প্রাণজি বসাক * দু'টি কবিতা
অন্য ভাগে
ভাগের মতো ভাগ করলে একভাগে শরীর অন্যভাগে
মন পড়ে - যেতে যেতে যেতে যেতে একসময় মানুষ
পথ হারায় দিশা খুঁজে পায় না শুধু নীলাকাশ দেখে
কোথায় যাবে এমন অমানিশায় জীবন জ্যামিতি ও
অক্ষরবৃত্ত ফেলে আশা নিরাশার ঢেউ নিয়ত ভাঙছে
বলবান সময় কাছে ডেকে কয় - মনে আছে কালখন্ড
অতদূর দূরে কি যেতে আছে বৃষ্টিভেজা উঠোন ফেলে
বুকের দীর্ঘশ্বাস বুকেই রয়ে গেছে এই নে দিলামআজ
কত কত মানুষ আসে যায় করতলে কত মলিন দাগ
কেউ ধুয়ে নেয় রক্তজলে কেউ তুলে রাখে অন্য ভাগে
বন্দে মজলিশ
কথারা রাজি হলে আর কথাই নেই যেভাবে স্লোগান
ওঠে ঠিক সেভাবেই কথারা দাঁড়িয়ে পড়ে সারিবদ্ধ
আজকের কথা কাল বাসি হয় সংবিধানের আওতায়
বলে বলে গ্রামার শুদ্ধিকরণের কথা ভুলে যায় সবাই
ঘোলা জলের আয়নায় কার মুখ দেখতে কাকে দেখি
স্বপ্ন দেখাতে দেখাতে সাতাত্তর বার ওঠালে মাতরম
আর বন্দে বুঝি এমনই হওয়া উচিত হাতে দিয়ে রাখা
মহান করিশমা - মুখ বন্ধ করে রাখ হে বিজ্ঞ মহাজন
তুমিও ছাত্রদলের মিছিলে গাইলে সারেযাহাসে আচ্ছা
আর আমি অবাক হয়ে দেখি উড়ন্তফানুসের মজলিস
***********************************************************************************************
পেশায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক ও নেশায় কবি। হিন্দি বলয়ে বাংলা ভাষার কবি। কবিতাই একমাত্র জীবনের ওষধি, একথায় বিশ্বাসী। স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে উত্তরবঙ্গের তুফানগঞ্জ তথা কোচবিহার শহরে। চাকরিসূত্রে রাজধানী দিল্লিবাসী প্রায় ৪৩ বছর। আইআইটি দিল্লির ক্যাম্পাসে এবং আশেপাশে কাটালেন দীর্ঘ জীবন। কবিতা আড্ডা জমে ওঠে এখান থেকেই।
খোলবাদক পিতা ছিলেন তার কবিতার প্রেরণা। মূলত লিটম্যাগের কবি। কবিতা ছোটোগল্প অণুগল্পে তিনি স্বতঃস্ফূর্ত। দেশবিদেশে বহুবার সম্মানিত। বাংলা কবিতা নিয়ে বহুবার বাংলাদেশ এবং দুবার ইউরোপ ভ্রমণ করেছেন।
রূপসী বাংলা পুরস্কার, বনানী পুরস্কার , ভারত- বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি পুরস্কার, শৃন্বন্তু সারস্বত সম্মান, উত্তর বাংলা পুরস্কার,তিনবাংলা সম্মাননা উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন সময়ে তিনটি পত্রিকা এবং দুটি কাব্যসংকলন সম্পাদনা করেছেন। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ২২ টি।




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন