সুধাংশুরঞ্জন সাহা * দুটি কবিতা
ঘোলাটে দিন
মানুষের যদি মানবতাই না থাকে,
তবে কীভাবে আজ বিফলতার নানা ক্ষত
রক্তাক্ত মনের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে!
বিনা মেঘে রক্তপাত
রাতবিরেতে ঘটছে দিকে দিকে।
গোলাপে যদি মন না ওঠে বিঁধুক কাঁটাতারে,
বুলেট গুলি বারুদ আর
রাতের ফাঁক ফোকর দিয়ে
দীর্ঘ পথ চলার কথা বলা হয়নি
সেই সময়-অসময় ঘিরে।
সত্তর দশক
সত্তর দশকই উসকে দিয়েছিল
বিপ্লবের ভিন্ন বর্ণমালা।
দেখিয়েছিল আশার আলো।
বন্দুক অথবা কার্তুজের স্বপ্নভঙ্গই কি
ফিরিয়ে নিয়ে এলো ব্যালটের বৈষ্ণব পদাবলী?
প্রশ্নে প্রশ্নে জেরবার এই সময়ের চালচিত্র।
নকশালবাড়ি জঙ্গলমহল ছোটনাগপুর কিংবা চারু মজুমদার
উচ্চারিত হলেই
মনের ইজেলে হারানো স্বপ্ন উঁকি মারে আজো।
জন্ম ৩০ ডিসেম্বর ১৯৫৭। বেড়ে ওঠা পূর্ব কলকাতায়। ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক।আটের দশক থেকে লিটল ম্যাগাজিনে কবিতা লিখেই তার যাবতীয় পরিচিতি । কবিতা ছাড়াও গল্প, ছড়া, প্রবন্ধ এবং বিদেশি কবিতা অনুবাদ করতে ভালোবাসেন। সম্পাদনা করেন একটি অনিয়মিত লিটল ম্যাগাজিন 'অন্যসাম্পান' । প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১৬, গল্পগ্রন্থ : ২, ছড়াগ্রন্থ : ২ উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে : অপহৃত রাত্রির চর্যাকথা * নিরুত্তর তারার স্বপ্ন * পূর্বাভাস * পাগল চাকা ঘুরছে অবিরাম * একা দুপুর * শ্রেষ্ঠ প্রেমের পদ্য * সময়ের এস্রাজে বেজে যায় অবুঝ দুপুর * বেলুনের কোন জন্মদিন নেই * নির্বাচিত কবিতা ১০০ ইত্যাদি।





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন