কৌশিক সেন * দু'টি কবিতা
কবিসভায় লোডশেডিং হলে
কে কবিতা পড়ছিল তখন! “অশ্রু আর বিষাদের ভিতর তোমায় পেয়েছিলাম। ক্লিষ্ট দ্রাঘিমাংশের ভিতর কাটা কাটা রোদ্দুরের স্থানাঙ্কে......” ঝপ করে অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল চারিদিকে।
ফস্। কে যেন জ্বালিয়েছিল দেশলাইয়ের কাঠিটা। পুড়তে পুড়তে ছ্যাকা লেগেছিল তর্জনী আর বুড়ো আঙুলে। ও দুটি আঙুলেই তো কবিতা লেখেন কবি! আঃ, হাত থেকে পোড়া কাঠি পড়ে যায় কবিতা লেখার খাতার ওপর।
কবির বাড়িতে ইনভার্টার থাকেনা। মোমবাতি, নয়তো ঘষা কাচের হ্যারিকেন। কবিদের গুঞ্জন। ফিসফাস। উসখুস। আলোর অপেক্ষায়। হ্যারিকেন জ্বালিয়ে ঘরে ঢোকেন কবির গৃহিণী।
ফের পড়তে শুরু করেন জনৈক কবি, “ক্লিষ্ট দ্রাঘিমাংশের ভিতর কাটা কাটা রোদ্দুরের স্থানাঙ্কে তোমায় স্থাপন করেছি বলে অতল অন্ধকারে ঠেলে দিওনা কখনও......!”
গোশালায়
সীমন্তিনী হয়েছিল গাভীটি...
মেঘ আর বাতাসের অস্ফুটচিহ্ন
রেখে যাওয়া গুহাচিত্রে
একাকিনী কোনো চারণভূমি
ঘাস নেই, গোঠে গোঠে রূপকথা
কালমেঘ আর বাসকের দেশে
রাক্ষস খোক্ষস, ঠাকুরমার ঝুলি।
বনতুলসী ঝাপ খুলে দেয়,
নাগর এলে সামলে রাখে বুক
আঃ, বাঁটে অকালচুম্বন তবু!
...ও শুধু গাভীন হতে জানে।।
**********************************************
জন্ম :২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ বহরমপুর, মুর্শিদাবাদে। ছাত্রজীবন ও বেড়ে ওঠা বহরমপুর শহরেই। কলেজ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কঠোর জীবন সংগ্রাম। সাতাশ বছর বয়সে দিল্লীতে আগমন। কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী। আঠেরো বছর ধরে দিল্লীর বাসিন্দা। দিল্লী ও দিল্লীর বাইরে বেশ কিছু পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত ও প্রশংসিত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : রাই জাগো গো, কর্ষণলিপি,পাখিঘুম।






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন