শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অমিত চক্রবর্তী




অমিত চক্রবর্তী * দু’টি কবিতা 


ফিরে ফিরে যাও বহিয়া

ভালবাসা ফিরে যাও সন্ধেবেলা, সারাদিন অনেক খেলেছ – আনন্দ বাগচী

 

তারপর সে কথা ভুলে যায়, আমি দেখতে পাই

তার মনের সিপিইউ, জঙ্গলে পথহারা ভ্রমণ,

এখনও সে নিরুত্তর, এখনও সে যন্ত্রণায় চরকি পাক,

দুরন্ত ঘূর্ণির বুঝি, কখনও পিঙ্গল,

একটি উদ্ধৃতি এসে বাঁচায় তাকে এবার

“ভালবাসা ফিরে যাও সন্ধেবেলা, সারাদিন

অনেক খেলেছ” । আমিও এর আগে বহুবার

ফিরে গেছি ঘাসে,

দুপুরবেলা, সন্ধেবেলা একা ফেরা, মানুষের ভিড়ে

ফিরতে ফিরতে ফেরারি ঢেউ, কলারে লিপস্টিকের মতন

সাক্ষ্য, প্রামাণিক তথ্য…

 

আমি ফেরাতে কিন্তু ইদানিং আর রসদ পাই না কোনো

সন্ধ্যারাগের পূরবী তান, বা আয়ুর্বেদের

ঝিলিমিলি উপশম।



















যৌবনে মৃত্যু হয়েছিল আমার


 

যৌবনে মৃত্যু হয়েছিল আমার, তাই বুঝি আমি তাকে

সুখী ভাবি খুব? – এক ধরনের রূপান্তরে খুঁজি বা

র‍্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি,

ঘটনার থেকে ভাবনাতেই দুঃখভাব বেশি।

তবু ঝাপটা দিই চোখে তুফান জলের, সুখের জল

ছড়াই তার ভুলেযাওয়া সুরসকালে। সুখীকন্যার

স্বপ্নের ভ্রমণ, রূপকথা বনে সে

বিশেষণ বসায় ঘেঁষে, ট্যাটু এঁকে দেয় গাছে,

মায়ালেকের কাকচক্ষু জলে। বিশেষ্য ভেবে নাম ধরে ডাকে

খসে পড়া নবীন শাখাকে। আহা, যৌবনে ঝরা সেই

মহুয়া পাতার অভিলাষ, ‘মাতাল মধুকর,

পীবইতে’, পীবইতে জীবনের অনুবন্ধ,

পতঙ্গ-পরাগী ফুল, খানিকটা অনিবার্য বাঁকে,

খানিকটা এলোমেলো, অপরিহার্য।

 











*******************************************************************



অমিত চক্রবর্তী

অমিত চক্রবর্তীর জন্ম সোনারপুর অঞ্চলের কোদালিয়া গ্রামে। ছাত্রাবস্থায় অনেক লেখা এবং ছাপানো কলকাতার নানান পত্রপত্রিকায়। পড়াশোনার সূত্রে আমেরিকা আসা ১৯৮২। এখন ক্যানসাস স্টেট ইউনিভারসিটিতে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ও প্রাক্তন কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের ডিন (২০১৬-২০২২) । প্রকাশিত কবিতার বই তিনটি - "অতসীর সংসারে এক সন্ধ্যাবেলা" (২০২১), "জলকে ছুঁয়ো না এখানে" (২০২২), এবং "ভালো আছি স্তোত্র" (২০২৩)। দু'টি পত্রিকার সম্পাদক - উত্তর আমেরিকার নিউ জার্সি অঞ্চলের পত্রিকা "অভিব্যক্তি" (সহ-সম্পাদক) এবং "উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা" কবিতা পত্রিকা।







৪টি মন্তব্য: