অলোক পুষ্পপুত্র * দু’টি কবিতা
খণ্ডিতা
বিল্লি নিয়ে খিল্লি করে ফুল্ল কুসুমিতা,
হিল্লি হবে দিল্লি গিয়ে? পহলে উ পাতা
কর - ফন্দি ওম বন্দি বিদ্যা কুণ্ডলিনী
জানে অল্প, ফাঁদে গল্প সুযোগ সন্ধানী
দিল্লি ঘুরে শান্তিপুরে - মাকু হতোদ্যম
ম্যাঁও লজ্জা ত্যাজে শয্যা অতৃপ্তি চরম
ইল্লি, বলে, মিল্লি হবে! ভার্চুয়ালে উঁকি
হাস্যমুখে বন্ধু ঢোকে মেসেঞ্জারে, টুকি
ছোড়ি ছল্লি ঘুমে বল্লি ব্যাটার সপাট
চার ছক্কা টরেটক্কা স্ট্যামিনা বিরাট
টি-টুয়েন্টি বাজে ঘন্টি, ঝিঁঝিঁ ঝিল্লিবন
নিশি ডাকে ফুল্লরাকে, নিজস্ব নির্জন
নির্জনতা রাখো মাতা, নিভন্ত আগুন
রান্নাঘরে রক্ষা করে আংটা অর্জুন...
মৌতাত
তোমাকে উড়িয়ে দেব ছিঁড়ে ধূমজাল, মহাকাল
চোখের তারায় রং বদলায় ঋষিমণ্ডল
মঙ্গলছায়া পড়ে বিষুবরেখায়, সুতো-বুড়ি?
কাচগুঁড়ো-মাঞ্জা ছিঁড়ে লাটাই ফেলে গেছে ঘুড়ি
ঘুড়িডাক বাজে শাঁখ, বায়ু কাটে মদনগোপাল
বড়াই তুলছে শাক, বাড়ন্ত রাধামণি চাল...
ঘূর্ণি সাগরনাদ, বরোজে খসে পড়ে পাতা
কৌমুদী জলাশয়ে মুখ দেখে কাব্যের সীতা
সীতার কৃষক পিতা আলে বসে হুঁকো বিশ্রাম
তন্ত্রীতে খেলে যায় মেঠোসুর ফকিরের গান।
লালন করেন পিতা, মাতা সাধ তিথি ঋতুদিন
প্রদীপের শিখা কাঁপে কাজলদানিতে জমে ঋণ
ঋণকাল উড়ে যায় ঘুরে যায় ধোঁয়ার আকর
মহামায়া, জাদুটোনা সম্বল ফুঁসমন্তর?
মন্ত্র আকাশে তোলে - লালগ্রহ, পূর্ণিমা চাঁদ
ছায়া ফেলো - মায়াবনে - ধনুভাঙা আহত নিষাদ
***************************************************************************************************



চমৎকার বুনন
উত্তরমুছুন