শম্পা সামন্ত * দু’টি কবিতা
আগাম সন্ততি
ভর সন্ধ্যেয় কস্তুরী মৃগরা ফরেস্টে,দুধ ঢালা অন্ধকারে।
তখনই তোমার আর আমার নাম লিখে ফেললাম শাল গাছঘিরে।
ঋজু।পুরুষের মতো সুঠাম।
আমি আর তুমির মাঝখানে খোদাই করেছি যুক্ত নাম।
পাছে লোকে দেখে ফেলে
ছুটে এসে মুখ লুকোই শালের
অস্পষ্ট চন্দ্রালোকিত বুকে।
আটান্নটি নাছদুয়োরে
পৌঁছেদিয়েছি সেকথা বুক ঠুঁকে।
শেষ মেস লালবাঁধের জলেই চুবিয়ে নিয়েছি স্খলন।
ও আমার অখণ্ড চাঁদ
তোমার বিরুদ্ধতায় ক্রমশ গলন
উত্তাপ আবেশ।
স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে দাও বেশ।
তুমি, আমি আর আমাদের ক্লান্ত রতি।
চাঁদের অখণ্ড কলঙ্ক মাখা ঘোলা জলে ভেসে যাচ্ছে আগাম সন্ততি।
ঝর্ণার জলে আর নাইবনা
মানুষের বাসযোগ্য কোনো স্থান আছে।
ভীষণ কুয়াশাচ্ছন্ন রাতের মায়ায়।
সফেদ সাবান মেখে আমি আর ঝর্ণা তলায় যাবনা।
ঝুরঝুরে জলের নিচে সেরে নেব আহ্নিক।
আমার জন্য কেউ কী সমুদ্র মন্থন করে এনেছে গোপন অঙ্গে?
রসুইঘরে বেড়ে রাখা হচ্ছে মেঘ সাদা ভাত।
লেকের জল স্থিরবর্ণে চেয়ে নিচ্ছে কাজল চক্ষু মাছ জলের নিচে।
শীতলতা অবৈধ জেনে শুকিয়ে রেখেছি চোখ।
আজ নাইতে নেমে জলকে অশ্রু বলে গ্রহন করছিনা।
অসতী আখ্যায় পুড়ে যাচ্ছি অসম্পূর্ণ মেয়ে।
******************************************************************************
শম্পা সামন্ত
প্রথম প্রকাশিত কবিতার পত্রিকা আজকের যোধন।( ১৯৮৭) আসানসোলে একচেটিয়া কবিতায় তাপ উত্তাপ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গান, কেতকী, পরে শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন অনুপত্রী, সাহিত্যিকা, নিজস্ব সম্পাদিত পত্রিকা বিকর্ণ। পরবর্তীতে বহু পত্রপত্রিকা নন্দন, এবং মুশায়েরা, একুশ শতক, কবিকণ্ঠ, কবিতা পাক্ষিক, জিরোবাউণ্ডারির বহু সং্খ্যা লেখা। ২০১০ সাল থেকে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশনের আওতাভুক্ত রিসার্চ জার্নাল অন্তর্মুখেসহসম্পাদক হিসেবে নিযুক্তি ও বর্তমানে অন্তর্মুখ অন্তর্জাতিক দ্বিভাষিক জার্নালের সম্পাদক। কবিতার পাশাপাশি প্রবন্ধ লেখাও ভীষণ শখ।





বেশ মননশীল লেখা
উত্তরমুছুন