গোবিন্দ মোদক * দু’টি কবিতা
মুখোশের ভিড়ে
ঘুম ভাঙলেই যথাবিহিত প্রাতঃকৃত্য
তারপর খুলে রাখি মুখ ও মুখমণ্ডল
পরে নিই একটা নমিত মুখোশ
তারপর প্রাতঃরাশের সঙ্গে
কাগজের খবরগুলোকে চিবোতে থাকি
আগুন-আগুন চা খাই
আর মুখোশ বদলে নিয়ে
নেমে পড়ি মানুষের ভিড়ে।
অথচ আশ্চর্য এই যে –
এতো মানুষের ভিড়েও
কোনও সত্যিকারের মুখ
আমার নজরে পড়ে না,
যা কিছু দেখি তা মুখ নয়
মুখোশের নামান্তর মাত্র!
মাগো!
আমাকে একটা ধারাপাত কিনে দেবে
নতুন করে আবার গুনতে শিখবো!
যখন ভাবনারা
এক একবার ভাবি –
সবকিছু ছেড়ে-ছুঁড়ে বাতিঘর হয়ে যাই
নিয়ন আলোয় পথ দেখাই পথভ্রষ্টকে;
কিন্তু আমার সে ভাবনা দীর্ঘস্থায়ী হয় না!
কেন না ততক্ষণে আমাকে পেয়ে বসেছে
নীলকন্ঠ পাখি হবার উদগ্র বাসনা!
নীলকন্ঠ পাখি! কেন? আরে তাও জানো না!
ও-ই তো মহামায়ার আগমন-বার্তা বয়ে আনে,
তারপর ফিরে যায় দূরে … তেপান্তরে …
ধুস! নীলকন্ঠ পাখি না।
তাহলে বরং তেপান্তর-ই হবো।
ঘোড়ায় চড়ে রাজপুত্তুর আসবে …
টগবগ টগবগ … যুদ্ধ হবে …
তরবারীর ঝনঝনানি …
তারপর রাজকন্যা উদ্ধার …
… রাজকন্যা? এইবার ঠিক হয়েছে!
রাজকন্যা-ই হবো তাহলে …
যাকে বলে কুঁচবরণ কন্যা আর মেঘবরণ চুল।
কিন্তু আমার সে ভাবনাও দীর্ঘস্থায়ী হয় না …
কি হলে ভালো হয়
সেই আকাশ-পাতাল ভাবনাতে
ভাবিত হতে থাকে আমার মন ...
***********************************************************************************
প্রকাশিতব্য গ্রন্থ:- পদ্য ভরা আমার ছড়া * ছন্দ ভরা আমার ছড়া * রূপকথার রূপ-কথা * ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ * গুপ্তধনের সন্ধানে * জীবনের রোদ-রং ইত্যাদি সম্মাননা: পাঠকের ভালোলাগা এবং ভালোবাসা-ই সবচেয়ে বড় পুরস্কার।



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন