয় অনুভূতি সম্পূর্ণ উপভোগের আগেই সর্দারের চিৎকারে ঘোর কেটে যায় সুদামের। তাই বারবার সে শুনতে পায় ঘরে ফেরার ডাক।
হাইওয়ের রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকে অগণন মানুষের মিছিল। সে হাঁটার শুরু আছে, নেই শেষের হদিশ। আসমুদ্র হিমাচল হেঁটে চলেছে মানুষ, অজস্র স্বপ্নকে বুকে চেপে ধরে। সে স্বপ্নের প্রকার ভিন্ন ভিন্ন। স্বপ্নের অবয়ব একেকরকম। কেউ চাইছে মায়ের কোলে ফিরে যেতে, কেউবা নিজের সন্তানের মুখ দেখার ব্যাকুলতায় হাজার মাইল হাঁটার শ্রান্তিকে করে চলেছে উপেক্ষা। কারো প্রণয়ী অধীর অপেক্ষায় দিন গুণছে কোনো অখ্যাত গ্রামে, কেউবা নিছক পেট ভরাতে দুমুঠো ভাতের আশায় ফিরতে চাইছে স্বভূমিতে। তাই হাঁটছে সবাই। ভাষা ধর্ম বর্ণের সমস্ত বাধা ভেঙে সবাই হাঁটছে একসাথে। সিঙ্গেরনি থেকে সুদামদের দলটা যখন হাঁটা শুরু করে, ছিল জনা সত্তর মানুষ। হাইওয়েতে উঠে সে দল মিশেছে এক জনসমুদ্রে। সে সমুদ্রের কোথায় শুরু কোথায় শেষ কেউ জানেনা। তবুও তাদের মতো করে হাঁটছে সবাই।
প্রয়োজন মতো বিশ্রাম। জঠর জ্বালা মেটাতে যে দিন যেমন জুটছে তাই দিয়েই চলছে বেঁচে থাকার লড়াই। কারা কতদিন হাঁটল হিসেবে নেই অধিকাংশেরই। রাস্তার পাশে বড়ো বাসস্ট্যান্ড, রেলষ্টেশন, খোলা মাঠ হয়ে উঠল রাত্রিবাসের জায়গা। সুদামরা হেঁটে এসেছে প্রায় সাড়ে ছ'শো কিলোমিটার পথ। সন্ধ্যে নামল উড়িষ্যার গঞ্জাম জেলায়। সন্ধ্যের পর হাইওয়ে ধরে হেঁটে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েকশোগুণ। মালবাহী ট্রাকের গতি আরো বেপরোয়া হয়েছে এ সময়ে। তবুও হাজার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই হেঁটে চলেছে সবাই। সারাদিনের শ্রান্তিতে শ্রীদামের মেয়ে চায়নার প্রাণশক্তি ঠেকেছে শূন্যে। হাতে চালানো যে ট্রলি নিয়ে রওনা হয়েছিল সুদামরা,তার মধ্যে মালপত্রের সাথেই মেয়েকে শুইয়ে দেয় শ্রীদাম। ট্রলি ঠেলতে থাকে শ্রীদাম আর প্রতিমা। একটু পিছিয়ে পড়ে দল থেকে। হঠাৎ পিছন থেকে একটা দানবট্রাক হুড়মুড়িয়ে এসে পড়ল ঘাড়ের ওপর। চোখের নিমেষে মিলিয়ে গেল সেই দানব। ঘুরে তাকিয়ে সুদাম দেখে তার প্রিয়জনেরা আর কেউ নেই। চিড়েচ্যাপ্টা ট্রলির সাথে থেঁতলে গেছে ভাইঝি চায়নার দেহটা। তাকানো যাচ্ছেনা দাদা বৌদির বিকৃত চেহারার দিকে।
রাস্তার পাশে তিনটে দেহ আগলে একদল মানুষ বসে থাকল ক'য়েক ঘন্টা। দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকের দল হেঁটে চলে যায়, কিন্তু দেখা মেলেনা পুলিশের। পায়ে হাঁটা মানুষের মুখে মুখে খবর পৌঁছল পুলিশচৌকিতে। অবশেষে ঘন্টা তিনেক পর এল পুলিশ। ব্যবস্থা হলো গাড়ির। দেহগুলো পৌঁছল থানায়।
সারারাত থানায় বসে দুচোখের পাতা এক করতে পারেনি সুদাম। সকাল সকাল ডেডবডিগুলো নিয়ে পুলিশের ব্যবস্থা করা গাড়িতে মর্গে পৌঁছয় সে। দিনের পর দিন পায়ে হেঁটে ছ'সাতশো কিলোমিটার পেরিয়ে আসার পর আজ একটা ছোট ট্রাকের ড্রাইভারের পাশে বসল সুদাম। অনুভূতিটা কেমন যেন অদ্ভুত ! থানা থেকে মর্গের দূরত্ব কতটা জানে না সুদাম। গাড়ি চলা শুরু করতেই বুজে আসে দু'টো চোখ।
"কাকা, তুমি একা গাড়িতে উঠলে ? আমাকে নেবে না ? আমি যে আর হাঁটতে পারছি না কাকা ।"
জোরসে ব্রেক করে ড্রাইভার। ঝাঁকুনিতে চমকে ওঠে সুদাম। চোখ মেলে তাকিয়ে হঠাৎ সে বলে ওঠে ," চায়না, তুই কোথায় ? " পরক্ষণেই সম্বিত ফেরে। বুঝতে পারে মর্গে পৌঁছেছে।
মর্গের ফাঁকা বারান্দায় ভাঙা বেঞ্চে বসে থাকা সুদামের উদ্দেশ্যে ধুতি পরা লোকটা বলে উঠল," ডগডর সাব আ গিয়া ।" তারপর ওরা দুজন চলে গেল পোস্টমর্টেম রুমে। কিছুই ভাবতে পারছে না সুদাম এখন কী করা উচিত। বাড়িতে মা আর পিসি দিন গুণছে তাদের অপেক্ষায়। সে ফিরবে তিনটে প্যাকেটে কিছু মাংসপিন্ড আর হাড়গোড় নিয়ে। কী বলবে মাকে ? সেই ধুতি পরা লোকটার সাথে বেরিয়ে এল 'ডগডর সাব' । অন্য ঘর থেকে পুলিশের লোককে সাথে নিয়ে এগিয়ে এল সুদামের দিকেই। ডাক্তার লোকটি বাঙালি। তাই তাঁর সাহায্য নিয়ে পুলিশ কথা বলতে চায় তার সাথে।
"হ্যাঁ সুদামবাবু, এখানকার কাজ সব শেষ। আপনি শুধু সই করে বডি রিসিভ করে নিন। কালেক্টর সাহেবের অফিস থেকে গাড়ির ব্যবস্থা হয়ে গেছে। আপনার বাড়ি পর্যন্তই পৌঁছে দেবে। " বললেন ডাঃ কৃষ্ণেন্দু মিত্র। কথাগুলো যখন বলছিলেন ডাঃ মিত্র, তাঁর মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল সুদাম। তার পর এক চিলতে হাসি খেলে গেল তার ঠোঁটের ডগায়। ডাক্তারবাবু একটু বিষ্ময়ের সাথে প্রশ্ন করলেন," আপনি হাসলেন যে বড়ো ?"
"ডাক্তারবাবু, গাড়ির যখন খুব দরকার ছিল শত মাথাকুটেও পাওয়া গেল না তাকে। আর জলজ্যান্ত মানুষগুলো যখন হাড়-মাংসের দলা হয়ে প্যকেট ভর্তি হলো, তখন সেগুলো পৌঁছতে যাবে গাড়ি ! "
অশিক্ষিত গ্রামের ছেলে সুদামের কথার কোনো জবাব দিতে পারেন না ডাঃ মিত্র। মাথা নিচু করে তিনি বেরিয়ে গেলেন মর্গ থেকে।
******************************************************************************************************
জন্ম ২৫ আগষ্ট ১৯৬৬। বেড়ে ওঠা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার শিল্পশহর বজবজে। বানিজ্য বিভাগে স্নাতকোত্তর, ইনস্টিটিউট অব কষ্ট এন্ড ওয়ার্কস এ্যাকাউন্টেট অব ইন্ডিয়ার স্বীকৃত পেশাদার। পেশা সূত্রে বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজ ঘুরে বর্তমানে রিলায়েন্স জিও-তে কর্মরত। দক্ষিণ বঙ্গের সংবাদ সাপ্তাহিক 'বার্তা এখন'-এর প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বে ২০০২ থেকে। সংবাদ প্রতিবেদন, প্রবন্ধ, রম্যরচনায় বিচরণ তিন দশকের ওপর। ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা,ছড়ায় সমৃদ্ধ লিটলম্যাগ সহ বিভিন্ন বানিজ্যিক পত্র-পত্রিকা। প্রকাশিত প্রবন্ধ সংকলন একটি, গল্প সংকলন দুটি। 'শিল্পের জন্য শিল্প' নয়, 'মানুষের জন্য শিল্প'তে পূর্ণ বিশ্বাস। তাই কঠিন বাস্তবের মাটিতে পা রেখেই সাহিত্য চর্চা।




শেষটা বিশেষ করে মন ছোঁয়া
উত্তরমুছুন