তাপস কুমার দে * দু’টি কবিতা

পালক ঝরা বাতাস
অন্তরিক্ষে অস্তিত্বের জোছনা জোছনা পালক ওড়ে
কাঁচচূর্ণ বিবস স্বপ্নের ফ্ল্যাশলাইট চমকায়
ফ্যাঁকাসে হয়ে ওঠে জমকালো দিনগুলি
সন্দিগ্ধচিত্ত,
সন্ধিবিচ্ছেদ পড়তে পড়তে ব্যকরণের ছায়া খোঁজে
লেখে সমাসবদ্ধ সময়ের ব্যবচ্ছেদের রীতি
শাপলুডুর মই বেয়ে লতিয়ে ওঠে
সন্দেহাতীত ধরে আছে নক্ষত্রের রাত
বুড়ি-চির বুড়িকে ছুঁতে না পারার যন্ত্রণাতে
তখন আলোকবর্ষ ভেদ করা বাউল কবি
সুরে সুরে নেমে আসে নীলাভ সহচরে
পালক ঝরা বাতাস ছুঁয়ে যায় ঝিঁঝিঁ কলরবে
প্রত্যাশার মাটিতে বোনে সুললিত সবুজ সম্পর্কের বীজ।
কোন নির্জনে
নির্জনে, নিজেকে ডুবিয়ে রাখে পথ
আকাশবৃষ্টি ভেঙে নামা নির্জন পথে
নৈঃশব্দ্যে সৃষ্টির তীব্র ভিড়ে বসে আছে
নিজের মতো আয়োজন বিলাসী
একাকিত্বের টানেই একাকি হেঁটে যাওয়া
দিন উদয়ে পথগুলো নিজেকে খোঁজে
খোলা মানুষের দেখা পাওয়া কঠিন
কঠিন তাদের অন্তরের পথে হাঁটা
বিরান হওয়া ঠা ঠা রোদ্দুর ঝরা পথ
মুখিয়ে থাকে ফাঁদ পাতা শিকারির মতন
নর্তকী-মন সকৌতুকে হাসে সমতালে
নিজেকে হারিয়ে ডুবে যায় নির্জনতা ।
***************************************************************
তাপস কুমার দে
লেখালিখি শুরু--সেই স্কুল জীবন থেকে লেখালেখির হাতেখড়ি।
স্কুল জীবন থেকে বিভিন্ন রকম গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে এটা প্রবল হয় যখন আমার এক সহপাঠী বিভিন্ন রকম বই সংগ্রহের উদ্যোগ নেই কারণ সে পাঠাগার গড়ে তুলবে। আর এ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে গেলে একটি বই দিয়ে অংশ গ্রহণ করতে হবে। আমি অংশ গ্রহন করলাম এবং গল্প পড়তে পড়তে লেখার ইচ্ছে জাগে এবং একটি গল্প লিখেও ফেলি ওটাই আমার প্রথম লেখা।
প্রভাব সৃষ্টিকারী লেখক অথবা কার কার লেখা পড়তে ভালো লাগে---- আমি যখন বেড়ে উঠি তখন হুমায়ুন আহমেদের যুগ তারপরও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্রের মতো লেখকদের লেখা ভালো লাগার তালিকায় উঠে আসে।
আমি কেনো লিখি---- আত্মতুষ্টির জন্য খানিকটা তারচেয়ে বড়ো ব্যপার হলো মনুষ্যত্ব বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ যে সাহিত্য, তা নিজেকে ও সমাজকে বুঝাতে। যার ভেতর রয়েছে মহাজাগতিক আনন্দ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ ---- লেখালেখির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে নিজের বই প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা আর সেই লক্ষ্যে পান্ডুলিপির কাজ চলমান।
বেশকটি সাহিত্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তার মধ্যে অন্যতম খুলনা সাহিত্য মজলিস, খুলনা কালচারাল সেন্টার। এখনও সম্পৃক্ত আছি খুলনা কালচারাল সেন্টারর সাথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন