কবিতাগুচ্ছ * পিয়াংকী
আত্মদংশন অথবা ওঁ
১.
ছায়াপথ, সোলমেট এবং কালপুরুষের মাঝের দূরত্ব
বোরখায় নেমে এসেছে সূর্য
অযথা বিড়ম্বনা। দাগের ওপর লুডুর ছক
এ'ঘরে বিষ,বাস্তুসাপের গায়ে প্রাচীন রামধনু
তোমার আশ্রয় নিয়ে যারা কথা বলত
মান্ধাতার নৌকা আটকে গেছে তাদের জীবনচক্রে
এখন সময়,
এসো মাদুর বুনে নিই বিনিসুতোয়
২.
বৈদূর্য ? নাকি বালিকার জন্মছক
অগ্নিতত্ত্বের পাশেই একআঙুল জল
বিগত অমাবস্যায় ধুয়ে গেছে কুশপুতুলের সাধের বাড়ি
এবার ভেসে থাকতে কোন কৌশল নেবে ?
মহামতি, তোমার কমা দাঁড়ি সেমিকোলন চুরি করেছি
খাদ সামনে। ধীরে ধীরে হাঁটো
সাম্রাজ্য চাইলে বরং দান করে দিও অশ্বত্থের ছায়া
৩.
প্রজাপতির মৃত্যু নিয়ে শহরে অনেক জল্পনা
কানাকানিরা ফিরে গেছে কবেই
পূর্বরাগও বিস্মৃতপথ ধরে--
জমাট জলে অভাবের দায়
হরিণের শোক থেকে ঘুঙুরের পা
ধুয়ে যাচ্ছে অবচেতনে ভাঁজ করা পিচের রাস্তা
৪.
হ্যালুসিনেশন ফেলে এসেছি। এখন বিহঙ্গযাপন
সার্কেল থেকে সার্কেল
রথের চাকায় অনিবার্য সন্ধে নামলে...
বিসর্জন কিন্তু ইন্ডিকেট করে সূর্যসূত্র
পঞ্চত্ব এলে,
আত্মায় জলদান করবে কে ? ভেবেছ কোনো নাম?
সময় থাকতে গুছিয়ে রাখো ব্যাঙের ছাতা
তড়িঘড়ি বর্ষা এলে...
৫.
ইঁদুরের মাটি হোক বা অন্যকিছু
কারণ থেকে সরে গেছে নির্ধারিত জোব্বা
জানি, ঘুম নেই একটি রাতেও
ছিঁড়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রের মাথা
যন্ত্রণারা অসহায় নয় বরং
লুপ্তির ভাগ থেকে তারা সরিয়ে রাখে আমিষের ওজন
আবার যেদিন বুক ভাঙবে বেইমানিতে, মানচিত্রে
রঙ ব্যবহার নিষিদ্ধ করবেন স্বয়ং ঈশ্বর
সেদিনও সাঁতারু থাকবে সাথে পাঁচ আঙুল...
***********************************************************************************************
*********************************************************************************************






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন