চন্দ্রাণী গোস্বামী * দু’টি কবিতা
অন্বেষণ
বত্তিচেল্লির শেষ আঁকার চেয়েও নিঃস্বতা ভরেছ তুমি
আমার যে সকালে
দরিদ্রতম হচ্ছে দিন
ঈষৎ বাদামি উজ্জ্বল চোখে
যে মানুষটা প্রকৃত নিঃস্বতায় ভরিয়েছে আমাকে
কবেকার---- সেই রেনেসাঁর সময় থেকে...
সেই অতিথির আগমন তিথি থেকে
আমার অপেক্ষার শেষটুকু আলোর অপলাপ ছুঁয়ে ফিরে এলে
ভাবতে বসি, বত্তিচেল্লির
জীবনের শেষ মুহূর্তে কখনো কি
রঙের এষণা মুছে গিয়েছিল অন্য কোনো তুরীয় অন্বেষণে?
বত্তিচেল্লির নিঃস্বতার চেয়েও দারিদ্র্য কি তুমি
সত্যিই ভরেছ আমার সকালে
রঙহীন করবে বলে...?
শুভদৃষ্টি
আমরা তখনও কথা বলছি। বাইরে তুমুল ঝড়
ধুলো ছায়া মেখেও নন্দিত হয়ে আছে রাত। শুভদৃষ্টি
চিলতে ঘরে একজোড়া বুক। ঔষধি গাছের মতো
নিরাময় দিচ্ছে একে অপরের ব্যথাদ্রুত অঞ্চলে। নীলকন্ঠ
দুটো চারটে চুম্বন জোনাকির মতো পাখা মেলছে। দুটো
চারটে আলিঙ্গন রমণের মতো সুখ হয়ে থুবড়ে পড়ছে
দেহ মন জুড়ে। শান্ত স্থিত প্রলয়কাল
বাইরে তখন মৃদু বাতাস। উঠানের খোঁদলগুলো ভরে
উঠেছে জলে। দূরে স্মিতহাস্য মেঘ হিজলের বন থেকে
ঝাঁকড়া হাসি বয়ে আনছে।
**********************************************************
জন্ম সত্তর দশকের শেষদিকে। স্কুল জীবন, বড়ো হয়ে ওঠা সবই কলকাতায়। পড়াশোনা স্নাতকোত্তর , কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে কলকাতার একটি কলেজে হিসাব রক্ষণ বিভাগে কর্মরত। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি তীব্র আসক্তি। নতুন শতকের প্রথম দশকের শেষ থেকে নিয়মিত লেখালেখি। কবিতা আশ্রম, কৃত্তিবাস, গাঙ্গেয়, অপদর্থের আদ্যক্ষর, বম্বে ডাক, তমোহা, সাজি পত্রিকা, বিকল্প বার্তা সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত। খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে তাঁর কবিতার বই----







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন