শিবালোক দাস * দু’টি কবিতা
সাদা ধুলোয় অতিক্রান্ত প্রতিচ্ছবি
তস্কর, তুমি বন পেরিয়ে গেছ
কবে, পায়ে ফুটে থাকা কাঁটা
আজ যদি তোমার চাঁদ তুলে
নেয়, তবুও দুহাতে লেগে থাকবে,
আঙুলে ছড়িয়ে পড়বে রাতের ব্যাধি...
যাকে তুমি জলেও মেশাতে পারবে না।
আঃ ! নুনের স্বাদ বড় সুন্দর এই নৈঃশব্দ্যে।
যদি কিছুটা সাদা ধুলোয় তুলে রাখতে, তাহলে
কঙ্কাল আরো উজ্জ্বল হত ভেতরের অন্ধকারে।
যাকে ভেঙেছ ভালোবেসে, সে তোমার আকাশ
থেকে তুলে নিয়েছে জল হাওয়া শুকনো গলায়।
তারপর, আর খুঁজে পাওয়া বড় মিলিয়ে যাওয়া
একরঙা এই মাটি যখন ছড়িয়ে পড়ে বিষের মত,
পুড়তে পুড়তে সাদা ধুলোয় অতিক্রান্ত হয় প্রতিচ্ছবি।
আমার দরজা পেরিয়ে কেউ ঢেলে দেয় শিখা।
আমার ঘামে ভেজা শরীরে কেউ স্পর্শ করে যায়
মহানগরী, যার রক্তে প্রতিদিন নতুন করে জ্বলে কাঠ।
আমি নীরব থাকি। শান্ত ছায়ার বিরুদ্ধে।
ফকির
আমি নক্ষত্রের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি।
ততক্ষণে জল শুকিয়ে গেছে নাভিকুণ্ডে।
তারপর ভালোবেসেছ এক রত্তি ভার,
যার ভেতর অজস্র চিহ্ন, ঘুর্ণন, কিন্তু
সেই শব্দ শুনে যখন গাছেরা জ্বালায়
আগুন, তখন তুমি বাড়িয়ে দাও শরীর।
তোমার ধমনীতে কত বুনন তুমি এক
বাক্যে ঢেলেছ ফকির? কতদিন?
আজও কি রক্ত ছেড়ে ওঠে না দুই আঙুল?
এক বারান্দায় ছড়ানো একটি রোদের
সমতলে একটি কঙ্কাল চায় একটু দৃষ্টি।
অমোঘ। তবুও সে কেন শান্ত স্রোতে
প্রায়শ্চিত্ত করতে ঢেউ তুলে চোখ মুছে নেয়?
চাঁদ পড়ে যায় নিভৃতে।
স্থির মাটিতে যে পা দুটো নিঃশব্দে
ঠেলে দেয় প্রতিটি শূন্যস্থান,
তার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখো,
একরাশ বালি, মিলিয়ে যায় অন্ধকার।
কেউ কি আছে যে তার শূন্যতায়
ছড়িয়ে দিতে পারে বিন্দু?
*******************************************************************************************
শিবালোক দাস
তরুণ কবি শিবালোকের শৈশব কেটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরে। বর্তমানে কলকাতার আই.পি.জি.এম.ই.আর. এবং এস.এস.কে.এম. হাসপাতালে এম.বি.বি.এস এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ক্লাস এইট থেকে কবিতা চর্চা শুরু। সাহিত্যকে ভালোবাসেন এবং আলাদা আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন । এখনও পর্যন্ত কোনও প্রকাশিত গ্রন্থ নেই।





চমৎকার লেখা
উত্তরমুছুন