সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

প্রদীপ ঘোষ





চারে বেদ অভেদ  

প্রদীপ ঘোষ 

১.

হৈমন্তিক চন্দ্র; ছাদে টবের আধ ভাঙ্গা টালিতে ভাদ্র জলের নিচে চাঁদ লুকিয়ে আছে, একেবারে আদুরে গ্ল্যাক্সো বেবি-টি। দেখে খুব মায়া হলো। হাত বাড়িয়ে ছুঁতে যাবো, কিছু একটা পোকামাকড় হেঁটে যেতেই জল ভেঙ্গে গেল। ভাঙ্গা জলে চাঁদের মুখের হাসিতে অবিকল তোমার জোৎস্না মাখা মুখ |


২.

বলেছিলে মশালের আগুন দেখো না; ছড়িয়ে পড়া বিভার বিস্তৃতি, ব্যাপ্তির দিকে চেয়ে দ্যাখো। আমি তোমার দিকে তাকালাম। বললে ঝরা পাতা ঝড়েই তো ওড়ে কিন্তু দ্যখো ঝড়ের সম্মুখে। তোমার মনে হয় না নিষ্প্রাণ ভেবে যাকে অবহেলায় রেখেছি, ঝরা পাতার সংকেতে-ই এই প্রলয় মাতন! বলো ? আমি আবার তোমায় দেখলাম |


৩.

বললাম যদি সম্ভব হয় এসো মেঘবৃষ্টির সম্পৃক্ত অনুভবে; ভৈরবী ঠাটে রাত ফুরোবার মালকোষ রাগে। যূথিকা, শিউলি ঝরে যাবার আগে এসো অহির ভৈরবে। নির্বাণে দিনের আলো, সন্ন্যাস-বশত নির্বাপিত। আলোর শেষ রেখার পাখসাটে ঢেকে যাওয়া অজস্র কুবলয়ের ডমরুতে আমার রাত্রি তথাগত। তুমি জানো তো বলো ? 


৪.

দাহ কার্যে নদীর করতলে কারা যেন বিছিয়ে রেখেছে শ্মশানের আয়োজন। আমি বলছিনা তাঁরা ভুল কিন্তু তোমার কথায় দিব্যবিভা হতে চেয়ে উলট চণ্ডালের ক্ষেতে বহ্নির লেলিহান ভ্রূর ইশারায় এক জলচর ডাহুকের আগেই পুড়ে যাওয়া শব পোড়াতে চায় ওঁরা আরো একবার, কী দুর্নিবার! তুমি কিছু বলবে না বলো ? 












************************************************************************************************



প্রদীপ ঘোষ

 'দেশ' পত্রিকা সহ অন্যান্য লিটল ম্যাগাজিন, ই-ম্যাগে স্বরচিত কবিতা প্রকাশিত। ফেবুতে যথারীতি নিয়মিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক (বঙ্গবাসী কলেজ)। পরবর্তীতে আইন নিয়ে পড়াশুনা (সুরেন্দ্রনাথ ল'কলেজ) এবং জর্জ টেলিগ্রাফ ইনস্টিটিউট থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা (সিওপি)। নিজ পেশা। কলকাতা নিবাসী।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন