শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩

পাঠকের মতামত: শারদীয় ১৪৩০ স্বরবর্ণ * ১৫




শারদীয় স্বরবর্ণ * ১৪৩০ সংখ্যাটি কেমন হল ? কী বলছেন সুধী পাঠকমন্ডলী ? এ বিষয়ে ব্লগে অনেকেই মতামত দিয়েছেন। আবার ব্লগে স্বচ্ছন্দ না হওয়ায়, অনেকে সম্পাদকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মতামত জানিয়েছেন। ফোনেও অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাছাড়া, এ সংখ্যার কবি-লেখকেরা অনেকেই তাঁদের নিজস্ব ওয়ালে সংশ্লিষ্ট লেখাটি শেয়ার করেছেন। সেখানেও অনেকে মতামত দিয়েছেন। সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য সকল পাঠককে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।

পাঠকের মতামত শিরোধার্য করে আমরা ক্রমান্বয়ে সেগুলি প্রকাশ করব । আজ পাঠ প্রতিক্রিয়ার প্রথম পর্ব -----


কল্যাণ ভট্টাচার্য লিখেছেন   অসম অসাধারণ একটি পত্রিকা। আর কী ভীষণ যত্নশীল এর সম্পাদক। কোনো অভিনন্দনই যথেষ্ট নয়। আমি ধরে ধরে পড়লাম। জাস্ট মুগ্ধ।

শ্রীদাম কুমার লিখছেন   দেবাশিসদা, স্বরবর্ণ পত্রিকাটি দেখলাম ৷ খুব সুন্দর হয়েছে। শারদীয়ার উপহার হয়ে মন ভালো করে দেয় ৷ দাদা অনেক অনেক শুভেচ্ছা অভিনন্দন । প্রণাম নেবেন। ভালো থাকবেন। সম সময়ের যন্ত্রনার দিনলিপিকে ছুঁয়ে  সম্পাদকীয় অভিনব হয়ে উঠেছে ৷ কবিতার বিভায় প্রাণময় অন্তরস্পর্শী ...

চিন্ময় ঘোষ শতদল মিত্রের 'মায়াগাছ' গল্পটি পড়ে লিখেছেন   গল্পটি পড়লাম। গল্পের চলনে গদ‍্যাকারে হলেও একটি কাব‍্যিক ঢং সুন্দর গড়িয়ে নিয়ে যায়। শব্দ, বাক‍্যবিন‍্যাস এবং চরিত্র চিত্রায়ণে একান্ত যা শতদলময় নিজস্বতার শৈলী। ভাল লাগল।

কাজী নুদরত হোসেন গৌরীশঙ্কর দে-র কবিতা পড়ে লিখছেন  সুন্দর দুটি কবিতা। সমসাময়িক বিষয়কে ভাবনার কেন্দ্রে রেখে কবি গূঢ়তর ভাবকে অনবদ্য কাব্যরূপ দিয়েছেন।

আশিস সরকার চন্দন রায়-এর কবিতা পড়ে লিখেছেন   সকাল বেলাতে অসাধারণ দুটো কবিতা পড়লাম। দিনটা ভালো হয়ে গেল।  কী সুন্দর করে ছাপিয়েছেন কবিতা, সম্পাদককেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

অগ্রজ কবি পঙ্কজ মান্না লিখছেন   কবি তপন পাত্রের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা রুখা শুখা পুরুলিয়া জেলার কৃষি জীবনের বাস্তবতা চমৎকার । কবি পার্থ প্রতিম গোস্বামীর কবিতা এক কথায় অসাধারণ, ভাবে ভাষায় পরিমিতিবোধে এবং লাবণ্যময় কাব্যিকতায় আমার চমৎকার লেগেছে।  কবি শ্রীদাম কুমার -এর 'ছায়াগাছ' কবিতার ২ নম্বরটিতে  শেষ দিকে যে চিন্তার বাঁকবদল আছে,তা সত্যবোধের আলোয় ভাস্বর। আর 'স্তাবকতা ' -'কাঁখে কলসির মতো দাঁড়িয়ে ফুলদানি 'একটি অসাধারণ চিত্রকল্প,কবির কল্পনার দৌড় দেখে বিস্মিত হয়ে গেছি।

কেতকী বসু অ-নিরুদ্ধ সুব্রত-র কবিতা পড়ে জানাচ্ছেন  দু'টি লেখাই পড়লাম। অসাধারণ গভীরতা ছুঁয়ে গেলো মনে।

কিঙ্কর দাস লিখছেন নিমাই জানা-র কবিতা পড়ে  দুটো কবিতাই অসাধারণ...এমন কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়ে যেতে হয় 

নির্মল দেবনাথ লিখছেন চন্দ্রাণী গোস্বামীর কবিতা সম্পর্কে  বাহ্ অপূর্ব কবিতা। প্রতিটি লাইনে যেন... আলাদা উপলব্ধি ও অপূর্ব  আলোর অন্বেষণ।

কবি শুভ্রনীলের 'নক্ষত্র রঙের আত্মহত্যা' বইটির আলোচনা করেছেন দেবার্ঘ সেন। ভুবন ডাঙা ওয়েব পাবলিকেশন সেটি পড়ে জানাচ্ছেন   খুব সুন্দর আলোচনা। আলোচনা এমন যে বইটির প্রতি স্পৃহা বাড়িয়ে তুললো। ভালোবাসা দেবার্ঘ ও শুভ্রনীলকে।

রুমা ঢ্যাং অধিকারীকৃত অক্টাভিও পাজের কবিতার অনুবাদ প্রসঙ্গে রুদ্র শংকর ভট্টাচার্য লিখেছেন  অনুবাদও স্বতন্ত্র কবিতা মনে হচ্ছে...অনুবাদের এর চেয়ে ভালো চরিত্র আর কী হতে পারে।

অরিত্র দ্বিবেদীর প্রতিক্রিয়া সব্যসাচী মজুমদারের কবিতা পড়ে  মারাত্মক! Charlie Kaufman, এর কথা মনে পড়ে গেল! কী অসামান্য! ওঁর দুটো বিখ্যাত script এর বিখ্যাত দুটো লাইন, যেমন সহজতর, তেমনি আমাদের জটিলতা খুলে রেখে দেয়! আশ্চর্য হচ্ছে যে সে দুটোই ওই দৃশ্যের প্রথম লাইন "And its grey...""Nothing is as emptier as an empty swimming pool.,"

পলাশ দাসের অণুগল্প 'পিছন ফিরে তাকাই' পড়ে সমাজ বসু লিখেছেন   সুন্দর একটা বাস্তব ছবি। সৎ ও ভদ্র মানুষের এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির বর্ণনা ভালো লাগলো।

দেবদাস রজক মায়াবী প্রভাত ভট্টাচার্যের অণুগল্প পড়ে লিখছেন  দুর্দান্ত ভাবনা। সিন্ধু সভ্যতার যুগে ওটাই ছিল আরাম। ঘড়ি ছিল না। একই গল্প সম্পর্কে প্রদীপ ঘোষের অভিমত: ভালো লাগলো। তবে অণুগল্প বোধহয় নয়, একটি মুক্তগদ্য।

দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়ের অণুগল্প পড়ে দীপক বসু জানাচ্ছেন  দারুণ সাহিত্য অলংকারে সজ্জিত লেখনি। আপনাকে ধন্যবাদ। লিখে যান। 

তনুজা চক্রবর্তী শুভাশিস ঘোষের অণুগল্প পড়ে লিখছেন  চমৎকার লিখেছেন 'লেডিকেনি' গল্পটি!

শতদল মিত্র দেবাশিস সাহার গল্প পড়ে লিখছেন  আপনার গল্পটা আমার খুব ভালো লেগেছে। বর্তমান পৃথিবীর যুদ্ধ-হত্যা, তার বিপরীতে চৈতন্যের প্রেমময় সহজিয়া প্রতিরোধ... একটা বার্তা দিল। গল্পের গঠনও চমৎকার।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন