বিকাশ চন্দ * দু'টি কবিতা
মোমবাতি জল
অগোছালো কাগজে গচ্ছিত জবান বন্দী
ছড়ানো বিছানো উষ্ণ শরীর আর নম্র পালক
চোখে দেখেছি বলে বেঁধে আছি তাই নিজস্ব বাঁধনে
হাজারো ব্যস্ততায় দেখেছি দূরত্ব শুধু মুঠো ভর্তি আলো
অদেখা অনেকেই আমাকে চায় কি যারা ছেড়ে গেছে
প্রশ্নের ভেতর তোমারও রশ্মিপাত একই পাতার রোদ্দুরে
সমস্ত শরীর জুড়ে কোথাও নাকি অবক্ষয় বৃষ্টির অঞ্জলি
অবাক ফুসমন্তরে অদৃশ্য বাক্সবন্দি অন্তর পসরা
দেখিনি কিছুই দেখেনা কেউ আলোর প্রতিসরণ শরীর ছেঁড়ে
কোন ছায়া নেই চেনা মুখ অদৃশ্য আয়নায় অধিবাসী
আসর বাসরে মেলবন্ধনের ব্রজবুলি হৃদয়ে সঙ্কোচে
শূন্য বাঁধন ছিঁড়ে গেলে কোথায় কালের ডাক লুকোবে একা
অচেনা উবুড় শরীর জড়িয়ে নিচ্ছে গল্প কথা মনুষ্যত্ব
আলো আঁধারে হয়তো কেউ ফিরিয়ে নিচ্ছে মুখ নীরব অশ্রুপাত
কোথায় আত্মা বোঝে দৃশ্যত গলে পড়ে মোমবাতি জল
অস্থিপ্রপাত
ঈশ্বরই জানে কোথায় ছিল বাগান দিঘি জল পদ্ম সরস্বতী
আকাশ বাতাস জুড়ে বহুস্বর জানে পাখিদের শূন্য সাঁতার
বসন্ত বাঁধন শরীরে সংসারে জোয়ার জলের সীমানায়
সাত জন্ম আত্মার ভালোবাসা দৃশ্যান্তরে ডাকে
নোনা চাতরে ঝুপড়ি ঢেকেছে গাছের মমতায় জাতিকা জীবন
স্বপ্ন বুনেছে গান অক্ষর বীজ দিয়ে গেল প্রিয় আলো বার বেলা
অসামাজিক কথকতা জানে ফুল বাসর শপথ
অশেষ সময় কাল জানে পূজা পূজা খেলায় ঈশ্বরী
আলপথে পায়ে পায়ে বাজে নুপুর নিরন্তর ডাকে
জীবন বেঁধেছে দু'বাহুতে একান্ত প্রাণ শিকল আর প্রেমে
মগ্ন ঘাসের আঁচলে বাকলে ঘুম চোখে শ্বাস
ঘিরে আছে দুধ ধানি শরীর ঘরে ফেরা জানে পরবাস
এখন সকাল কুয়াশায় খসে পড়ে বিষণ্ণ ফুলের পাঁপড়ি
আত্মার ইচ্ছেরা বেঁচে থাকে জীবনে জীবন জুড়ে সন্তাপে
চেনা পথে ডেকেছিল শস্যবতি দুধের শরীর ও ঈশ্বর
হৃদয়ে রেখেছি হাতের চেটো সকল দুঃখ ঢেকেছে আয়ু রেখা
উদাসীন সময় পুড়লে বৃষ্টি মানুষে খোঁজে ফসলের মাঠ
মাটি ও অপেক্ষায় হৃদয়ে জীবিত রক্ত কণায় অস্থি প্রপাত
************************************************************************************************


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন