মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩

চন্দ্রাণী গোস্বামী




চন্দ্রাণী গোস্বামী * দু'টি কবিতা 







সংলগ্নতা

যতোবার ব্যথা বলেছি, ততোবার

একটা ভাঙা কলমে নদী এঁকেছিলে আপন মনে

তারপর ...

আমার যা কিছু প্রিয় জিনিষ, হাতে হাতে সাঁকো বেঁধে 

রেখে দিলে সেইখানে।


দেহাত শরীরের খাঁজে ভাঁজে 

যতসব মেঘগুলো, গভীর রাতের দিকে গড়িয়ে যেতে 

ঝরিয়ে দেবে শোক--- ভেবেছিল, বসতে দিলে ঠোঁটে

লিখলে...

তোরা মঙ্গলকলস, তোদের ভালো হোক।


সেই থেকে,

আমি উদয় আর চন্দ্রাহতের মাঝামাঝি ...


আমার

আর কোনো  ভালোবাসার মতো শব্দ নেই 

 চৈত্রের দুপুরের মতো স্মৃতি নেই, নাকি 

আমার 

"স্মৃতিহীনতার চৈত্রমাস"...! 


আছে নির্বাসন

আছে প্রাত্যহিক দিনলিপি, আর...

একটা নিরন্তর বেগবান নদীর নিপুণ হয়ে বয়ে চলা।











রোদ চশমার ভিতর থেকে

হোসেন মিঞার যে নৌক' ছিল, সেকথা আমায় বলোনি তো!

নদীমাতৃক বাংলায় এমন অনেকেরই থাকে, তা বলার 

দরকার লাগে না-----

তবে একদিন ভরদুপুরে যখন পাটাতন ফটফট করে ফাটবে

      মিঞার নৌক'র কাছি খুলে দিও। 

জল, জলা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে সরু সরু খাঁড়ি কেমন 

করে পেরোই দেখো;

          আর, জলাভূমিতে পড়ে থাকবে বেশ কিছু আগাছা-----

ঈর্ষাপরায়ন লোকেদের সেসব কাটতে কাটতেই 

বেলা গড়িয়ে যাবে।


***********************************************************************************************



চন্দ্রাণী গোস্বামী

জন্ম সত্তর দশকের শেষদিকে। স্কুল জীবন, বড়ো হয়ে ওঠা সবই কলকাতায়। পড়াশোনা স্নাতকোত্তর , কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে কলকাতার একটি কলেজে হিসাব রক্ষণ বিভাগে কর্মরত। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি তীব্র আসক্তি। নতুন শতকের প্রথম দশকের শেষ থেকে নিয়মিত লেখালেখি। কবিতা আশ্রম, কৃত্তিবাস, গাঙ্গেয়, অপদর্থের আদ্যক্ষর, বম্বে ডাক, তমোহা, সাজি পত্রিকা, বিকল্প বার্তা সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন