সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

আশিস মাইতি





আশিস মাইতি * দুটি কবিতা 







ভবিষ্যনিধি

জ্যোৎস্নার কাদায় হেঁটে হেঁটে ফিরি

স্বয়ংভু সকালে, যা আমার জন্মস্হান নয়। 

ব্যঞ্জনে বাঁধা নিরবধি নদী---

সূত্রকার, আমার জন্মদায়িনী। 


তুঙ্গী মেঘের তুরীয় তুরঙ্গ যোনি ও জঙ্ঘায়

রেতরসে দ্রাব হয় অমল আকর,

অশত্থের আঁধারে কাঁদে সবিরাম তিতির তৃষা

জোনাকির দৈন্য আলোছায়া।


দেহলিজে এ ধানগাছ ভবিষ্যনিধি,

গোলাঘরে গন্ধ মাখে এ মন মাছি।

স্বৈরিণী সময় উপপাদ্য আঁকে,

অন্তপদ একান্তই চিরকাল---

"ভাবের ভাবিনী রাধা।"












প্রণম্য ওই জ্যোতির্লতায় 

অন্ধ ইচ্ছে গুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরে

আকুল সাগরে ভাসে বেহুলার ভেলা।

তবু স্বপ্নভান্ড রাখি দেরাজ দেয়ায়।

সবুজকে তো অনঙ্গ আঁধারে কালোই দেখায়।


প্রতিটি দিনই তো এক একটি জীবন।

সীমন্তে সীবন আহত দিন নিবিড়তা খোঁজে

নির্বিকল্প আঁধারের বৈরাগীতলায়।

ও অকল্প চাঁদ ! চেয়ে দেখ

উত্তর আকাশে সে অনিমিখ বারোমাস।

সিন্ধুর সীমানায় শুশুকের মতো সংকেত শোনে।


শুল্কা দশমীর কাঁসার বাসনের হিম আভা

অভাবিত সুখ, আহা ! 

শাদা অন্ধকারের সুস্মিত তরঙ্গ

হামাগুড়ি দেয় শৃগালের মতো কৃষ্ণ ছায়াতলে।


জানি, স্বপ্নকে মিথ্যা বলতে নেই,

রৌদ্রের উপত্যকায় তাকে আনতেই হবে।

অন্ধ ইচ্ছের রেখে যাওয়া ক্ষত--

অতল সমুূ্দ্রে আহত জীবন,

শাদা খইয়ের মতো পাতায় আলো হয়ে জ্বলে

প্রণম্য হই, ওই জ্যোতির্লতায় ! 



************************************************************************************************



আশিস মাইতি

জন্ম স্হান পূর্ব  মেদিনীপুরের বালিঘাই সন্নিহিত সাহাড়দা গ্রামে। অন্তরমূখী জগতে বিচরন করেন বলে মানুষ, সমাজ ও দর্শন নিয়ে ভাবতে ভালো বাসেন।  কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকা। শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। কবিতা পড়া, ভাবা ও গান শোনা ভালো লাগে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন