নিমাই জানা * তিনটি কবিতা
নষ্ট পিতার স্থিতিশীল উট ও প্রস্থহীন আসবাবের লেহন দন্ড
প্রাণতোষ বায়ুর মতো ঝলসে যাচ্ছে √ ৯ কার নদীর প্যালেস্টাইন নদীর গর্ভকোষ । আমি নীল চড়াইয়ের ভেতরে ঢুকে অতৃপ্ত সাধনার উটগুলোকে হত্যা করি মাঝরাতের নক্ষত্র পোড়া ছাইয়ের অগ্নিকুণ্ড দিয়ে । সপসপে পীতাম্বর সাপগুলো আমার যৌনাঙ্গ দিয়ে উঠতে থাকে হিমালয়ের খাঁজে থাকা লোমশ তামাটে কুন্ডের দিকে । এ পাপ নদীকে বারবার ক্ষারকীয় করে তুলি । গর্ভের ভেতরে জমে থাকা শুক্রাণুর মতো এ জন্মের কাঁচের প্রস্থ আসবাব গুলো সম্ভোগ দৃশ্য দেখাচ্ছে । কে কাকে দৈহিক অন্ধকারের খনিজ ভেদ করে অঙ্গারগুলির লেহনের শুক্রাচার্য ইঙ্গিত দেয় ? ঞ নারী ? ধ নাদ? পিশাচের ৯ কার লিঙ্গ ? ( দুটো অস্ত্র যুবতী বজ্রের গায়ে লেগে ছিল) খনির ভেতরেই খনিজ অন্ধকারের মতো তীব্র রাগাশ্রয়ী উদ্ভিদ গুলোতে বিষাক্ত ফলের প্যারেনকাইমা ঝুলে আছে । ফেরিক শরীরের থেকে ব্যতিক্রমী চাঁদের মতোই আস্ফালনকারী রতি পোকার বায়ান্ন অন্ধকারে তৃতীয় গোত্রের ষষ্ঠ যোগের ভ্রমণযোগ তৈরি করছে কেউ। আমি কোন পিতা বিহীন রাতের লোহিত পদার্থের ঔষধি বৃক্ষ চিবিয়ে চিবিয়ে খাই । পিতাও খায় । আমি খাই ।রক্ত খায় । পিশাচ খায় । লম্বা বৃত্তাকার উট খায় সাপের আঁশ লেগে থাকা জিভ দিয়ে । প্রতিটি স্থিতিশীল আচার্যের যান্ত্রিক ছায়া পেঁচিয়ে ধরে অজগর গর্ভের ভয়ংকর মুখগহ্বর । পরা নক্ষত্রের অতি সাংকেতিক ক্ষত্রিয় কোষকে অশ্লীল চাঁদের মতো আমিও বুবুক্ষ অন্ধকারে একটি ধারালো অস্ত্রের বিনীত দ্রাঘিমায় বিষুব রাতের হেটারোস্পার্মাটিক রক্তস্রাবের উড়ুক্কু মাছের মেরুদন্ড দেখাচ্ছি অন্তঃস্রাব চতুর্দশী রাতে । লাল ফিঙ্গারিংয়ের ঈশ্বর পাইন গাছের আঙ্গুর খাচ্ছেন
প্রাণতোষ বায়ুর মতো ঝলসে যাচ্ছে √ ৯ কার নদীর প্যালেস্টাইন নদীর গর্ভকোষ । আমি নীল চড়াইয়ের ভেতরে ঢুকে অতৃপ্ত সাধনার উটগুলোকে হত্যা করি মাঝরাতের নক্ষত্র পোড়া ছাইয়ের অগ্নিকুণ্ড দিয়ে । সপসপে পীতাম্বর সাপগুলো আমার যৌনাঙ্গ দিয়ে উঠতে থাকে হিমালয়ের খাঁজে থাকা লোমশ তামাটে কুন্ডের দিকে । এ পাপ নদীকে বারবার ক্ষারকীয় করে তুলি । গর্ভের ভেতরে জমে থাকা শুক্রাণুর মতো এ জন্মের কাঁচের প্রস্থ আসবাব গুলো সম্ভোগ দৃশ্য দেখাচ্ছে । কে কাকে দৈহিক অন্ধকারের খনিজ ভেদ করে অঙ্গারগুলির লেহনের শুক্রাচার্য ইঙ্গিত দেয় ? ঞ নারী ? ধ নাদ? পিশাচের ৯ কার লিঙ্গ ? ( দুটো অস্ত্র যুবতী বজ্রের গায়ে লেগে ছিল) খনির ভেতরেই খনিজ অন্ধকারের মতো তীব্র রাগাশ্রয়ী উদ্ভিদ গুলোতে বিষাক্ত ফলের প্যারেনকাইমা ঝুলে আছে । ফেরিক শরীরের থেকে ব্যতিক্রমী চাঁদের মতোই আস্ফালনকারী রতি পোকার বায়ান্ন অন্ধকারে তৃতীয় গোত্রের ষষ্ঠ যোগের ভ্রমণযোগ তৈরি করছে কেউ। আমি কোন পিতা বিহীন রাতের লোহিত পদার্থের ঔষধি বৃক্ষ চিবিয়ে চিবিয়ে খাই । পিতাও খায় । আমি খাই ।রক্ত খায় । পিশাচ খায় । লম্বা বৃত্তাকার উট খায় সাপের আঁশ লেগে থাকা জিভ দিয়ে । প্রতিটি স্থিতিশীল আচার্যের যান্ত্রিক ছায়া পেঁচিয়ে ধরে অজগর গর্ভের ভয়ংকর মুখগহ্বর । পরা নক্ষত্রের অতি সাংকেতিক ক্ষত্রিয় কোষকে অশ্লীল চাঁদের মতো আমিও বুবুক্ষ অন্ধকারে একটি ধারালো অস্ত্রের বিনীত দ্রাঘিমায় বিষুব রাতের হেটারোস্পার্মাটিক রক্তস্রাবের উড়ুক্কু মাছের মেরুদন্ড দেখাচ্ছি অন্তঃস্রাব চতুর্দশী রাতে । লাল ফিঙ্গারিংয়ের ঈশ্বর পাইন গাছের আঙ্গুর খাচ্ছেন
তৃতীয় ব্রজ পদার্থের মাংস ও ক্রেনিয়াল রাতের ১ম অশ্বারোহী
তৃতীয় ব্রজের সম্পাদ্য ভেদনকারী কোন নষ্ট টেস্টিসের পরাক্রমশালী ঋষির অন্ডজ ধাতু পদার্থটি অবিনশ্বর যৌগিক স্পাইরাল ভেদ করে মাটির ত্রিভুজাকৃতি মৃত্তিকা সদনে নগ্ন পিতাকে প্রসব করছে, জন্ম ঘরে ঢুকে পিতা নিজের মাংস খায় ।
মনিগ্রীব এসে দাঁড়ায় নলকুবের ঘাড়ে। ধারালো ছুরির অশ্লীল ধ্বজভঙ্গ এসে দাঁড়ায় ডাইক্লোফেনাক জরায়ু রস মেখে । ছায়া দাঁড়ায় আমার নিষাদ সংলগ্ন নগ্ন স্তনের মতোই । আরো বিক্ষুব্ধ মাংস গ্রন্থির ভেতরে নগ্ন আঙ্গুলগুলো ঢুকিয়ে স্থাপত্যের কর্কটজনিত অন্ধকারের রোস্টেড মায়াবী ভক্ষণকারী অক্টোপাস ধরে ধরে নাভি চক্রের স্বরদর্শনের সমাঙ্গ ভুত দেখাচ্ছি লালার ভিতরেই আরো পূর্ব জন্মের কেঁচোর মতো পাক খেতে থাকা অজগরের কোন শিথিল গর্ভপাতের কোষকে । শেষ বাঁশিটি বাজাতে বাজাতে ঝুলিয়ে রাখে একটি হিজল বুকের তৃতীয় বন্ধনীর ২.৫৯ হিমোগ্লোবিন পুরুষের উপাসনা কক্ষের জৈবিক বিছানায় । ভুজঙ্গের গোলাকার মাংস মানেই স্তন নয় ।
চতুর্থ পার্গেটিভ তেজস্ক্রিয় অন্ধকারের ইউরেনিয়াম বিষয়ক জেলি মাখানো ব্রহ্মচর্যের আদিম সন্ন্যাস কুমেরু মহাকাল ভেদ করে উচ্চ রক্তচাপের অস্ত্রগুলোকে নিয়ে বিবিধ নাভির ভেতরে উত্তেজিত করছে বক্সাইট নারী শ্রমিকের চর্ম রোগাক্রান্ত পাখিটিকে । তিন দিন পর উচ্চ রক্তচাপে মারা যাবে যে পুরুষটি সে নিজের মাথার ভিতরে জমে থাকা রক্তকে কুপিয়ে কুপিয়ে আরো তৈলাক্ত করে তুলে মৃত মাছের অনাস্বাদিত কোন ফুসফস । কটমট অট্টহাসিতে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে । আমারই মত কোন বি নেগেটিভ যৌনরোগে ভোগা রক্তপিন্ডের দলা পাকানো দুর্গন্ধ ওঠা ছাইটাকে নিয়ে নিজের মাংসাশী প্লেটে জমিয়ে রাখি আমার অন্ডকোষের তৃতীয় ধনুর্ধর বংশধরের প্রজেস্টেরন কৌতুক । লালায় ভিজে যায় সফটওয়্যার ফিজিওলজিক্যাল আঙ্গুর বিক্রেতাটি যে কোনদিন মানচিত্রের ভেতর মূত্র ত্যাগ করে হাঙরের পিতামহ খুঁজতে যায়নি ।
৫০৫ টি যৌনদৃশ্যের ক্যাম্ফায়ার ভদগা ও ফেরোমেন পাখনা
এন্ড্রোসেফ ধাতু রক্তটি হিসহিসে কালো পলিথিন মোড়া কালো রাস্তায় স্তন দুলিয়ে দুলিয়ে উলঙ্গ নৃত্য করছে ছিঁড়ে দিচ্ছে আল্ট্রাসনিক তরঙ্গের ল্যাবরেটরিক রিপোর্ট। অ্যান্ড্রোমেটেরিয়াস জরায়ুর ভিতর অবিনশ্বর সিষ্ট দানাগুলোকে নীল রঙে মুড়ে নষ্ট বৃত্তাকার জিওল সাংখ্যমান আঁকতেই বেদানারা আত্মহত্যার তলপেট আলগা করেছে শায়ার দড়ি খুলে, (মৃত্যুর এক্সপায়ারি ডেটে আগস্ট ২০২১ লেখা ছিল ) । ১ কেজি জিরাফের লিভার ২০ টাকার বিক্রি করছে সাদা রঙের চামড়া ব্যবসায়ীরা ।
৫০৫ টি ঘুমের স্লিপিং পিলের মতোই আমি অতি দাহ্য শিরদাঁড়া গুলোকে সুতো বেঁধে ঝুলিয়ে রাখি মহেশ্বরী গর্তের কাছে। দুটো উলঙ্গ জঙ্ঘ থেকে ত্রিবিধ ময়ূরাক্ষী পাখিগুলো উড়ে যাওয়ার পর এক কোটি ১১ লক্ষ ১০১ জন পদাতিক হত্যাকারী ফিরে গেছে নক্ষত্রের মহেশ্বর ছায়া কাঠির দিকে ,( ২য় পিতার গায়ে বাদাম রসে ডোবানো লাক্ষার লালা লেগেছিল ) । দৈবাৎক্রমে এই শিথিল শ্রমিক দৈর্ঘ্যের আত্মাগুলো পরাশ্রয়ী সাপের মতো খোলস ফেলে দেয় , কাটা গলার কাছে ঝুলিয়ে রাখে উটের চর্বি , শূকরের নষ্ট মলদ্বার , কুরুক্ষেত্রের জীবাণু , দময়ন্তীর বিষ , নিকোটিন সার ছড়ানো ধোঁয়ার জাল , পিতা গাছের পাপ , শুক্র ভর্তি আগুনের দেশালাই , ইস্পাত কারখানার নষ্ট ভ্রুণ , কাগজের কলজে , আঙুলের নখ , বিরজা ক্ষেত্রের পুরুষ , চন্দ্রাবতীর নষ্ট বিশ্রামাগার , রগরগে পলিথিনের চামড়া , অস্পৃশ্য নিষিদ্ধ গণিকালয়ের ৩৩টি কাটা পা , উলঙ্গ জঙ্গলী জাঙ্গিয়ার ক্যাম্ফায়ার ভদকা ,
পিপাসার্ত সুদীপ জলের ভেতর একটা তড়িৎ চুম্বকীয় রগরগে রোগের পাখনা নেমে আসে ভৌতিক শিরা বরাবর । এখানে কে কাকে ধমনীর চৌকাঠ পেরিয়ে অলিন্দের কুঠুরিতে ঝাউতলার শীঘ্রপতন দেখাচ্ছে রক্ত ভর্তি মশার বরফ খাওয়া রাতের মধ্যম প্রহরে ?
হত্যাকারীদের স্থলভূমিতে কার্বনদন্ডের অনিষিক্ত ঝলসানো মাংসের কিমা খেতে দেই শ্রীহীন স্থাপত্যের সব ক্ষুধার্তদের । পোকারা কিলবিল করে ওঠে পেপাইন নৌকার ভেতরে টলতে থাকা ফরাসি পেঙ্গুইন পাখির থেকেও আরো তীব্র কোন সাপের মতো , অতি বিষাক্ত সঙ্গম ফেলে আসা খোলসের রেতঃ দ্রব্যের অযৌন সারাৎসার যুক্ত প্রমাদ ফেলতে ফেলতে নষ্ট যোগমায়া দেখছে ক্লীব পাখনা ওয়ালা রসপুরের রসায়ন বিজ্ঞান।
*********************************************************************************************
নিমাই জানা
এ সময়ের অন্যতম শক্তিশালী তরুণ কবি । রুইনান সবং পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে লিখছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ছায়ার মূলরোম ও নির্জন পুরুষ অসুখ * জিরো কম্পাঙ্কের পেন্ডুলাম * ঈশ্বর ও ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়া * ইছামতি ঈশ্বরী ও লাল আগুনের ডিম্বকোষ * রজঃস্বলা বৃষ্টির গুণিতক সংখ্যাগুলো * ব্যাবিলনের চাঁদ।




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন