সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

নিমাই জানা

 




নিমাই জানা * দু'টি কবিতা 










দুমুখো সনাতন দিণ্ডা ও সৌধক যজ্ঞের দৈত্যেরা

অভিশাপগ্রস্থ ৩৩০০০ যোজন দৈর্ঘ্যের বেতাল দৈত্য হয়ে যাওয়ার আগের মুহূর্তে দাউ দাউ ব্রহ্মপদ্ম ভর্তি শ্মশানে জ্বলতে থাকা সালফিউরাস মৃতদেহের মাথায় লৌহদণ্ডের আঘাত করতেই আমার উপবৃত্তাকার রঙের করোটি থেকে রক্তমাংসের ভয়ংকর অগ্নুৎপাত ছুটে আসলো আমারই দিকে , দুমুখো সাপের মুখে লাল তুলো বীজের গাছ লাগাচ্ছেন সনাতন দিণ্ডা

আমি অষ্টম বিভাজিকায় মুখ গুঁজে ঘুমের ওষুধ চিবানো মাছের আঁশের মতো পিচ্ছিল সরোবর থেকে সদ্য স্নান করে আসা বাবাকে কোনমতেই চিনতে পারছি না মাঝরাতের অন্ধকারে ,  ১১ টি বি মেগা হাইড্রেনের নিচে জাপানি হারমোনিয়ামের রিডগুলোর উপর দৌড়াচ্ছে এক একটা কর্কটক্রান্তির ৩ জুরাসিক গর্ভবতী খাদক

আরো আরো গাঢ় উলঙ্গ চাদরে আমি মরু শহরের জননাঙ্গহীন মূত্র থলির ভেতর থেকে উলঙ্গ ব্যাসাসনে থাকা গালবের বজ্রপাতের গন্ধ পাওয়ার পর আমিও যৌন সংক্রমনে সংক্রমিত হয়ে দেহশূন্য হয়ে গেলাম , সব ওষুধে মৃত্যু রোগ সারে না

উল্টো মুখে শুয়ে থাকা মৃত জাহাজের গোপন দরজার কাছে কালচিতি সাপেরা ঘুরে বেড়ালে আমি ডান পায়ের গর্ভদেশে এক একটি যজ্ঞের কৌটো খুলে গুঁড়ো হাড়ের কম্পাঙ্ক নির্ণয় করি , যক্ষদের ভ্রুণ ভিজিয়ে রাখি বাসুকি বিষে 

স্তনের থেকে সাইজে বড়ো ভাতের টুকরো গুলির ওপর দিয়ে দ্বারকাপুরীর নৌকা গুলো তামাটে পেট ঘসটাতে ঘসটাতে কসাইখানায় ঢুকে যাচ্ছে  , হড়হড়ে কফ জমা গলার কাছে পুংলিঙ্গ মোমবাতি জ্বাললাম উষ্ণ যজ্ঞের সৈন্ধব ধুনাচুর থেকে





সমদ্বিবাহ মনোহরপুরের টেস্টোস্টেরন ও সুপ্রাডিন জানালা

সাবকিউটেনাস টেস্টোস্টেরন সমৃদ্ধ মনোহরপুরের অনন্ত দ্রাঘিমায় যারা নিপুন কালো কাগজের মতো শ্মশান বন্ধু সেজে মুদ্রার উল্টো দিকে ঝুলে থাকে তারা ডলোমাইট পাথরের নৃসিংহ দৈর্ঘ্যের সমদ্বিবাহু মৃত্যুর মতো কখনো প্যারাটাইফয়েডে ভুগতো না

সরু ইথিলিন পাইপ দিয়ে সুড় সুড় করে টেনে নিচ্ছি নাক দিয়ে বেরিয়ে আসা অবৈধ বীর্যরসের পেট্রোল গন্ধ ভর্তি গাণিতিক মধ্যমা , আমি লাল ক্ষেত্রের চারপাশে কাঁকড়া বিছার অংকুর লাগিয়ে লিলিথ সাপেদের হাড় গুলো ছড়িয়ে দিচ্ছি আমার ঠোঁটের চারপাশে সমুদ্রের দিকে নিস্তব্ধ মাংসাশী শাঁখের অতিযজ্ঞ উন্মত্ত যুধিষ্ঠিরের গোড়ায়  , 

আমি সেই মেটাস্টেসিস জন্মের পর ১০৮ বার মায়ের আঁতুর গন্ধের দুর্গন্ধ ভর্তি কাপড়ের ক্ষয়প্রাপ্ত হরিণের  ফাটলে ঢুকিয়ে অর্গাজম সদৃশ্য লাল দেবদারুর অন্তর্ব্যাস নির্ণয় করছে ,মৃত্যুর মতো তরল বণিক অনিবার্য পুরুষটি পিকরিক অ্যাসিডের মত সুপ্রাডিন ঘনত্বের দিকে জননাঙ্গের যজ্ঞস্তল থেকে লাল আগ্নেয়াস্ত্রটিকে এনে লুকিয়ে রাখি বিছানার বিতলে 

ডুবে যাওয়া জাহাজের জানালায় ঝুলে থাকা খয়েরী রঙের মাছেদের ফুলকার মতো গতকাল ভৈরবী স্নানের আগে মোমবাতি জলে বিশুদ্ধ করে কবরে পুঁতে রেখেছি আমার পিতামহীকে ,  কালো কাঁচ ঢাকা চামড়া , আর সাদা মধু , গোলাপী শিলাজিতের সস মেশানো ভিনিগার ভর্তি মামিফিকেশন করে , বৃষ্টি শুধু লবণাক্ত নদীর যৌনতা জানে


*********************************************************************************************




নিমাই জানা

 এ সময়ের অন্যতম শক্তিশালী তরুণ কবি । রুইনান সবং পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে লিখছেন প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ :  ছায়ার মূলরোম ও  নির্জন পুরুষ অসুখ * জিরো কম্পাঙ্কের পেন্ডুলাম * ঈশ্বর ও ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়া * ইছামতি ঈশ্বরী ও লাল আগুনের ডিম্বকোষ * রজঃস্বলা বৃষ্টির গুণিতক সংখ্যাগুলো। সম্প্রতি প্রকাশিত নিমাই জানার একটি কবিতার বই----




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন