অনিরুদ্ধ সুব্রত * দু’টি কবিতা
নুড়ি
ব্যক্তিগত নুড়িপাথর ছড়ানো
রয়েছে, পাহাড়ের পায়ের কাছে
অগণিত, বিবিধ আয়তনের সাধারণত
খসেছিল এবং ক্ষয়েছিল তারা
যতটা একই, ততটাই একাকী প্রতিটি
তাই তো তাদের ব্যক্তিগত বলেছি..
কী করে যে হয়েছে মসৃণ, রঙিন
কতবার কত ঘর্ষণের কাছে ঋণ
বয়স যে কত যুগ তারা জানে না
ক্ষয় হয়ে সুদৃশ্য হয়েছে কিন্তু
খসেছে কতকাল আগে, ভুলে গেছে
পা দিলে সরে সরে যায়, যেন চঞ্চল
পাহাড়ের পায়ের কাছে বিছিয়ে
দানা দানা পাথরের জল।
নিঃস্ব নৈবেদ্য
একশো আট বেমানান, তবুও নিয়েছি
ছন্নছাড়া রাতের অশ্রু হাতে,
ক্লিষ্ট, রুগ্ন তালুতে দুফোঁটা টলটলে জল
পৃথিবীর নোনতা আগুনে আহূতি কতবার
রেখেছি ভগ্ন মন, গহন, শরীর, শব্দ-উপহার
একশো আট মন্ত্রে, কখনও নয়--- উচ্চারণ।
জানি না যে---তা তো নয়, মননে খনন
মিলে মিশে দারুণে দৃপ্ত--- মানানসই ;
স্বপ্নের লিপি হতে মুক্ত হলে, তবু মনে হয়
একশো আট বেমানান, জেনেও কেন
বিচ্ছিন্ন দিনের ভার বয়েছি ততবার
প্রকৃষ্ট যা কিছু ক্ষত, লুকিয়ে কি প্রজ্ঞা হলো---
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রথাগত পথে পথে
প্রাচীন পথ-গানে বাতুল তুমি বেঁচে থাকো
মৃত অনুভবের প্রতিধ্বনি শোনো চুপ করে
বিচ্ছিন্ন--- সমস্তের ভেতর একা, জনৈক
একশো আট বেমানান, তবুও প্রত্যহ
সাদামাটা প্রবন্ধের উপসংহার, নিজে লেখো..
******************************************************************************************************
জন্ম ১৯৭৪, বনগাঁয়। ছাত্রবয়স থেকে লেখালিখি শুরু। মূলত কবিতা। এছাড়া ফিচার ও ছোটো গল্প। এ পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- ছয়টি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ- 'রোদ ও বোধের দ্বীপে'(২০০৩) এরপর 'আগুনের দিন গুলো নেই', 'নিভৃত আগুনের পদাবলী', 'এক গলিত যুদ্ধ স্রোত', 'কালো ছত্রাক', 'যাপন বিক্রির টেবিল'(২০২১)। সম্পাদিত পত্রিকা- 'উত্তর পক্ষ' । পেশা শিক্ষকতা, নেশা কবিতা। সম্প্রতি প্রকাশিত অ-নিরুদ্ধ সুব্রত-র কবিতার বই---






কবির শব্দ উপহার বেশ সমৃদ্ধ
উত্তরমুছুন