গৌরীশঙ্কর দে * দু'টি কবিতা
চন্দ্রযান
রাজনীতি বন্ধ করো চন্দ্রযানের প্রসঙ্গে প্রভু।
কে জানে কবির এই বুকফাটা কাতর আহ্বানে
সাড়া কি দেবেন রাজা স্বঘোষিত কাউন্ট ক্যাভুর?
সন্তানের জন্মশঙ্খ বাজে কী পিতার পুষ্পোদ্যানে।
চারাগাছ মা'র কোলে বীজতলা পায় বড়ো হলে,
বাপের বাগানে ফুল ফোটায় নির্জনে, সগর্জনে।
মা'র মুখে সন্ধিপূজার ঘাম-তেলের বদলে
প্রস্ফুটিত পদ্ম আর দীপশিখা নেভে বিসর্জনে।
সনেটের পাটাতন ধরে থাকি মাত্রা গুণে গুণে,
আমার আঙুল থেকে ঝরে পড়ে স্বরবর্ণে লেখা।
এসব কাতর ডাক থামে না সহজে চট বুনে
আসন সাজিয়ে ডাকে: আয় দেহলগ্ন হয়ে দেখা।
দেখি তোর আপাদমস্তক সব ভুরু থেকে ঊরু,
বিক্রম প্রজ্ঞান এতো অবতরণের সবে শুরু।
আরও চন্দ্রযান
চন্দ্রপৃষ্ঠ ততটা ধরণী নয় রুক্ষ ফাটো ফাটো
রামকিঙ্করের অপরূপ সিমেন্টের সাঁওতাল রমণী।
বিক্রম প্রজ্ঞান কোলে খুব সাবধানে হাঁটো,
তুমি তো ইসরোর বুকে হাঁটাচলা প্র্যাকটিস করনি।
চাঁদ অত পৃথিবী নয় জানি তবু চন্দ্রাহত আমি।
লুনার আগ্রাসী অগ্রে জন্মানোর রাষ্ট্রীয় তাড়না
লক্ষ্য করে বলি ধৈর্য্য মূল্যবান বড়ো দামি,
তাকে ভোট বাক্সে ফালতু ব্যবহার করার বাসনা
পরিত্যাগ করো।মেওয়া সবুরে ফলবে দেখে নিয়ো
নিজে শুধু বুকে চেপে সন্তানের অনির্বচনীয়
সুখস্বপ্ন আনন্দে ঘুমিয়ো ঈমানে ইবাদতে।
চন্দ্রযান তিনের আহ্বান শোনো চন্দ্র থেকে দূরে,
সদ্যোজাত গোবৎসের ভঙ্গিমাটি দিকশূন্যপুরে,
বিক্রম-প্রজ্ঞানবাহী জি এস এল ভি মার্কের দৌলতে।




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন