সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

তাপস কুমার দে





তাপস কুমার দে * দু'টি কবিতা








গ্রহণের সূত্র 

কখনও শিশির শিহরণে সোনালি রোদের সাথে দেখা হলে --- মৃদু বাতাসে জেগে ওঠে ঋতু বসন্তের অন্তর । সূর্যোদয়ের ভীরুতা নিবিড় হাতে নীল ছোঁয় পৃথিবী। আর বুকভরা বিশুদ্ধ জ্যোৎস্না ছোঁয়াছুঁয়ি চাহনি নেমে যায় অশ্রুবিভার ঐশ্বর্য অতীত পদতলে। শুধু প্রার্থনা এঁকে যাচ্ছে নির্বিকার জড়তা, পাখি পাখি রঙ রোদের বিচ্ছিন্ন গল্প। যার হইচই ভাঙা অসুখে পাষাণ পাঠের প্রকৃতি হা-মুখ, অপলক ফুটে ওঠে স্রোত স্মৃতি। ভেসে আসে বিষাদ মোড়া বিষণ্ণ শ্লোক। পলাতক সময় যেনো বিবর্তনের বন্ধী ফাগুন রূপ ফোটা আশ্রয়ে বিমূর্ত মুখস্থ কারাগার। 


এইসব শীত হাঁটা লোহার ব্যথা বুকের চাঁদ ফুড়ে ছুটে যায় দক্ষিণের জানালায়। জমা আছে বিবিধ বিবাদের দর্শন। ইচ্ছে আয়না জুড়ে যে-রকম ঝাপদেয় খলখল হাসি--- পথহীন অন্ধকার করে দেয় সমস্ত স্মৃতি। আসুক চাতকের আগুন, চিত্রিত গল্পে বেড়ে ওঠে ধাঁধার মতো অঙ্ক ভাগ্য নির্মাণের উনুন। যা কখনো বুনো হাত থেকে দূরত্বে দাঁড়ানো ছিল কী? অতি ভগ্নাংশ গ্রহণের সুত্র। সমাধানের ঋতু পাথর টুংটাং রোদের রঙিন আওয়াজ। 












বৃষ্টি শেষে একাকিত্ব বোধ.. 

বৃষ্টি শেষে একাকিত্ব বোধ আরও কোনো ভাবনার দিকে টেনে নিতে চাইছে --- প্রবল কোনো স্মৃতি খুঁজে পেলো আমায়। শুয়ে ছিলাম নোনাসাগরের ফিনফিনে বাতাসে যেখানে উৎসবের একলা চাঁদ গাঢ় হয়ে আসে। পথিক খোঁজে নশ্বর জীবনের উপামা, কীর্তীগাথা দিশা। যেখানে সন্তাপ ধাতবের জন্মান্তর ভেদি পীড়নের রুদ্রভূমিতে পরিণত হয়। মদমানুষ ধানকাটা লাশের মতো আনন্দ অনুভবে ঘর তাড়ায়। ধানিজমিতে হিংস্র অশ্রু তৈরিতে নামিয়ে দেয় লবন স্রোত। জীর্ণ করে ভূগোলের আর্তনাদ। অরণ্য পেরিয়ে কুমারী সড়ক দেখায় গুনিতক যুগ পেরোনো চেতনার ফসিল । অকূল ব্যথার বিবাগী মূল্যবোধ সাময়িক রংবদলে কেমন চিত্রনাট্যে অভিনয় করছে। যার কারণে গ্রাহস্থ সংসার আজ বারুদের দৃশ্য ওড়া  চিতা তৈরি হচ্ছে। উচ্ছ্বাস যেটুকু আছে তা যৌনতার মতো নিরুপম অভিমানী। আগুনের তামা রঙে প্রকাশ করে নিজেকে। আগলে রাখে স্বপ্ন ছুটে আসা জলাধার। যে কি-না গ্রীস্মাকাশে সমস্ত আগুন  সেঁকে  আড়াল করে প্রহেলিকার দিন। সন্তাপ পেলে কাঠামো কলহগীত পরস্পরের রসেবসে কেঁদে ওঠে।  পড়ে থাকে কঙ্কাল বাঁশি। মন উদ্বাস্তু, কিছুতেই সুর হয়ে বেজে ওঠে না। পত্যঙ্গের টুকরো গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে স্পর্শের পুরোনো  জানালায়। মায়াবী সৌরভ হেঁটে আসে টুপটাপ শিশিরের সুদূর অতীত ধরে। স্পষ্ট ভাসছে অস্তাচলের মাঝরাত। হিমঘরে ঘুম দাঁড়িয়ে আজও বিস্ময় ভরা জ্বরে পোড়ে মাকড়সার জালে। অকস্মাৎ বাক্যহীন ভ্রমন যেন শোকার্ত জনপদ। মৌনতা নিয়ে  ওড়ে নৈর্ব্যত্তিক আয়না। দূরত্বের জমাট বাঁধা বাতাস তরজমায় অনন্য হয়ে ওঠে। মেলে ধরে জল মাটি ছেনা অসম্পন্ন কবিতার শরীর থেকে পাঠ করা আঙুল। বয়সী বিস্ময় জাগিয়ে প্রান্ত দেয়ালে যে সুখ মেরুকরণের  ডাগর চোখে দার্শনিক হয়ে ওঠে, তার নিঃশ্বাসের সঙ্গে স্নায়ুতে সংক্রমণ ঘটায় কৌশল সুরসৌন্দর্যের। কাকে কতটা জড়িয়ে রাখা যায় ছোট ছোট ঢেউয়ের কুয়াশাডুবো জলে। 


********************************************************************************************************



তাপস কুমার দে 


 লেখালিখি শুরু--সেই স্কুল জীবন থেকে লেখালেখির হাতেখড়ি। 
 স্কুল জীবন থেকে বিভিন্ন রকম গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে এটা প্রবল হয় যখন আমার এক সহপাঠী বিভিন্ন রকম বই সংগ্রহের উদ্যোগ নেই কারণ সে পাঠাগার গড়ে তুলবে। আর এ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে গেলে একটি বই দিয়ে অংশ গ্রহণ  করতে হবে। আমি অংশ গ্রহন করলাম এবং গল্প পড়তে পড়তে লেখার ইচ্ছে জাগে এবং একটি গল্প লিখেও ফেলি ওটাই আমার প্রথম লেখা। 
প্রভাব সৃষ্টিকারী লেখক অথবা কার কার লেখা পড়তে ভালো লাগে---- আমি যখন বেড়ে উঠি তখন হুমায়ুন আহমেদের যুগ তারপরও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্রের মতো লেখকদের লেখা ভালো লাগার তালিকায় উঠে আসে। 
আমি কেনো লিখি---- আত্মতুষ্টির জন্য খানিকটা তারচেয়ে বড়ো ব্যপার হলো মনুষ্যত্ব বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ যে সাহিত্য, তা নিজেকে ও সমাজকে বুঝাতে। যার ভেতর রয়েছে মহাজাগতিক আনন্দ। 
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের  পদক্ষেপ ---- লেখালেখির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে নিজের বই প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা আর সেই লক্ষ্যে পান্ডুলিপির কাজ চলমান।  
 বেশকটি সাহিত্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তার মধ্যে অন্যতম খুলনা সাহিত্য মজলিস,  খুলনা কালচারাল সেন্টার। এখনও সম্পৃক্ত আছি খুলনা কালচারাল সেন্টারর সাথে।     

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন