কবিতাগুচ্ছ * সন্তর্পণ ভৌমিক
মরু, খরা ও তস্কর
শ্বাপদ-সখারা আসে, অতিভদ্রলোকি
এরা ধীরগতিপ্রিয়, এরা সুমধুর কন্ঠ অনুসারী
কথাগুলো লাস্যবিরচিত, এবং
রসমূর্ত কথাগুলো মাঝেমাঝে বাস্তবিক হয়ে আসে
মেকি কোনো জোনাকিজোৎস্নায়
একদম পাঁজরের অন্ত্রনলে
মোহেকামে, শারীরিক প্রবঞ্চনায়
এদের প্রাকৃত কূট অভিশাপে
ধূলির উড়ুনি আসে, তারপর ধূলোমেঘ
ধূলিচিত্রে দেহ অবয়ব
দাবানলে লুপ্ত হলো আমার সোনার বীজ
কাঙ্ক্ষিত শ্রাবণ বর্ষা
আমি আজ মিশে গেছি বিদেহ-আগুনে
করুণ শ্বাসের কাছে রূপের রহস্যে দেখি
প্রেতিনীর ছাই ভরসা।
এমন ভেবেছি আগে
জীব সাথে সমতলে আছি
এ যে উড়গ বিলাস
শাকভুক, স্থিরপ্রত্মকায়
রাত হলে ব্যবহৃত হারপুন নিয়ে
জোনাকির রঙ খুঁজি জোছনা পালকে,
আমি নাকি হেঁটে যাই রহস্য উন্মাদে?
সমুদ্রবিপনি করি, পাখির আলোকনৃত্য হাওয়ায় পোড়াই?
মাছেরা উলঙ্গ দেখি
এখানে পোশাক নেই কোনো
জমে গেছে জন্মকল্পধোঁয়া
আমাদের অতিরিক্ত নিত্যহাহাকার
আমাদের ধৈর্য্য আর রক্তবিন্দু অতি
জমে গেছে আঁধার শয়নে
আহ্, অতীতের মৃতদুঃখ আসে।
সমুদ্রদেহি
কার জন্য প্লূত হও?
তুমি আজ সমুদ্র সমান
তামাম পূর্ণিমা জুড়ে
তোমার কম্পন শুনি
দৈবক্রোধ দূরে যায় সরে
তোমার জোছনা রেখা
প্লাবিত করেছে দেহ
স্বর্গসুখ ইহাতে বিধান
আমার আরক্ত শব
ওই দেখো ভাসমান
ঘোলাজলে বিরক্ত প্রয়াণ
তোমার দেহের স্পর্শ
ইহাতে কাঙ্ক্ষিত হলে
ভোররাতে পদস্পর্শ দিও
আর রাতটুকু শেষ হলে
আলোর ছায়ার সাথে
অবোধ শিশুর ঘ্রাণ নিও।
রাত্রি আগন্তুক
রাত খুব কাছে চলে এলে
আমি খুব স্থির হয়ে যাই
নিবিড় অপেক্ষা করি
যদি আসে নদী থেকে কেউ
তার শ্বাস-ঘ্রাণ দেখি
তার পদক্রম দেখি
তারপর নির্ভেজাল নীরোগ সময়ে
বিব্রত অসুখ আসে
ছেয়ে যায় আন্তরিক শব্দকণা সব
প্রতিটি রক্ত পরমাণু।





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন