অপর্ণা দেওঘরিয়া * দু'টি কবিতা
বাউলের একতারা
এই ভাবেই তুমি রুপবতী মেয়েটিকে সাজিয়ে দাও
হৃদয় গানে সখ্যতার চোখের তারায়----
কখন শব্দে ছন্দে ভেজাও ঠোঁট রাঙিয়ে দাও চুম্বনে
কখন ও ভেঙে দাও অহংকার গুনগুন গানে
দিগন্তে ছুঁয়ে বুকে টেনে নাও আগুন খেলায়।
সারা শরীর বিদ্যুৎলতার মত স্পর্শ করো
সর্বনাশা জীবন তরঙ্গের শত ঢেউয়ে,
অনন্ত অসীমে সুখে আশ্চর্য জীবনভরে উঠে আলোতে,
বর্ণবহুল মুখ কত বার ঘুমে জাগরণে চঁন্দ্রস্নানে,
অশান্ত প্রেমিকার মত ঋতুস্নানে ভেজাও কথনে----
কত বার হাত বুকে নিয়ে রাজকীয় বোলে
যুদ্ধ প্রেমে স্বপ্ন ঘোড়া ছোটাও----
কত বন্ধ্যা গাছেরা মায়াটানে মুখ লুকায়
অজস্র তৃষ্ণায় জড়িয়ে ধরো আষ্টেপৃষ্টে প্রসারিত উল্লাসে
রুপবতী মেয়েটির একদিন ঝরে যায় রুপের গগন
রুখাসুখা জীবন যেন যন্ত্রণাময় কম্পিত হাওয়ায় ---
মায়াকাননে শিহরিত গোপন প্রেমের পতনে
ঘৃণায় কাঁদে বিবেক প্রাণহীন কানাগলির ধুসর ধূলোয়,
ছুঁড়ে দেয় পুরুষ পাখি শত রক্তের ছোবলে
বিশ্বাসের পৃথিবী বড় অন্ধকার হয়ে যায়
বাউলের একতারায়।
চাঁদ
এই অদ্ভুত চাঁদ যেন আমার শেষ নিঃশ্বাস,
যত বার কাছে আসে
ততবার একটা ভালোবাসা অনুভব করি
মুক্ত আঁচল বিছিয়ে মেলে দিও অভিমানি ডানা
কত কথোপনে সর্বস্ব ত্যাগে যেন
ভালো হয়ে উঠে মন,সমুদ্রতুল্য ভালোবাসায় জ্যোৎস্না খেলায়।
অদ্ভুত ভাবে জড়িয়ে ধরি লতা গুল্মের মত নিরুপম উচ্ছ্বাসে
কতবার হাত ছেড়ে দেয় জ্যোৎসাপুরুষ ট্যাটুর কোলাজে
কতবার কলঙ্গিত হই চন্দ্রঘুমে লীলায়
কতবার ছুঁয়ে ফেলি শরীরের সানাই,
কতবার হাত পাতি প্রেমে জ্যোৎস্নার আঁকিবুকি ঢেউয়ে।
কতবার জড়িয়ে বুকে টেনে নিই
নিদারুণ লজ্জায় পাপপুণ্যে একান্তে।
************************************************************************************************





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন